২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ বছরের চেষ্টায় চিনে তৈরি করোনা ভাইরাস !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 41

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  করোনা ভাইরাস ‘মানুষের তৈরি ভাইরাস’ বলে জানিয়েছেন চিনের উহানের ল্যাবরেটরিতে কাজ করা এক মার্কিন বিজ্ঞানী। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ ভাইরাস তৈরিতে চিনকে বিপুল অর্থসহায়তা দিয়েছে মার্কিন সরকার।

 

আরও পড়ুন: আবারও ভয় ধরাচ্ছে করোনা

ব্রিটিশ মিডিয়া ‘দ্য সান’-এ মার্কিন গবেষক অ্যান্ড্রু হাফ জানিয়েছেন, দু’বছর আগে চিন সরকার পরিচালিত উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (ডব্লিউআইভি) থেকেই কোভিড ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল। ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট উহান’ বইয়ে অ্যান্ড্রু হাফ দাবি করেন, মার্কিন সরকার করোনা ভাইরাস তৈরি করতে চিনকে আর্থিক অনুদানও দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: বাংলায় মিলল করোনা! মগরাহাটের দু’জনের দেহে মিলল ভাইরাস

 

আরও পড়ুন: চিনে বাদুড়ের দেহে মিলল নতুন করোনা ভাইরাস

হাফের বইয়ের কিছু অংশ ‘দ্য সানে’ প্রকাশিত হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজ করছে ‘ইকো হেলথ অ্যালায়েন্স’ নামে একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন। তারই ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু হাফ।

 

হাফ তাঁর বইয়ে দাবি করেন, এই ভাইরাস তৈরিতে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উহান গবেষণাগারে গবেষণা চালিয়েছিল মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)। আরও দাবি, উহানের ওই গবেষণাগারে উপযুক্ত সুরক্ষা ছিল না। তার জেরেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।

 

বায়োসেফটি, বায়ো সিকিউরিটি, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বিদেশের ওই গবেষণাগারে পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। উহান ল্যাব থেকে কোভিডের উৎপত্তি নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। চিনা সরকারি কর্মকর্তা এবং ল্যাব কর্মীরা ভাইরাসটির উহানে উৎপত্তির কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। দ্য সান পত্রিকায় হাফ বলেন, চিন প্রথম থেকেই জানত এটা জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড এজেন্ট।

 

ভয়াবহ বায়োটেকনোলজিকে চিনে ট্রান্সফার করার জন্য মার্কিন সরকারকেও দায়ী করতে হয়। অ্যান্ড্রু হাফ তার বইয়ে বলেন, চিনের ওই গবেষণাগারে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ভাইরাসটি লিক হয়।  এর আগে চিনের উহান গবেষণাগার থেকেই করোনার জীবাণু ছড়ানো হয়েছিল কি-না, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

এর জন্য গভীরে গিয়ে তদন্তের প্রয়োজন বলে গত জুন মাসে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল সংস্থাটি। তদন্তে চিন সাহায্য করছে না বলে দাবি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১০ বছরের চেষ্টায় চিনে তৈরি করোনা ভাইরাস !

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  করোনা ভাইরাস ‘মানুষের তৈরি ভাইরাস’ বলে জানিয়েছেন চিনের উহানের ল্যাবরেটরিতে কাজ করা এক মার্কিন বিজ্ঞানী। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ ভাইরাস তৈরিতে চিনকে বিপুল অর্থসহায়তা দিয়েছে মার্কিন সরকার।

 

আরও পড়ুন: আবারও ভয় ধরাচ্ছে করোনা

ব্রিটিশ মিডিয়া ‘দ্য সান’-এ মার্কিন গবেষক অ্যান্ড্রু হাফ জানিয়েছেন, দু’বছর আগে চিন সরকার পরিচালিত উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (ডব্লিউআইভি) থেকেই কোভিড ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল। ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট উহান’ বইয়ে অ্যান্ড্রু হাফ দাবি করেন, মার্কিন সরকার করোনা ভাইরাস তৈরি করতে চিনকে আর্থিক অনুদানও দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: বাংলায় মিলল করোনা! মগরাহাটের দু’জনের দেহে মিলল ভাইরাস

 

আরও পড়ুন: চিনে বাদুড়ের দেহে মিলল নতুন করোনা ভাইরাস

হাফের বইয়ের কিছু অংশ ‘দ্য সানে’ প্রকাশিত হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজ করছে ‘ইকো হেলথ অ্যালায়েন্স’ নামে একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন। তারই ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু হাফ।

 

হাফ তাঁর বইয়ে দাবি করেন, এই ভাইরাস তৈরিতে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উহান গবেষণাগারে গবেষণা চালিয়েছিল মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)। আরও দাবি, উহানের ওই গবেষণাগারে উপযুক্ত সুরক্ষা ছিল না। তার জেরেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।

 

বায়োসেফটি, বায়ো সিকিউরিটি, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বিদেশের ওই গবেষণাগারে পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। উহান ল্যাব থেকে কোভিডের উৎপত্তি নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। চিনা সরকারি কর্মকর্তা এবং ল্যাব কর্মীরা ভাইরাসটির উহানে উৎপত্তির কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। দ্য সান পত্রিকায় হাফ বলেন, চিন প্রথম থেকেই জানত এটা জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড এজেন্ট।

 

ভয়াবহ বায়োটেকনোলজিকে চিনে ট্রান্সফার করার জন্য মার্কিন সরকারকেও দায়ী করতে হয়। অ্যান্ড্রু হাফ তার বইয়ে বলেন, চিনের ওই গবেষণাগারে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ভাইরাসটি লিক হয়।  এর আগে চিনের উহান গবেষণাগার থেকেই করোনার জীবাণু ছড়ানো হয়েছিল কি-না, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

এর জন্য গভীরে গিয়ে তদন্তের প্রয়োজন বলে গত জুন মাসে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল সংস্থাটি। তদন্তে চিন সাহায্য করছে না বলে দাবি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।