২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনে কি ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়েছে?

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 140

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দীর্ঘ কূটনৈতিক ও আইনি যুদ্ধের পর শোনা যাচ্ছিল ইয়েমেনে খারিজ হয়ে গেছে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড। ভারতীয় মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর এই দাবি করেন বলে উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সেই তথ্য ভুল বলে জানা যাচ্ছে।

সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড বাতিলের যে দাবি করা হচ্ছে তা ভুল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।কূটনৈতিক পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিমিশার মৃত্যুদণ্ড ঠেকানোর একমাত্র উপায় ‘ব্লাড মানি’। তবে তাতে রাজি হয়নি ভুক্তভোগীর পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে কেরালার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন এপি আবুবকর মুসলিয়ার। ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে নিমিশা মামলা, সংযমের আর্জি মায়ের

যদিও ‘রক্তের দাম’ নিতে শুরু থেকেই নারাজ ছিলেন মৃত তালাল মাহদির ভাই আবদুল মাহদি। এই পরিস্থিতির মাঝেই মুসলিয়ার দফতরের দাবি শোরগোল ফেলে দেয় ভারতে। এরপরই সরকারি সূত্রের দাবি করে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে জানানো হয়, ইয়েমেনে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ করার যে দাবি করা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভুল।

আরও পড়ুন: ইয়েমেনে বন্দি নিমিশার ফাঁসি রুখতে এগিয়ে এলেন ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি, সাময়িক স্বস্তি ভারতীয় নার্সের পরিবারে

এনডিটিভির তথ্য মতে, ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান প্রিয়া। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করার পর নিজেই ক্লিনিক চালু করেন তিনি। ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদি নামে স্থানীয় একজনের সাথে যোগাযোগ করেন ভারতীয় ওই নারী, কারণ ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে, ব্যবসা শুরু করার জন্য স্থানীয় কারও সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুন: নার্স নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে ‘ভরসার হাত’ মুসলিম ধর্মগুরু আবুবকর মুসলিয়ার

জানা যায়, কেরালার ওই নার্সের সাথে মাহদির বিরোধ হয় এবং তিনি ওই ইয়েমেনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এরপরও মাহদি ভারতীয় ওই নার্সকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখেন বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, নিজের জব্দ থাকা পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির শরীরে ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন প্রিয়া। তবে অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। পরে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় প্রিয়াকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০১৮ সালে তাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইয়েমেনে কি ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়েছে?

আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দীর্ঘ কূটনৈতিক ও আইনি যুদ্ধের পর শোনা যাচ্ছিল ইয়েমেনে খারিজ হয়ে গেছে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড। ভারতীয় মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর এই দাবি করেন বলে উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সেই তথ্য ভুল বলে জানা যাচ্ছে।

সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড বাতিলের যে দাবি করা হচ্ছে তা ভুল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।কূটনৈতিক পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিমিশার মৃত্যুদণ্ড ঠেকানোর একমাত্র উপায় ‘ব্লাড মানি’। তবে তাতে রাজি হয়নি ভুক্তভোগীর পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে কেরালার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন এপি আবুবকর মুসলিয়ার। ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে নিমিশা মামলা, সংযমের আর্জি মায়ের

যদিও ‘রক্তের দাম’ নিতে শুরু থেকেই নারাজ ছিলেন মৃত তালাল মাহদির ভাই আবদুল মাহদি। এই পরিস্থিতির মাঝেই মুসলিয়ার দফতরের দাবি শোরগোল ফেলে দেয় ভারতে। এরপরই সরকারি সূত্রের দাবি করে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে জানানো হয়, ইয়েমেনে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ করার যে দাবি করা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভুল।

আরও পড়ুন: ইয়েমেনে বন্দি নিমিশার ফাঁসি রুখতে এগিয়ে এলেন ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি, সাময়িক স্বস্তি ভারতীয় নার্সের পরিবারে

এনডিটিভির তথ্য মতে, ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান প্রিয়া। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করার পর নিজেই ক্লিনিক চালু করেন তিনি। ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদি নামে স্থানীয় একজনের সাথে যোগাযোগ করেন ভারতীয় ওই নারী, কারণ ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে, ব্যবসা শুরু করার জন্য স্থানীয় কারও সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুন: নার্স নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে ‘ভরসার হাত’ মুসলিম ধর্মগুরু আবুবকর মুসলিয়ার

জানা যায়, কেরালার ওই নার্সের সাথে মাহদির বিরোধ হয় এবং তিনি ওই ইয়েমেনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এরপরও মাহদি ভারতীয় ওই নার্সকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখেন বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, নিজের জব্দ থাকা পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির শরীরে ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন প্রিয়া। তবে অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। পরে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় প্রিয়াকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০১৮ সালে তাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।