২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার
  • / 183

পুবের কলম প্রতিবেদক : নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র। আর এতে বিষয়টিকে চিকিৎসা মহলের অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দে’লেও ক্ষোভ রয়েছে একাংশের। চিকিৎসা মহলের বক্তব্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিল্পমহল ও গবেষকরা। তাঁরা মনে করছেন,  এতে ভারতের ওপর বিদেশি বিনিয়োগ ও গবেষণার আগ্রহ আরও বাড়বে। তবে কিছু নেতিবাচক বিষয়ও রয়েছে বলে বক্তব্য অনেকের ।

২০১৯ সালের নিউ ড্রাগস এন্ড ক্লিনিক্যাল ট্রিয়ালস রুলস -এ সংশোধন এনে লাইসেন্স প্রক্রিয়া ও আবেদন জমার নিয়ম সরল করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত সংশোধনগুলি দেশের রাষ্ট্রীয় গেজেটে প্রকাশ করা হয়েছে এবং জনসাধারণের মতামত আহ্বান করা হয়েছে। মন্ত্রকের দাবি, এই ধরনের নিয়ন্ত্রক সংস্কার দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল ও ক্লিনিকাল গবেষণা খাতকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙ্গা করবে। এছাড়া, ভারতকে একটি আন্তর্জাতিক ফার্মা ও ক্লিনিকাল রিসার্চ হাবে পরিণত করার পথ প্রশস্ত করবে।

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, টেস্ট লাইসেন্স পদ্ধতিকে রূপান্তর করা হবে একটি নোটিফিকেশন ও ইনটিমেশন সিস্টেমে। এর ফলে আবেদনকারীদের আর লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বরং, তাঁরা কেবল কেন্দ্রীয় লাইসেন্সিং অথরিটি-কে অবহিত করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কাজ শুরু করা যাবে।

আরও পড়ুন: সিএএ-তে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের সময়সীমা ১০ বছর বাড়াল কেন্দ্র

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইসেন্স প্রক্রিয়ার সময়সীমাও বর্তমান ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ৪৫ দিন করা হবে। এর ফলে আবেদন প্রক্রিয়ার গতি বাড়বে এবং মোট লাইসেন্স আবেদনের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিল কেন্দ্র, রাজনৈতিক তরজা শুরু

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র। আর এতে বিষয়টিকে চিকিৎসা মহলের অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দে’লেও ক্ষোভ রয়েছে একাংশের। চিকিৎসা মহলের বক্তব্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিল্পমহল ও গবেষকরা। তাঁরা মনে করছেন,  এতে ভারতের ওপর বিদেশি বিনিয়োগ ও গবেষণার আগ্রহ আরও বাড়বে। তবে কিছু নেতিবাচক বিষয়ও রয়েছে বলে বক্তব্য অনেকের ।

২০১৯ সালের নিউ ড্রাগস এন্ড ক্লিনিক্যাল ট্রিয়ালস রুলস -এ সংশোধন এনে লাইসেন্স প্রক্রিয়া ও আবেদন জমার নিয়ম সরল করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত সংশোধনগুলি দেশের রাষ্ট্রীয় গেজেটে প্রকাশ করা হয়েছে এবং জনসাধারণের মতামত আহ্বান করা হয়েছে। মন্ত্রকের দাবি, এই ধরনের নিয়ন্ত্রক সংস্কার দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল ও ক্লিনিকাল গবেষণা খাতকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙ্গা করবে। এছাড়া, ভারতকে একটি আন্তর্জাতিক ফার্মা ও ক্লিনিকাল রিসার্চ হাবে পরিণত করার পথ প্রশস্ত করবে।

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, টেস্ট লাইসেন্স পদ্ধতিকে রূপান্তর করা হবে একটি নোটিফিকেশন ও ইনটিমেশন সিস্টেমে। এর ফলে আবেদনকারীদের আর লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বরং, তাঁরা কেবল কেন্দ্রীয় লাইসেন্সিং অথরিটি-কে অবহিত করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কাজ শুরু করা যাবে।

আরও পড়ুন: সিএএ-তে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের সময়সীমা ১০ বছর বাড়াল কেন্দ্র

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইসেন্স প্রক্রিয়ার সময়সীমাও বর্তমান ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ৪৫ দিন করা হবে। এর ফলে আবেদন প্রক্রিয়ার গতি বাড়বে এবং মোট লাইসেন্স আবেদনের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিল কেন্দ্র, রাজনৈতিক তরজা শুরু