বারুইপুর মুখ্য ডাকঘরে একাধিক সমস্যায় আধার কার্ডের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ায় সমস্যায় গ্রাহকরা

- আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 30
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর :এবার ডাকঘরে আধার কার্ড করাতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচছে বারুইপুরে গ্রাহকদের। ডাকঘরে আধার কার্ড করাতে গিয়ে জেরবার হচ্ছেন গ্রাহকরা। অভিযোগ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এমনকী কম্পিউটারে লিঙ্ক না থাকায় প্রায় রোজই মানুষজনকে ফিরে যেতে হচ্ছে।বাধ্য হয়ে বাইরে গজিয়ে ওঠা দোকান ও সাইবার কাফে থেকে আধার কার্ড করাতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে শুরু করে ৫০০, এমনকী ১ হাজার টাকাও।
সেখানে লিঙ্ক, মেশিন সব ঠিকই থাকছে।এর জেরে ক্ষুব্ধ গ্রাহক। কবে লিংক আসবে?কবে মেশিন ঠিক হবে ? এসব প্রশ্ন করলে ডাকঘরের কর্মীরা উল্টে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন বলে ও অভিযোগ।আর এভাবেই চলছে দক্ষিন ২৪ পরগনার মুখ্য ডাকঘর বারুইপুর ডাকঘর।যদিও বারুইপুর মুখ্য ডাকঘরের পোস্টমাস্টার এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি।নতুন আধার কার্ড তৈরি থেকে আধার কার্ড আপডেট,কোনও কাজই হচ্ছে না বারুইপুরের মুখ্য ডাকঘরে।
বারুইপুর মুখ্য ডাকঘরে ১৫ দিন আগে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মেশিন বিকল।ফলে দূরদূরান্তের মানুষ এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।সুন্দরবনের কুলতলি, মৈপীঠ থেকে শুরু করে জয়নগর, রায়দিঘি, মথুরাপুর ও বারুইপুর এলাকার মানুষজন ভিড় করেন এই ডাকঘরে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, কবে মেশিন ঠিক হবে, কেউ বলতে পারছেন না। উল্টে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে। বাইরে বিভিন্ন সাইবার কাফে, গজিয়ে ওঠা দোকানে কালোবাজারি চলছে। আধার কার্ডের কাজ করতে যে যাঁর মতো টাকা নিচ্ছেন। কেউ নিচ্ছেন ৩৫০ টাকা কেউ বা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এমন হলে গরিব মানুষ কোথায় যাবে বলুন তো।
কুলতলির বাসিন্দা স্বপন হালদার ও জয়নগরের নিমাই পাল বলেন, বারুইপুরের মুখ্য ডাকঘরের যদি এই অবস্থা হয়,তাহলে অন্য জায়গার হাল কী? একটা মেশিন ১৫ দিন ধরে ঠিক করতে পারছে না। আটঘরার বাসিন্দা কাজল ঘোষ বলেন, নতুন তারিখ দিয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে, ওইদিন কাজ হবে। আবার সেদিন ডাকঘরে এলে বলা হচ্ছে, লিঙ্ক নেই। আজ হবে না। কীভাবে জানবো লিঙ্ক কবে আসবে?
ডাকঘরের কর্মীরা বলছেন, ল্যান্ড ফোন খারাপ। এসে ঘুরে যাবেন, যদি ঠিক হয়। আমাদের সঙ্গে মজা চলছে ডাকঘরে। গ্রাহকরা বলেন, এদিকে, বাইরের সাইবার কাফেতে কম্পিউটারে লিঙ্ক ঠিকই থাকছে। মোটা টাকা দিয়ে সেখানে কাজ করা হচ্ছে। এদিকে, সরকারি জায়গায় লিঙ্ক থাকছে না। কেউ বলারও নেই।সরকারি কাজে এত গরিমসি কেন হচ্ছে তার জবাব চায় সাধারন মানুষ।