১১ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুটবল দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা আরো বহু মানুষের, দিশেহারা ইন্দোনেশিয়া সরকার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
  • / 24

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় হাসপাতালগুলি থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। হাসপাতালে শুধুই মৃতদেহের স্তুপ। কাঞ্জুরুওয়ান স্টেডিয়ামে ইন্দোনেশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন দুই দলের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে কাদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে পদপিষ্ট ও পরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান ১২৭ জন। বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ১৭৪। সময় যত যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে জানানো হয়েছে আর ভরা স্টেডিয়ামে তারা কোন ম্যাচ আয়োজন করতে চান না। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সেদেশের ফুটবল সংস্থা থেকে দেশের সরকার।

 

উল্লেখ্য, পূর্ব জাভার মালাং রিজেন্সিতে এই ম্যাচে পার্সিবায়া সুরাবায়া ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয় আরেমাকে। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই। আরেমার কিছু সমর্থক হঠাৎ করেই মাঠে ঢুকে পড়েন। ঝামেলা এড়াতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস চালায় । দুই দলের ফুটবলারদের বেশিরভাগই ড্রেসিংরুমে ঢুকে যেতে সমর্থ্য হলেও আরেমার কিছু ফুটবলার মাঠেই রয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ায় তাড়াহুড়ো করে স্টেডিয়াম থেকে বেরোতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময়ের অব্যবহিত পরে জানানো হয়েছিল মৃতের সংখ্যা ১২৭। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ১৭৪ । অর্থাৎ আরো ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনাস্থলেই ৩৪ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে বাকিদেরও মৃত্যু হয়। হাসপাতালেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো বহু মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রী জায়নুদ্দিন আমালি জানিয়েছেন,’ করোনার পরে সব যখন ঠিকঠাক হয়ে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো ঠিক তখনই এমন ঘটনা ঘটলো। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা আর দর্শক পূর্ণ স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করব না। আর আরেমার মাঠে তো ম্যাচ দেওয়াই হবে না।’

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফুটবল দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা আরো বহু মানুষের, দিশেহারা ইন্দোনেশিয়া সরকার

আপডেট : ২ অক্টোবর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় হাসপাতালগুলি থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। হাসপাতালে শুধুই মৃতদেহের স্তুপ। কাঞ্জুরুওয়ান স্টেডিয়ামে ইন্দোনেশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন দুই দলের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে কাদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে পদপিষ্ট ও পরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান ১২৭ জন। বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ১৭৪। সময় যত যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে জানানো হয়েছে আর ভরা স্টেডিয়ামে তারা কোন ম্যাচ আয়োজন করতে চান না। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সেদেশের ফুটবল সংস্থা থেকে দেশের সরকার।

 

উল্লেখ্য, পূর্ব জাভার মালাং রিজেন্সিতে এই ম্যাচে পার্সিবায়া সুরাবায়া ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয় আরেমাকে। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই। আরেমার কিছু সমর্থক হঠাৎ করেই মাঠে ঢুকে পড়েন। ঝামেলা এড়াতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস চালায় । দুই দলের ফুটবলারদের বেশিরভাগই ড্রেসিংরুমে ঢুকে যেতে সমর্থ্য হলেও আরেমার কিছু ফুটবলার মাঠেই রয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ায় তাড়াহুড়ো করে স্টেডিয়াম থেকে বেরোতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময়ের অব্যবহিত পরে জানানো হয়েছিল মৃতের সংখ্যা ১২৭। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ১৭৪ । অর্থাৎ আরো ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনাস্থলেই ৩৪ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে বাকিদেরও মৃত্যু হয়। হাসপাতালেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো বহু মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রী জায়নুদ্দিন আমালি জানিয়েছেন,’ করোনার পরে সব যখন ঠিকঠাক হয়ে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো ঠিক তখনই এমন ঘটনা ঘটলো। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা আর দর্শক পূর্ণ স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করব না। আর আরেমার মাঠে তো ম্যাচ দেওয়াই হবে না।’