৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে প্রস্তুত প্রথম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহের অনুমতি দিল ডিসিজিআই

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 27

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দেশে প্রস্তুত প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করার অনুমতি দিল ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডিসিজিআই। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) দু লক্ষ ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনকে বিদেশে রফতানি করার অনুমতি দিয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুসারে, ডিসিজিআই ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ভারতে প্রথম তৈরি এই ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দিল। যুক্তরাষ্ট্রের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) ভ্যাকসিনের দুই লক্ষ ডোজ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: সংঘাতের আবহে ইরানের পাশে নয়াদিল্লি, ভারতবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাল তেহরান

সরকারি সূত্রে খবর, ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি চেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ডিসিজিআই-তে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’র (এসআইআই) সরকার ও নিয়ন্ত্রক বিষয়ক পরিচালক প্রকাশ কুমার সিং একটি আবেদন জমা দেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা বাতিলের অর্ধেক ভারতীয় পড়ুয়া, সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

প্রকাশ কুমার সিং একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, আমাদের সিইও আদার সি পুনাওয়ালার নেতৃত্বে সিরাম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। আমরা আমাদের দেশ ও বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ভারতে তৈরি এবং বিশ্বমানের ভ্যাকসিন তৈরি জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি।

আরও পড়ুন: আমেরিকায় গ্রেফতার পঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড

বর্তমানে, ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একটি ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ, যার প্রস্তুতকারক হল জিএসকে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটে ডিজাইন করা হয়েছিল, যা ২০২০ সালে সিরামের-এর সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে সরবরাহের জন্য উৎপাদনে সহযোগিতা করেছিল।

বুর্কিনা ফাসোর নানোরে ৪০৯ শিশুর ওপরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা হয়। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, তিনটি প্রাথমিক ডোজ এবং এক বছর পর একটি বুস্টার দেওয়া হলে তা রোগের বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বর্তমানে আফ্রিকান দেশগুলিতে উন্নত পর্যায়ের ট্রায়ালের কাজ চালাচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারতে প্রস্তুত প্রথম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহের অনুমতি দিল ডিসিজিআই

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দেশে প্রস্তুত প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করার অনুমতি দিল ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডিসিজিআই। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) দু লক্ষ ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনকে বিদেশে রফতানি করার অনুমতি দিয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুসারে, ডিসিজিআই ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ভারতে প্রথম তৈরি এই ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দিল। যুক্তরাষ্ট্রের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) ভ্যাকসিনের দুই লক্ষ ডোজ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: সংঘাতের আবহে ইরানের পাশে নয়াদিল্লি, ভারতবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাল তেহরান

সরকারি সূত্রে খবর, ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি চেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ডিসিজিআই-তে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’র (এসআইআই) সরকার ও নিয়ন্ত্রক বিষয়ক পরিচালক প্রকাশ কুমার সিং একটি আবেদন জমা দেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা বাতিলের অর্ধেক ভারতীয় পড়ুয়া, সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

প্রকাশ কুমার সিং একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, আমাদের সিইও আদার সি পুনাওয়ালার নেতৃত্বে সিরাম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। আমরা আমাদের দেশ ও বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ভারতে তৈরি এবং বিশ্বমানের ভ্যাকসিন তৈরি জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি।

আরও পড়ুন: আমেরিকায় গ্রেফতার পঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড

বর্তমানে, ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একটি ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ, যার প্রস্তুতকারক হল জিএসকে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটে ডিজাইন করা হয়েছিল, যা ২০২০ সালে সিরামের-এর সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে সরবরাহের জন্য উৎপাদনে সহযোগিতা করেছিল।

বুর্কিনা ফাসোর নানোরে ৪০৯ শিশুর ওপরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা হয়। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, তিনটি প্রাথমিক ডোজ এবং এক বছর পর একটি বুস্টার দেওয়া হলে তা রোগের বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বর্তমানে আফ্রিকান দেশগুলিতে উন্নত পর্যায়ের ট্রায়ালের কাজ চালাচ্ছে।