২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই’ বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 29

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়---(ছবি-সন্দীপ সাহা)

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে আসা অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরও পড়ুন: পুণেতে সেতু দুর্ঘটনায় শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকলকে এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ। দুবছর পর বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে। করোনার পর আমরাই প্রথম রাজ্য যেখানে এই বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা হচ্ছে প্রস্তাব, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

 

মমতা এদিন তার রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে তুলে ধরে বলেন, আট স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্য। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নে।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে এগিয়ে বাংলা। এখন রাজ্যে কর্ম দিবস নষ্ট হয় না।  রাজস্ব আয় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।     বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৮ শতাংশ।  দেশের মধ্যে বাংলার ডিজিপি’র হার বেশি। এমএসএমই-তে বাংলা প্রথম। আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ৩৮ শতাংশ। মমতা আরও বলেন, স্কিল ডেভেলপমেণ্ট-এ বাংলা প্রথম। ১০ হাজার টাকা করে কৃষকদের দেওয়া হয়। দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার গেট-ওয়ে হল বাংলা।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এমএসএমই ও ই-টেন্ডারিং-য়ে বাংলা প্রথম। ২০০’র বেশি ইন্ডাস্ট্রি পার্ক হয়েছে বাংলায়। ওএনজিসি প্রকল্প চালু হয়েছে অশোকনগরে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। রাজ্যে পর্যটন শিল্পের বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লক্ষ শিল্পের কর্ম সংস্থান। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই।

এদিন সম্মেলন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে অনুরোধ করে বলেন, আমরা কেন্দ্রের তরফে সব রকম সহযোগিতা চাই। যাতে শিল্পপতিদের কেউ বিরক্ত না করেন সেটা দেখবেন।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

উল্লেখ্য, রাজ্যে শুরু হয়ে গেল ষষ্ঠ শিল্প বাণিজ্য সম্মেলন। প্রথমে এই শিল্প সম্মেলনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

শিল্প সম্মেলনে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,  মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র,  শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীরা। শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দল,  সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো মুখ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেন থেকে এসেছেন ৪৯ জনের শিল্প প্রতিনিধি দল। ভারতের বাইরে ১৯ দেশের ২৫০ প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই’ বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে আসা অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরও পড়ুন: পুণেতে সেতু দুর্ঘটনায় শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকলকে এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ। দুবছর পর বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে। করোনার পর আমরাই প্রথম রাজ্য যেখানে এই বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা হচ্ছে প্রস্তাব, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

 

মমতা এদিন তার রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে তুলে ধরে বলেন, আট স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্য। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নে।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে এগিয়ে বাংলা। এখন রাজ্যে কর্ম দিবস নষ্ট হয় না।  রাজস্ব আয় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।     বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৮ শতাংশ।  দেশের মধ্যে বাংলার ডিজিপি’র হার বেশি। এমএসএমই-তে বাংলা প্রথম। আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ৩৮ শতাংশ। মমতা আরও বলেন, স্কিল ডেভেলপমেণ্ট-এ বাংলা প্রথম। ১০ হাজার টাকা করে কৃষকদের দেওয়া হয়। দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার গেট-ওয়ে হল বাংলা।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এমএসএমই ও ই-টেন্ডারিং-য়ে বাংলা প্রথম। ২০০’র বেশি ইন্ডাস্ট্রি পার্ক হয়েছে বাংলায়। ওএনজিসি প্রকল্প চালু হয়েছে অশোকনগরে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। রাজ্যে পর্যটন শিল্পের বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লক্ষ শিল্পের কর্ম সংস্থান। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই।

এদিন সম্মেলন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে অনুরোধ করে বলেন, আমরা কেন্দ্রের তরফে সব রকম সহযোগিতা চাই। যাতে শিল্পপতিদের কেউ বিরক্ত না করেন সেটা দেখবেন।

'লক্ষ্য কর্ম সংস্থান, কৃষি-শিল্প দুই ক্ষেত্রেই হাসি ফোটাতে চাই' বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বার্তা  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

উল্লেখ্য, রাজ্যে শুরু হয়ে গেল ষষ্ঠ শিল্প বাণিজ্য সম্মেলন। প্রথমে এই শিল্প সম্মেলনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

শিল্প সম্মেলনে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,  মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র,  শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীরা। শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দল,  সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো মুখ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেন থেকে এসেছেন ৪৯ জনের শিল্প প্রতিনিধি দল। ভারতের বাইরে ১৯ দেশের ২৫০ প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।