পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ত্রিশূরে নির্বাচনী প্রচার থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লোকের খুব অহংকার করে বলে বেড়াচ্ছেন, ভারতের সংবিধান পরিবর্তনের কথা। আসলে বিজেপি সরকারের ইচ্ছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলির পাশ কাটিয়ে আইন প্রণয়ন করবে তারা, আর সেগুলি জনসাধারণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাদের উপর চাপিয়ে দেবে। প্রিয়াঙ্কা তীব্র কটাক্ষের সুরে বলেন, আসলে মোদি সরকার ভারতের সংবিধানকে নিজস্ব লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি উপকরণ হিসাবে বিবেচনা করে এটিকে একটি কাগজের টুকরো বলেই মনে করছে। যখন খুশি পরিবর্তন করা যায়। ত্রিশূরের চালকুডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী বেনি বেহাননের হয়ে প্রচারে এসে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লাগাতার আক্রমণ করেন প্রিয়াঙ্কা।
কংগ্রেস নেত্রী বলেন, যখন তিনি ভারতের প্রতিষ্ঠার নীতিগুলি ধ্বংসের দুয়ারে থাকার কথা বলেন, তখন কেউ বলেন একটি নতুন ভারত তৈরি হচ্ছে। আর এই নতুন ভারত হল যেখানে খালি ধার্মিকতার নামে শক্তি প্রদর্শন করে নিজেকে জোরদার প্রমাণ করা, আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে, নিজের মতো আইন প্রণয়ন করে দেশের নাগরিকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। প্রিয়াঙ্কা বলেন, লাদাখে চিনা দখল নিয়েও চুপ থেকেছে কেন্দ্র, কৃষক আন্দোলনের সময়েও তারা নীরব থেকেছে, কিন্তু ভোট আসলেই তাদের গলার জোর বেড়ে যায়।
প্রিয়াঙ্কা কেন্দ্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, নয়া ভারত গড়তে গিয়ে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলার সাহস রাখে তাদের কপালে জোটে হয়রানি, অভিযুক্ত হওয়া থেকে জেলে যাওয়া। নয়া ভারত গঠনে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতজানু করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, মোদি একদিকে দাবি করছেন তিনি মহিলাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন, আর অন্য দিকে ধর্ষকদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘একচেটিয়া বন্ধুদের’ সুবিধার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে, আর জনগণকে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন তোলেন, কিভাবে প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন কংগ্রেস আর ইন্ডিয়া ব্লককে প্রথম দফার ভোটে প্র্ত্যাখ্যান করেছে মানুষ। ভোটের রেজাল্ট বের হয়নি, তার আগেই কিভাবে এমন দাবি করা যায়?
প্রিয়াঙ্কা তীব্র কটাক্ষে সুরে বলেন, ভোটের প্রচারে বিজেপি বলছে তারা ৪০০ সিট পাবে। ভোটের রেজাল্ট বের হওয়ার আগেই তারা কিভাবে এইসব দাবি করছে, সেটা জানি না। প্রিয়াঙ্কা দাবি করেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, আমার বিশ্বাস পরিবর্তন আসবেই।
এদিন প্রিয়াঙ্কাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, তিনি রায়বরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, উত্তরে কংগ্রেস নেত্রী জানান কয়েকদিনের মধ্যেই সেটা জানতে পারবেন তারা।