০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারাগার থেকে মুক্তি ‘চিনের গুপ্তচর পায়রা’র

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার
  • / 47

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রায় ৯ মাস আগে চেম্বুরের পির পাউ জেট্টিতে একটি পায়রাকে গ্রেফতার করেছিল আরসিএফ পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকরা। কারন তাকে চিনা গুপ্তচর বলে মনে করেছিল পুলিশ। পায়রার শরীরে লেগে ছিল তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের দুটি রিং। আর সঙ্গে একটি কাগজ। সেই কাগজে দুর্বোধ্য ভাষায় কিছু একটা লেখা ছিল। কিন্তু সেটা কোনও ভারতীয় ভাষা নয়। আবার চিনা ভাষাও নয়। তবে অক্ষরগুলি অনেকটাই যেন চিনা বর্ণমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাই সাকারবাই দিনশউ পেটিট হসপিটাল ফর অ্যানিমলস নামে একটি হাসপাতালে। সেখানে তার পরীক্ষাও হয়। চিকিৎসকরা জানায়, সেই পায়রা একেবারেই নীরিহ। তার শরীরে অন্য কোনও ডিভাইস নেই। তার কোনও অসুখ ও নেই। এরপর থেকে খাঁচায় বন্দী হয়ে পড়েছিল সে। পরে পুলিশও জানায়, যে গুপ্তচর নয় ওই পায়রা। তাইওয়ানে কোনওভাবে একটি খেলায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ভুল করে ভারতে ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু অপরাধ না করেও জেলেই দিন কাটছিল তার।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তারপর খবর দেওয়া হয় পেটাকে। তাদের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের বারান্দা থেকে আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হল ওই পায়রাকে। সে নিজ দেশে ফিরে গেছে নাকি ভারতের মায়ায় জড়িয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: এসি চালিয়ে আরামের ঘুম, চোরকে জাগাল পুলিশ

 

আরও পড়ুন: বাঁদরামি করতে গিয়ে ছিনতাই ১ লক্ষ টাকা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কারাগার থেকে মুক্তি ‘চিনের গুপ্তচর পায়রা’র

আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রায় ৯ মাস আগে চেম্বুরের পির পাউ জেট্টিতে একটি পায়রাকে গ্রেফতার করেছিল আরসিএফ পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকরা। কারন তাকে চিনা গুপ্তচর বলে মনে করেছিল পুলিশ। পায়রার শরীরে লেগে ছিল তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের দুটি রিং। আর সঙ্গে একটি কাগজ। সেই কাগজে দুর্বোধ্য ভাষায় কিছু একটা লেখা ছিল। কিন্তু সেটা কোনও ভারতীয় ভাষা নয়। আবার চিনা ভাষাও নয়। তবে অক্ষরগুলি অনেকটাই যেন চিনা বর্ণমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাই সাকারবাই দিনশউ পেটিট হসপিটাল ফর অ্যানিমলস নামে একটি হাসপাতালে। সেখানে তার পরীক্ষাও হয়। চিকিৎসকরা জানায়, সেই পায়রা একেবারেই নীরিহ। তার শরীরে অন্য কোনও ডিভাইস নেই। তার কোনও অসুখ ও নেই। এরপর থেকে খাঁচায় বন্দী হয়ে পড়েছিল সে। পরে পুলিশও জানায়, যে গুপ্তচর নয় ওই পায়রা। তাইওয়ানে কোনওভাবে একটি খেলায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ভুল করে ভারতে ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু অপরাধ না করেও জেলেই দিন কাটছিল তার।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তারপর খবর দেওয়া হয় পেটাকে। তাদের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের বারান্দা থেকে আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হল ওই পায়রাকে। সে নিজ দেশে ফিরে গেছে নাকি ভারতের মায়ায় জড়িয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: এসি চালিয়ে আরামের ঘুম, চোরকে জাগাল পুলিশ

 

আরও পড়ুন: বাঁদরামি করতে গিয়ে ছিনতাই ১ লক্ষ টাকা