০৯ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাওয়াংয়ে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সংসদে বিবৃতি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং 

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 89

 

 

আরও পড়ুন: ‘২০২৯, ২০৩৪-এও প্রধানমন্ত্রী মোদিই’: রাজনাথ সিং

 

আরও পড়ুন: ৭৫ বছরে উন্নয়ন না হওয়াতেই অশান্ত থেকেছে কাশ্মীর: রাজনাথ

 

আরও পড়ুন: হাইস্পিড এক্সপেন্ডিবল এরিয়াল টার্গেট “ অভ্যাস” -এর সফল উৎক্ষেপণ, ডিআরডিও বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানালেন রাজনাথ

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের চিনা সেনার আগ্রাসন,  গালওয়ানের পর এবার  অরুণাচলের তাওয়াং। শুক্রবার   গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সংসদে চিনা ফৌজের হানাদারি নিয়ে বিবৃতি  দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এইদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিজের বক্তব্যে বলেন ভারতীয় সেনা যথেষ্ট সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে। কোন ভারতীয় জওয়ান বড়সড় আঘাত পাননি। দেশের ভূখণ্ড কে রক্ষা করতে ভারতীয় সেনা সক্ষম।

এইদিন সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তাওয়াংয়ে চিনা ফৌজের হানাদারি ইস্যুতে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। এই প্রসঙ্গে আলোচনা চেয়ে সংসদের উভয়কক্ষে নোটিশ দেয় কংগ্রেস। সরকার চিনের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুকে ধামা চাপা দিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী ইমেজ রক্ষা করতে গিয়েই এই পরিস্থিতি বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস।  যদিও  সরকার কংগ্রেসের এই আলোচনা চেয়ে নোটিশ মানেনি। যার জেরে উত্তাল হয় সংসদ। কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি করতে হয় অধিবেশন।

আলোচনা না হলেও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাওয়ান ইস্যুতে বিবৃতি দেন। বলেন ৯ ডিসেম্বর পিপলস লিবারেশন আর্মি  তাওয়াংয়ে নিজেদের স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনারা সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। চিনা ফৌজ নিজেদের অবস্থান বদল করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। ভারতীয় জওয়ানরা কেউ গুরুতর ভাবে আহত হননি, বা কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।।

এইদিন রাজনাথ সিং আরও বলেন ৯ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পর ৯ এবং ১১ দুইদিন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে ভারতের শীর্ষ সেনাকর্তারা জানিয়েদেন চিন যেন কোনভাবে উস্কানি দিয়ে শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা না করে।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছিলেন। চিনা ফৌজের নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তবে সেকথা বেজিং আজও অস্বীকার করে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তাওয়াংয়ে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সংসদে বিবৃতি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং 

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

 

 

আরও পড়ুন: ‘২০২৯, ২০৩৪-এও প্রধানমন্ত্রী মোদিই’: রাজনাথ সিং

 

আরও পড়ুন: ৭৫ বছরে উন্নয়ন না হওয়াতেই অশান্ত থেকেছে কাশ্মীর: রাজনাথ

 

আরও পড়ুন: হাইস্পিড এক্সপেন্ডিবল এরিয়াল টার্গেট “ অভ্যাস” -এর সফল উৎক্ষেপণ, ডিআরডিও বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানালেন রাজনাথ

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের চিনা সেনার আগ্রাসন,  গালওয়ানের পর এবার  অরুণাচলের তাওয়াং। শুক্রবার   গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সংসদে চিনা ফৌজের হানাদারি নিয়ে বিবৃতি  দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এইদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিজের বক্তব্যে বলেন ভারতীয় সেনা যথেষ্ট সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে। কোন ভারতীয় জওয়ান বড়সড় আঘাত পাননি। দেশের ভূখণ্ড কে রক্ষা করতে ভারতীয় সেনা সক্ষম।

এইদিন সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তাওয়াংয়ে চিনা ফৌজের হানাদারি ইস্যুতে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। এই প্রসঙ্গে আলোচনা চেয়ে সংসদের উভয়কক্ষে নোটিশ দেয় কংগ্রেস। সরকার চিনের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুকে ধামা চাপা দিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী ইমেজ রক্ষা করতে গিয়েই এই পরিস্থিতি বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস।  যদিও  সরকার কংগ্রেসের এই আলোচনা চেয়ে নোটিশ মানেনি। যার জেরে উত্তাল হয় সংসদ। কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি করতে হয় অধিবেশন।

আলোচনা না হলেও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাওয়ান ইস্যুতে বিবৃতি দেন। বলেন ৯ ডিসেম্বর পিপলস লিবারেশন আর্মি  তাওয়াংয়ে নিজেদের স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনারা সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। চিনা ফৌজ নিজেদের অবস্থান বদল করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। ভারতীয় জওয়ানরা কেউ গুরুতর ভাবে আহত হননি, বা কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।।

এইদিন রাজনাথ সিং আরও বলেন ৯ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পর ৯ এবং ১১ দুইদিন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে ভারতের শীর্ষ সেনাকর্তারা জানিয়েদেন চিন যেন কোনভাবে উস্কানি দিয়ে শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা না করে।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছিলেন। চিনা ফৌজের নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তবে সেকথা বেজিং আজও অস্বীকার করে।