১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যাকের তালিকায় বিশ্বভারতীর অবনমন

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার
  • / 58

দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন , ছয় বছর পর  ন্যাকের  র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতীর মানের ক্রম  অবনমন উঠে এলো। শুধুমাত্র পাঁচিল তুলে রঙচঙ করে  যে   পরিকাঠামোগত সার্বিক মানোন্নয়ন হয় না। তা বারবার প্রমাণিত।

এই মান বর্তমানে  তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।  উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নেতৃত্বাধীন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হেন দশা নিয়ে  দুঃখিত পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক এবং  আশ্রমিকরা।

আরও পড়ুন: হাজিরা এড়ালেন প্রাক্তন উপাচার্য, কোর্টের ভৎর্সনার মুখে বিদ্যুৎ

গত ২৪ থেকে ২৬শে নভেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণের জন্য এসেছিলেন ন্যাকের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। সুত্রের খবর বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা এবং অধ্যাপক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই নিজেদের অসন্তোষের ইঙ্গিত জানিয়ে গিয়েছিলেন ন্যাকের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: বিশ্ব ভারতীতে কালী আরাধনার নিয়ে ‘লেকচার সিরিজ’, সভা ২৫ জুলাই, তুঙ্গে বিতর্ক

প্রকাশিত হওয়া ন্যাকের রিপোর্টে তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল। ২০১৫ সালের থেকেও মান নেমেছে ২০২১ সালে।

আরও পড়ুন: ন্যাকে ‘এ’ গ্রেড পেল লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ

২০১৫ সালে ন্যাকের টিম বিশ্বভারতীতে এসেছিল। সেই সময়ে তাদের মূল্যায়নে বিশ্বভারতীর কপালেও জুটেছিল বি গ্রেড। তবে তারপর মূ‍ল্যায়নের ধারা  অনেকটাই পাল্টেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল্ফ  অ্যাসেসমেন্টের  বাহাত্তর শতাংশ এবং ন্যাক  টিমের  আঠাশ শতাংশ। বিগত  অর্থাৎ  পনেরো সালে ন্যাকের  বিচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়েন্ট ছিল  ২.৮২। সেই নিরিখে গতবারের পয়েন্ট  বর্তমানে বি প্লাস প্লাস [B++] গ্রেড। তখন  উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক সুশান্ত দত্তগুপ্ত। ছয় বছর পর এবার ন্যাকের মূল্যায়নে বিশ্বভারতীর কপালে জুটেছে বি প্লাস [B+] পয়েন্ট অর্থাৎ সেটা অবশ্যই  ২.৭৫ এর কম। স্বাভাবিকভাবেই স্পষ্ট যে মান নেমেছে বিশ্বভারতীর।  প্রবীণ  আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, বাইরে রঙ আর পাঁচিল তুলে এক কথায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হয়েছে মাত্র। বিশ্বভারতীতে বহু গবেষণামূলক ভালো কাজ হয়েছে বা হচ্ছে। দেশে বিদেশে বহু প্লেসমেন্ট হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু সেসব বিষয়  ন্যাকের সামনে ঠিক ঠাক  তুলে ধরা হয় নি। বরং যাঁরা যোগ্য  তাঁদের উপর শুধুমাত্র মতের পার্থক্যের জন্য দমন পীড়ন চালিয়ে  ব্রাত্য করা হয়েছে। ব্যাক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থতা  করার জন্য  শুধুমাত্র স্তাবকদের গুরুত্ব দিলে যা হবার তাই হয়েছে। উপাচার্য বিশ্বভারতীর একাডেমিক দিকটা নজর না দিয়ে শুধুমাত্র স্বেচ্ছাচারিতা করে গেছেন। এই পরিবেশে গুণী অধ্যাপকরা ভালো কিছু দিতে পারবেন না। কারণ সব সময় সাসপেনশন আর শোকজের জায়গা হয়েছে বিশ্বভারতী। আমাদের খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বভারতীর এক শীর্ষ কর্তা জানান, “অবনমন যে হবে তা ন্যাকের প্রতিনিধিদের কথাবার্তাতেই স্পষ্ট ছিল। এখানে গবেষণামূলক কাজে অধ‍্যাপক ব‍্যস্ত থাকলে তাঁকে শোকজ খেতে হয়।  উপাচার্য মশাই যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আচার আচরণ করেছেন এবং তার কথাবার্তায় সকলের সামনে যেভাবে বিশ্বভারতীরকে ছোট করে দেখানোর প্রচেষ্টা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ন্যাকের প্রতিনিধিরাও বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক এবং কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে দূর্ভাগ্যজনক হলেও এই ফল হবে সেটা আমরা জানতাম।”

বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রকাশিত ন্যাকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর কপালে বি-প্লাস গ্রেড এসেছে। অথচ আগের বার মাত্র .18 পয়েন্টের জন‍্য (A) গ্রেড  পায় নি বিশ্বভারতী।

ন্যাকের মান নির্ধারণের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের বার্ষিক আর্থিক বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। বিশ্বভারতীর মতো একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কিভাবে নিচে নামছে দিনের পর দিন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

একাংশের বক্তব্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছর ধরে যে স্বেচ্ছাচারিতা শুরু হয়েছে এবং একনায়কতন্ত্র চালু হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আদিকারিক, কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী সকলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর তারই ছাপ পড়েছে পঠন-পাঠন, গবেষণা এবং সার্বিক মান উন্নয়নে।

“পড়াশোনা, গবেষণা সব কিছুই তলানিতে। একইসঙ্গে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার সহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ডিরেক্টরের পদ বছরের পর বছর ধরে খালি পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ন্যাকের টিমের সামনে এই সব তথ্য স্বাভাবিক ভাবেই উঠে এসেছে আর তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে চরম ব্যর্থ সেটা প্রমানিত, বলে জানান এক প্রবীণ অধ্যাপক।

বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, তিস্তা ভট্টাচার্য বলেন, “এই রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তাহলে এর থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু নেই। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যতটা সময় বিতর্ক তৈরিতে ব্যয় করেন সেই সময়টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে খরচ করলে বিশ্বভারতীর সার্বিক লাভ হত।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ন্যাকের তালিকায় বিশ্বভারতীর অবনমন

আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার

দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন , ছয় বছর পর  ন্যাকের  র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতীর মানের ক্রম  অবনমন উঠে এলো। শুধুমাত্র পাঁচিল তুলে রঙচঙ করে  যে   পরিকাঠামোগত সার্বিক মানোন্নয়ন হয় না। তা বারবার প্রমাণিত।

এই মান বর্তমানে  তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।  উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নেতৃত্বাধীন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হেন দশা নিয়ে  দুঃখিত পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক এবং  আশ্রমিকরা।

আরও পড়ুন: হাজিরা এড়ালেন প্রাক্তন উপাচার্য, কোর্টের ভৎর্সনার মুখে বিদ্যুৎ

গত ২৪ থেকে ২৬শে নভেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণের জন্য এসেছিলেন ন্যাকের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। সুত্রের খবর বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা এবং অধ্যাপক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই নিজেদের অসন্তোষের ইঙ্গিত জানিয়ে গিয়েছিলেন ন্যাকের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: বিশ্ব ভারতীতে কালী আরাধনার নিয়ে ‘লেকচার সিরিজ’, সভা ২৫ জুলাই, তুঙ্গে বিতর্ক

প্রকাশিত হওয়া ন্যাকের রিপোর্টে তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল। ২০১৫ সালের থেকেও মান নেমেছে ২০২১ সালে।

আরও পড়ুন: ন্যাকে ‘এ’ গ্রেড পেল লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ

২০১৫ সালে ন্যাকের টিম বিশ্বভারতীতে এসেছিল। সেই সময়ে তাদের মূল্যায়নে বিশ্বভারতীর কপালেও জুটেছিল বি গ্রেড। তবে তারপর মূ‍ল্যায়নের ধারা  অনেকটাই পাল্টেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল্ফ  অ্যাসেসমেন্টের  বাহাত্তর শতাংশ এবং ন্যাক  টিমের  আঠাশ শতাংশ। বিগত  অর্থাৎ  পনেরো সালে ন্যাকের  বিচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়েন্ট ছিল  ২.৮২। সেই নিরিখে গতবারের পয়েন্ট  বর্তমানে বি প্লাস প্লাস [B++] গ্রেড। তখন  উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক সুশান্ত দত্তগুপ্ত। ছয় বছর পর এবার ন্যাকের মূল্যায়নে বিশ্বভারতীর কপালে জুটেছে বি প্লাস [B+] পয়েন্ট অর্থাৎ সেটা অবশ্যই  ২.৭৫ এর কম। স্বাভাবিকভাবেই স্পষ্ট যে মান নেমেছে বিশ্বভারতীর।  প্রবীণ  আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, বাইরে রঙ আর পাঁচিল তুলে এক কথায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হয়েছে মাত্র। বিশ্বভারতীতে বহু গবেষণামূলক ভালো কাজ হয়েছে বা হচ্ছে। দেশে বিদেশে বহু প্লেসমেন্ট হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু সেসব বিষয়  ন্যাকের সামনে ঠিক ঠাক  তুলে ধরা হয় নি। বরং যাঁরা যোগ্য  তাঁদের উপর শুধুমাত্র মতের পার্থক্যের জন্য দমন পীড়ন চালিয়ে  ব্রাত্য করা হয়েছে। ব্যাক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থতা  করার জন্য  শুধুমাত্র স্তাবকদের গুরুত্ব দিলে যা হবার তাই হয়েছে। উপাচার্য বিশ্বভারতীর একাডেমিক দিকটা নজর না দিয়ে শুধুমাত্র স্বেচ্ছাচারিতা করে গেছেন। এই পরিবেশে গুণী অধ্যাপকরা ভালো কিছু দিতে পারবেন না। কারণ সব সময় সাসপেনশন আর শোকজের জায়গা হয়েছে বিশ্বভারতী। আমাদের খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বভারতীর এক শীর্ষ কর্তা জানান, “অবনমন যে হবে তা ন্যাকের প্রতিনিধিদের কথাবার্তাতেই স্পষ্ট ছিল। এখানে গবেষণামূলক কাজে অধ‍্যাপক ব‍্যস্ত থাকলে তাঁকে শোকজ খেতে হয়।  উপাচার্য মশাই যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আচার আচরণ করেছেন এবং তার কথাবার্তায় সকলের সামনে যেভাবে বিশ্বভারতীরকে ছোট করে দেখানোর প্রচেষ্টা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ন্যাকের প্রতিনিধিরাও বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক এবং কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে দূর্ভাগ্যজনক হলেও এই ফল হবে সেটা আমরা জানতাম।”

বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রকাশিত ন্যাকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর কপালে বি-প্লাস গ্রেড এসেছে। অথচ আগের বার মাত্র .18 পয়েন্টের জন‍্য (A) গ্রেড  পায় নি বিশ্বভারতী।

ন্যাকের মান নির্ধারণের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের বার্ষিক আর্থিক বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। বিশ্বভারতীর মতো একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কিভাবে নিচে নামছে দিনের পর দিন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

একাংশের বক্তব্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছর ধরে যে স্বেচ্ছাচারিতা শুরু হয়েছে এবং একনায়কতন্ত্র চালু হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আদিকারিক, কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী সকলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর তারই ছাপ পড়েছে পঠন-পাঠন, গবেষণা এবং সার্বিক মান উন্নয়নে।

“পড়াশোনা, গবেষণা সব কিছুই তলানিতে। একইসঙ্গে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার সহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ডিরেক্টরের পদ বছরের পর বছর ধরে খালি পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ন্যাকের টিমের সামনে এই সব তথ্য স্বাভাবিক ভাবেই উঠে এসেছে আর তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে চরম ব্যর্থ সেটা প্রমানিত, বলে জানান এক প্রবীণ অধ্যাপক।

বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, তিস্তা ভট্টাচার্য বলেন, “এই রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তাহলে এর থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু নেই। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যতটা সময় বিতর্ক তৈরিতে ব্যয় করেন সেই সময়টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে খরচ করলে বিশ্বভারতীর সার্বিক লাভ হত।”