২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেতুর স্তম্ভ তৈরিতে অবরুদ্ধ চূর্ণী নদীর প্রবাহ পথ,প্রতিবাদ পরিবেশ কর্মীদের

শফিকুল ইসলাম
  • আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার
  • / 12

পুবের কলম প্রতিবেদক,নদিয়া:

১২ নম্বর  জাতীয়(আগের নং ছিল ৩৪) সড়ক সম্প্রসারণ করতে গিয়ে রানাঘাটের চূর্ণী  নদীর ওপর নতুন একটি সেতু করা হয়েছেসেই সেতু দিয়ে শুরু হয়েছে যান চলাচল। কিন্তু সেতু নির্মাণের সময় মাটি দিয়ে বুঝিয়ে ফেলা হয়েছিল নদীর একাংশ। তাতেই অবরুদ্ধ হয়েছে চূর্ণীর প্রবাহপথ। নদীবক্ষে সেতুর স্তম্ভ তৈরির কাজ শেষ হলেও কেন নদীর গতিপথ আটকে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশকর্মী ও সাধারণ মানুষজনএরই প্রতিবাদে ‘রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম’ নামক পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা  রানাঘাট প্রামানিক মোড়ে রবিবার এক অবস্থান- বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেএই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শহরের বিশিষ্ট নাগরিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ  ও সাধারণ মানুষরানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান  কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এই অবস্থান সমাবেশে বলেন,জাতীয় সড়ক সম্প্রসারনের কাজ খুব   ধীরগতিতে  হচ্ছে চূর্ণী নদীর উপর সেতু করতে গিয়ে স্তম্ভের পাশে মাটি ফেলা হয়েছেযার ফলে নদী খুব ছোট হয়ে গেছে,বলা যায় একেবারে খালের মত আকার নিয়েছেঅবিলম্বে তার ড্রেজিং করা দরকারফ্লাই ওভার এবং রাস্তা সম্প্রসারণের  কাজের জন্য এলাকার মানুষকে প্রচন্ড ধুলোর মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এবং  যারা রাস্তার পাশে বাস করেন তাদের বাড়িতে থাকতে  কষ্ট হচ্ছে  । রাস্তায় জল ছিটিয়ে দেওয়া হয় খুব কমধুলোয় অতিষ্ঠ এলাকাবাসীসিটিজেন ফোরামের সম্পাদক পরেশনাথ কর্মকার বলেন,৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য রানাঘাটে নদীর উপরে থাকা জাতীয় সড়কের পুরনো একটি সেতুর সমান্তরালে তৈরি হয়েছে অপর একটি নতুন সেতু। সেই সেতু তৈরি করতে গিয়ে নদীর দু’দিকের পাড় কার্যত বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। কথা ছিল, সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেই নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। অথচ নতুন সেতুতে স্তম্ভের পাশের অংশে মাটি ফেলার কারণে নদী সেখানে প্রায় নালায় পরিণত হয়েছেআমরা এর প্রতিবাদে নেমেছি। ‘রানাঘাট মৈত্রী’র সভাপতি সুবীর ভৌমিক বলেন, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হচ্ছে খুব ভাল কথা , নতুনসেতুও হয়েছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক মহল জেনে-বুঝেই মিথ্যাচার করছে। দূষিত নদীর তালিকায় শীর্ষ স্তরে থাকা চূর্ণীকে এখন হয়তো সরকারি উদ্যোগেই মেরে ফেলা হবেরাজনৈতিকভাবে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে।

অবস্থান সমাবেশে নাট্যকর্মী রতন দেবনাথ,রঙ্গিত ঘোষ,কবি গৌরাঙ্গকৃষ্ণ দে, সাংস্কৃতিক কর্মী বিবেকানন্দ চৌধুরী,ইন্দ্রানী ঘোষ,সাংবাদিক স্বপন ভৌমিক,শফিকুল ইসলাম,অসীম তরফদার,পুর কাউন্সিলর শেখর মুহুরি,বাউল শিল্পী মুনছুর ফকির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সেতুর স্তম্ভ তৈরিতে অবরুদ্ধ চূর্ণী নদীর প্রবাহ পথ,প্রতিবাদ পরিবেশ কর্মীদের

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক,নদিয়া:

১২ নম্বর  জাতীয়(আগের নং ছিল ৩৪) সড়ক সম্প্রসারণ করতে গিয়ে রানাঘাটের চূর্ণী  নদীর ওপর নতুন একটি সেতু করা হয়েছেসেই সেতু দিয়ে শুরু হয়েছে যান চলাচল। কিন্তু সেতু নির্মাণের সময় মাটি দিয়ে বুঝিয়ে ফেলা হয়েছিল নদীর একাংশ। তাতেই অবরুদ্ধ হয়েছে চূর্ণীর প্রবাহপথ। নদীবক্ষে সেতুর স্তম্ভ তৈরির কাজ শেষ হলেও কেন নদীর গতিপথ আটকে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশকর্মী ও সাধারণ মানুষজনএরই প্রতিবাদে ‘রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম’ নামক পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা  রানাঘাট প্রামানিক মোড়ে রবিবার এক অবস্থান- বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেএই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শহরের বিশিষ্ট নাগরিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ  ও সাধারণ মানুষরানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান  কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এই অবস্থান সমাবেশে বলেন,জাতীয় সড়ক সম্প্রসারনের কাজ খুব   ধীরগতিতে  হচ্ছে চূর্ণী নদীর উপর সেতু করতে গিয়ে স্তম্ভের পাশে মাটি ফেলা হয়েছেযার ফলে নদী খুব ছোট হয়ে গেছে,বলা যায় একেবারে খালের মত আকার নিয়েছেঅবিলম্বে তার ড্রেজিং করা দরকারফ্লাই ওভার এবং রাস্তা সম্প্রসারণের  কাজের জন্য এলাকার মানুষকে প্রচন্ড ধুলোর মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এবং  যারা রাস্তার পাশে বাস করেন তাদের বাড়িতে থাকতে  কষ্ট হচ্ছে  । রাস্তায় জল ছিটিয়ে দেওয়া হয় খুব কমধুলোয় অতিষ্ঠ এলাকাবাসীসিটিজেন ফোরামের সম্পাদক পরেশনাথ কর্মকার বলেন,৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য রানাঘাটে নদীর উপরে থাকা জাতীয় সড়কের পুরনো একটি সেতুর সমান্তরালে তৈরি হয়েছে অপর একটি নতুন সেতু। সেই সেতু তৈরি করতে গিয়ে নদীর দু’দিকের পাড় কার্যত বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। কথা ছিল, সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেই নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। অথচ নতুন সেতুতে স্তম্ভের পাশের অংশে মাটি ফেলার কারণে নদী সেখানে প্রায় নালায় পরিণত হয়েছেআমরা এর প্রতিবাদে নেমেছি। ‘রানাঘাট মৈত্রী’র সভাপতি সুবীর ভৌমিক বলেন, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হচ্ছে খুব ভাল কথা , নতুনসেতুও হয়েছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক মহল জেনে-বুঝেই মিথ্যাচার করছে। দূষিত নদীর তালিকায় শীর্ষ স্তরে থাকা চূর্ণীকে এখন হয়তো সরকারি উদ্যোগেই মেরে ফেলা হবেরাজনৈতিকভাবে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে।

অবস্থান সমাবেশে নাট্যকর্মী রতন দেবনাথ,রঙ্গিত ঘোষ,কবি গৌরাঙ্গকৃষ্ণ দে, সাংস্কৃতিক কর্মী বিবেকানন্দ চৌধুরী,ইন্দ্রানী ঘোষ,সাংবাদিক স্বপন ভৌমিক,শফিকুল ইসলাম,অসীম তরফদার,পুর কাউন্সিলর শেখর মুহুরি,বাউল শিল্পী মুনছুর ফকির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।