০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে রাজ্যের প্রশাংসায় কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 61

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে মূলত রাজ্য দেয় ৫০ শতাংশ টাকা, একই পরিমাণ টাকা দেয় কেন্দ্রও। জল জীবন মিশনের অধীনে রাজ্য ভালোই কাজ করছে। মঙ্গলবার জল জীবন মিশন নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানেই উঠে এল এই তথ্য।

 

আরও পড়ুন: অগ্নিবীর আরএসএসের প্রকল্প : রাহুল

জানা গিয়েছে জল জীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে প্রতি ঘরে জল পৌঁছনোর কাজে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তোষও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের আধিকারিকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে এই টাকা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন: সপরিবারে গঙ্গাসাগরে রাজ্যপাল, আয়োজন দেখে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা

 

আরও পড়ুন: ফের ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইমরান

মঙ্গলবারের বৈঠকে বিভিন্ন জেলার আধিকারিকরা এই বৈঠকে ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পর্যায়ের আধিকারিকও। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত থেকে রাজ্যের কাজের প্রশংসা করেন কেন্দ্রের আধিকারিক। বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছনোর কাজে রাজ্য একাধিকবার এক নম্বর হয়েছে।

 

মুখ্যসচিব চান, এই রেকর্ড যেন কোনোভাবেই হারিয়ে না যায়। এদিন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই স্কুল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার।

 

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাড়ি বাড়ি কলের জলসংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অর্জন করে। কেন্দ্রের তরফে গত অর্থবর্ষে যে, রিপোর্ট সামনে এসেছিল, তাতে ২৩ লক্ষ পার করে গিয়েছিল এই সংযোগের সীমা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল ওড়িশা ও বিহার। তবে তারা ১৭ লক্ষের ঘরে ছিল বলেই সূত্রের খবর। এবারও কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে রাজ্য। যদিও পরিসংখ্যানভিত্তিক হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়।

 

২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপবাহিত জলসংযোগ পৌঁছে দিতে রাজ্যকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯-এর ১৫ আগস্ট জল জীবন মিশন শুরু করার কথা ঘোষণা করেন। দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি পরিবারে ২০২৪-এর মধ্যে পাইপবাহিত জলসংযোগ পৌঁছে দিতে এই মিশনের সূচনা হয়।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

 ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে রাজ্যের প্রশাংসায় কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে মূলত রাজ্য দেয় ৫০ শতাংশ টাকা, একই পরিমাণ টাকা দেয় কেন্দ্রও। জল জীবন মিশনের অধীনে রাজ্য ভালোই কাজ করছে। মঙ্গলবার জল জীবন মিশন নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানেই উঠে এল এই তথ্য।

 

আরও পড়ুন: অগ্নিবীর আরএসএসের প্রকল্প : রাহুল

জানা গিয়েছে জল জীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে প্রতি ঘরে জল পৌঁছনোর কাজে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তোষও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের আধিকারিকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে এই টাকা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন: সপরিবারে গঙ্গাসাগরে রাজ্যপাল, আয়োজন দেখে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা

 

আরও পড়ুন: ফের ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইমরান

মঙ্গলবারের বৈঠকে বিভিন্ন জেলার আধিকারিকরা এই বৈঠকে ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পর্যায়ের আধিকারিকও। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত থেকে রাজ্যের কাজের প্রশংসা করেন কেন্দ্রের আধিকারিক। বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছনোর কাজে রাজ্য একাধিকবার এক নম্বর হয়েছে।

 

মুখ্যসচিব চান, এই রেকর্ড যেন কোনোভাবেই হারিয়ে না যায়। এদিন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই স্কুল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার।

 

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাড়ি বাড়ি কলের জলসংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অর্জন করে। কেন্দ্রের তরফে গত অর্থবর্ষে যে, রিপোর্ট সামনে এসেছিল, তাতে ২৩ লক্ষ পার করে গিয়েছিল এই সংযোগের সীমা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল ওড়িশা ও বিহার। তবে তারা ১৭ লক্ষের ঘরে ছিল বলেই সূত্রের খবর। এবারও কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে রাজ্য। যদিও পরিসংখ্যানভিত্তিক হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়।

 

২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপবাহিত জলসংযোগ পৌঁছে দিতে রাজ্যকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯-এর ১৫ আগস্ট জল জীবন মিশন শুরু করার কথা ঘোষণা করেন। দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি পরিবারে ২০২৪-এর মধ্যে পাইপবাহিত জলসংযোগ পৌঁছে দিতে এই মিশনের সূচনা হয়।