ইসলামবাদ, ২০ এপ্রিল: গত এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখে গিয়েছে পাকিস্তানে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়াবহ বন্যায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। দেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (NDMA) জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া (KP), বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এনডিএমএ-র সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়ি-ঘর সহ অন্যান্য নির্মীয়মাণ ভবণ ধসে পড়ে এখনও পর্যন্ত ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮৯ জন আহত হয়েছেন। ৩ হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ শোর বেশি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার ফলে ভূমিধসে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ ও বেলুচিস্তানের পার্বত্য এলাকায় সড়ক ও সেতুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এনডিএমএ কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, ভারী বৃষ্টিপাত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে সম্ভাব্য বন্যা দেখা দিতে পারে। বৃষ্টিপাতের কারণে খুজদার, জিয়ারাত, ঝব, শেরানি, মুসলিম বাগ, কোয়েটা, পিশিন, কেচ, পাঞ্জগুর, গোয়াদার এবং তুরবতসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের স্থানীয় নালাগুলোতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২৫ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা দুর্বল বাড়ি-ঘর ও যে কোনও দুর্বল অবকাঠামো থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানো বা অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানেও ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। আফগান বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত ও ৫৬ জন আহত হয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় ২ হাজার ৬২৭টি বাড়ি আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬ শোর বেশি গবাদিপশু মারা গেছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ভারী বৃষ্টিপাত রবিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।