০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঠ্যবই থেকে শিখে বাবাকে ‘আব্বু’ ও মাকে ‘আম্মি’ ডাকছে শিশু, জেলাশাসককে অভিযোগ দায়ের অভিভাবকের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 97

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পাঠ্যপুস্তক থেকে শিখে ছেলে বাবাকে আব্বু ও মা’কে আম্মু বলে  সম্বোধন করছে। এই অভিযোগ জানিয়ে দেরাদুনের জেলাশসকের দ্বারস্থ হলেন এক অভিভাবক। মনীশ মিত্তল নামে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলে বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁদের আব্বু ও আম্মু বলে সম্বোধন করতে শুরু করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র সে। তিনি আরও বলেন, গুলমোহর পার্ট ২ বইটি পড়ার পর থেকে তাঁদের ছেলে এমন সম্বোধন করছে। তাই জেলাশাসককে বইটি নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি।

তিনি চিঠিতে আরও বলেন, একদিন হঠাৎ করেই আমার সন্তান  তার মা’কে আম্মু ও আমাকে আব্বু’কে বলে ডাকতে শুরু করে। যা আমাদের কাছে বড্ড বেদনাদায়ক ছিল। যদিও প্রথমে এই বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু যখন আমার সন্তান ঘন ঘন আমাকে আব্বু-ও আমার স্ত্রী’কে আম্মু বলে ডাকতে শুরু করে তখন আমরা  যখন জিজ্ঞাসা করি কোথা থেকে এই  শব্দগুলি শিখেছ? তখন সে তার পাঠ্য বই টি আমাদের দেখায়। তাই আমি দেরাদুনের জেলাশাসকের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিই।

আমার মতে, হিন্দি বইয়ে মাতা-পিতা, উর্দু পুস্তকে আব্বু-আম্মি বলা চললেও ইংলিশ বইয়ে আব্বু-আম্মু শব্দের ব্যবহার সত্যি অনুচিত।   গুলমোহর পার্ট ২ বইটি হায়দরাবাদের ওরিয়েন্ট ব্ল্যাক সোয়ান প্রকাশ করেছে। পুস্তক’টির প্রথম অধ্যায়েই বাবা-মা  কে আব্বু-আম্মু  বলে সম্বোধন করা হয়েছে। আর এই বইটি শুধু দেহরাদুনে পড়ানো হয়না,  দেশের সমস্ত আইসিএসই স্কুলে এই পুস্তকটি পাঠ করানো হয়।

এটি একটি গুরুতর বিষয়। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর অনুশীলন বন্ধ করতে হবে। ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর গুরুতর আক্রমণ বলেও মনে করি আমি বলে জানান মিত্তল।  মনীশ  মিত্তল পেশায় একজন কৃষক। তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে “এই ধরনের ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ” প্রতিরোধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জেলায় বইটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। ঘটনাপ্রসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোনিকা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মুখ্য শিক্ষা আধিকারিককে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের শিক্ষা দফতরের জেনারেল ম্যানেজার বংশীধর তিওয়ারি বলেছেন যে, দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং অভিযোগের বিশদ পরীক্ষা করার পর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাঠ্যবই থেকে শিখে বাবাকে ‘আব্বু’ ও মাকে ‘আম্মি’ ডাকছে শিশু, জেলাশাসককে অভিযোগ দায়ের অভিভাবকের

আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পাঠ্যপুস্তক থেকে শিখে ছেলে বাবাকে আব্বু ও মা’কে আম্মু বলে  সম্বোধন করছে। এই অভিযোগ জানিয়ে দেরাদুনের জেলাশসকের দ্বারস্থ হলেন এক অভিভাবক। মনীশ মিত্তল নামে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলে বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁদের আব্বু ও আম্মু বলে সম্বোধন করতে শুরু করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র সে। তিনি আরও বলেন, গুলমোহর পার্ট ২ বইটি পড়ার পর থেকে তাঁদের ছেলে এমন সম্বোধন করছে। তাই জেলাশাসককে বইটি নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি।

তিনি চিঠিতে আরও বলেন, একদিন হঠাৎ করেই আমার সন্তান  তার মা’কে আম্মু ও আমাকে আব্বু’কে বলে ডাকতে শুরু করে। যা আমাদের কাছে বড্ড বেদনাদায়ক ছিল। যদিও প্রথমে এই বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু যখন আমার সন্তান ঘন ঘন আমাকে আব্বু-ও আমার স্ত্রী’কে আম্মু বলে ডাকতে শুরু করে তখন আমরা  যখন জিজ্ঞাসা করি কোথা থেকে এই  শব্দগুলি শিখেছ? তখন সে তার পাঠ্য বই টি আমাদের দেখায়। তাই আমি দেরাদুনের জেলাশাসকের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিই।

আমার মতে, হিন্দি বইয়ে মাতা-পিতা, উর্দু পুস্তকে আব্বু-আম্মি বলা চললেও ইংলিশ বইয়ে আব্বু-আম্মু শব্দের ব্যবহার সত্যি অনুচিত।   গুলমোহর পার্ট ২ বইটি হায়দরাবাদের ওরিয়েন্ট ব্ল্যাক সোয়ান প্রকাশ করেছে। পুস্তক’টির প্রথম অধ্যায়েই বাবা-মা  কে আব্বু-আম্মু  বলে সম্বোধন করা হয়েছে। আর এই বইটি শুধু দেহরাদুনে পড়ানো হয়না,  দেশের সমস্ত আইসিএসই স্কুলে এই পুস্তকটি পাঠ করানো হয়।

এটি একটি গুরুতর বিষয়। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর অনুশীলন বন্ধ করতে হবে। ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর গুরুতর আক্রমণ বলেও মনে করি আমি বলে জানান মিত্তল।  মনীশ  মিত্তল পেশায় একজন কৃষক। তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে “এই ধরনের ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ” প্রতিরোধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জেলায় বইটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। ঘটনাপ্রসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোনিকা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মুখ্য শিক্ষা আধিকারিককে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের শিক্ষা দফতরের জেনারেল ম্যানেজার বংশীধর তিওয়ারি বলেছেন যে, দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং অভিযোগের বিশদ পরীক্ষা করার পর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।