০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশির সিরাপে ছিল দূষিত রাসায়নিক! শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, গাম্বিয়ান পার্লামেন্টের সংসদীয় কমিটির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 71

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক  : ভারত থেকে আসা কাশির সিরাপ খেয়ে ৭০ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাপান-উতোর অব্যাহত। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কার্যত কাফসিরাপ প্রস্তুতকারি হরিয়ানা-ভিত্তিক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসকে ক্লিনচিট দেয়। আর তার কিছুদিন পরেই শিশু মৃত্যু সম্পর্কিত কাফ সিরাপের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল গাম্বিয়ান পার্লামেন্ট।

পার্লামেন্টের সংসদীয় কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ভারত থেকে আমদানি করা সিরাপগুলি বিষাক্ত পদার্থে দূষিত ছিল।

আরও পড়ুন: বিষাক্ত কফ সিরাপে ১০ শিশুর মৃত্যু, গ্রেফতার চিকিৎসক

পশ্চিম আফ্রিকার পার্লামেন্টের এই সংসদীয় প্যানেল নিশ্চিত করেছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দোষী এবং চলতি বছরের গাম্বিয়ায় কমপক্ষে ৭০ জন শিশুর মৃত্যুর জন্য এই সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকেই দায়ী করা উচিৎ।

আরও পড়ুন: জি ২০ বিজ্ঞাপনের পিছনে ৫০ কোটি ব্যয় মোদি সরকারের, চাঞ্চল্য রিপোর্ট

সংসদীয় কমিটি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আলাদাভাবে জানিয়েছে, যে কাশির সিরাপগুলির নমুনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইথিলেনেগ্লাইকল এবং ডাইথাইলেনিগ্লাইকোল রয়েছে, যা বিপজ্জনক রাসায়নিক। এই ধরনের রাসায়নিক কোনও ওষুধে থাকা উচিত নয়। যদিও ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষাগুলি তাদের পরীক্ষায় ইথিলেনেগ্লাইকল এবং ডাইথাইলেনিগ্লাইকোল খুঁজে পায়নি৷

আরও পড়ুন: ফের ভারতীয় সংস্থার তৈরি সিরাপ ক্ষতিকারক, বিবৃতি দিল ‘হু’

সংসদীয় কমিটি স্বাস্থ্যমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে জানিয়েছে চলতি বছরের ৪ থেকে ৬ নভেম্বর ৮টি সন্দেহভাজন মামলা, দুটি সম্ভাব্য মামলা, ৮২টি নিশ্চিত মামলা, ৭০টি মৃত্যুর (মৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ) ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়েছে। সংসদীয় কমিটি আরও জানিয়েছে, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কোফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ, ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপগুলি ঘানা ও সুইৎজারল্যান্ডের গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়। সেখানেও উচ্চ মাত্রায় ডাইথাইলেনিগ্লাইকোল ছিল বলে জানানো হয়েছে।

সিরাপগুলি খাওয়ার পর লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে দু থেকে তিনদিন সময় লেগেছে। প্রধানত প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দেয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে একদিনের মধ্যে আবার কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৬দিন সময় লেগেছে। তবে রিপোর্টে কতজন শিশু এই সিরাপ খেয়েছিল তা জানানো হয়নি।

সংসদীয় কমিটি অবশ্য জানিয়েছে শিশু মৃত্যুর মূল কারণ এখনও তদন্তের অধীনে। কারণ বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিষয়টি দেখছে।

তবে মৃত্যুর সঙ্গে চারটি পণ্যের অ্যাসোসিয়েশন থেকে গড়া কমিটি গাম্বিয়ায় দূষিত ওষুধ রফতানির জন্য মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে সুপারিশ করেছে। সেই সঙ্গে কমিটি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করা সহ গাম্বিয়ান বাজারে তাদের সমস্ত পণ্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাশির সিরাপে ছিল দূষিত রাসায়নিক! শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, গাম্বিয়ান পার্লামেন্টের সংসদীয় কমিটির

আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক  : ভারত থেকে আসা কাশির সিরাপ খেয়ে ৭০ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাপান-উতোর অব্যাহত। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কার্যত কাফসিরাপ প্রস্তুতকারি হরিয়ানা-ভিত্তিক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসকে ক্লিনচিট দেয়। আর তার কিছুদিন পরেই শিশু মৃত্যু সম্পর্কিত কাফ সিরাপের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল গাম্বিয়ান পার্লামেন্ট।

পার্লামেন্টের সংসদীয় কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ভারত থেকে আমদানি করা সিরাপগুলি বিষাক্ত পদার্থে দূষিত ছিল।

আরও পড়ুন: বিষাক্ত কফ সিরাপে ১০ শিশুর মৃত্যু, গ্রেফতার চিকিৎসক

পশ্চিম আফ্রিকার পার্লামেন্টের এই সংসদীয় প্যানেল নিশ্চিত করেছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দোষী এবং চলতি বছরের গাম্বিয়ায় কমপক্ষে ৭০ জন শিশুর মৃত্যুর জন্য এই সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকেই দায়ী করা উচিৎ।

আরও পড়ুন: জি ২০ বিজ্ঞাপনের পিছনে ৫০ কোটি ব্যয় মোদি সরকারের, চাঞ্চল্য রিপোর্ট

সংসদীয় কমিটি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আলাদাভাবে জানিয়েছে, যে কাশির সিরাপগুলির নমুনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইথিলেনেগ্লাইকল এবং ডাইথাইলেনিগ্লাইকোল রয়েছে, যা বিপজ্জনক রাসায়নিক। এই ধরনের রাসায়নিক কোনও ওষুধে থাকা উচিত নয়। যদিও ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষাগুলি তাদের পরীক্ষায় ইথিলেনেগ্লাইকল এবং ডাইথাইলেনিগ্লাইকোল খুঁজে পায়নি৷

আরও পড়ুন: ফের ভারতীয় সংস্থার তৈরি সিরাপ ক্ষতিকারক, বিবৃতি দিল ‘হু’

সংসদীয় কমিটি স্বাস্থ্যমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে জানিয়েছে চলতি বছরের ৪ থেকে ৬ নভেম্বর ৮টি সন্দেহভাজন মামলা, দুটি সম্ভাব্য মামলা, ৮২টি নিশ্চিত মামলা, ৭০টি মৃত্যুর (মৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ) ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়েছে। সংসদীয় কমিটি আরও জানিয়েছে, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কোফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ, ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপগুলি ঘানা ও সুইৎজারল্যান্ডের গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়। সেখানেও উচ্চ মাত্রায় ডাইথাইলেনিগ্লাইকোল ছিল বলে জানানো হয়েছে।

সিরাপগুলি খাওয়ার পর লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে দু থেকে তিনদিন সময় লেগেছে। প্রধানত প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দেয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে একদিনের মধ্যে আবার কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৬দিন সময় লেগেছে। তবে রিপোর্টে কতজন শিশু এই সিরাপ খেয়েছিল তা জানানো হয়নি।

সংসদীয় কমিটি অবশ্য জানিয়েছে শিশু মৃত্যুর মূল কারণ এখনও তদন্তের অধীনে। কারণ বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিষয়টি দেখছে।

তবে মৃত্যুর সঙ্গে চারটি পণ্যের অ্যাসোসিয়েশন থেকে গড়া কমিটি গাম্বিয়ায় দূষিত ওষুধ রফতানির জন্য মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে সুপারিশ করেছে। সেই সঙ্গে কমিটি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করা সহ গাম্বিয়ান বাজারে তাদের সমস্ত পণ্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে।