০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতার কাঁচা রাস্তা ও কমন প্যাসেজে বাড়ি তৈরি করতে লাগবে ‘উন্নয়ন ফি’

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার
  • / 151

পুবের কলম প্রতিবেদক : কলকাতা পৌরসভা শহরের কাঁচা রাস্তা ও ‘কমন প্যাসেজ’-এর পাশে বাড়ি তৈরির জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে। এখন থেকে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সময়, বাড়তি উন্নয়ন ফি বা ‘ডেভেলপমেন্ট ফি’ দিতে হবে। এই ফি নেওয়ার কারণ হলো, পৌরসভা নথিতে উল্লেখ নেই এমন বহু কাঁচা রাস্তা বা প্যাসেজে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটাতে।

নতুন নিয়ম ও খরচ : 

আরও পড়ুন: কলকাতা ও মিজোরাম রেলপথ দ্বারা খুব শীঘ্রই সংযোগ হতে চলেছে

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জমির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এই ফি ধার্য করা হয়েছে:

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সঙ্গে থাকছেন অজিত ডোভাল ও রাজনাথ সিং

এক কাঠা পর্যন্ত জমি: প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা।

আরও পড়ুন: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনও দুর্যোগের আশঙ্কা

এক থেকে তিন কাঠা জমি: প্রতি বর্গফুটে ৮ টাকা।

তিন কাঠার বেশি জমি: প্রতি বর্গফুটে ১০ টাকা।

এই ফি এককালীন জমা দিতে হবে। পুরো কলকাতা পৌরসভা এলাকা জুড়ে এই নিয়ম কার্যকর হলেও, এটি মূলত যাদবপুর, কসবা, গরফা, মুকুন্দপুর, বেহালা এবং জোকার মতো সংযুক্ত এলাকাগুলোতে বেশি প্রভাব ফেলবে। কারণ, এই অঞ্চলগুলোতে পৌরসভার নথিতে নেই এমন কাঁচা রাস্তা বা প্যাসেজ বেশি।

কেন এই উদ্যোগ ?

পৌরসভা দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতায় ভুগছিল। অনেক সময় বড় জমি ভাগ করে বা জলাশয় ভরাট করে রাস্তা তৈরি হলেও, সেগুলোর কোনো আইনি স্বীকৃতি ছিল না। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা এই রাস্তাগুলো পাকা করা, নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানাতেন। এতদিন পৌরসভা নাগরিক স্বার্থে এই কাজগুলো করলেও, প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানে সমস্যা হতো।

নতুন এই উদ্যোগের ফলে, পৌরসভা একদিকে যেমন রাজস্ব বৃদ্ধি করতে পারবে, তেমনি অন্যদিকে অবহেলিত এলাকাগুলোতে সহজে নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারবে। এই উন্নয়ন ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাঁচা রাস্তা পাকা করা, নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহার করা হবে। পৌর কর্তৃপক্ষের মতে, এই নিয়ম নাগরিকদের জন্য পাকা রাস্তা, আলো, জল এবং নিকাশির মতো মৌলিক পরিষেবা নিশ্চিত করবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতার কাঁচা রাস্তা ও কমন প্যাসেজে বাড়ি তৈরি করতে লাগবে ‘উন্নয়ন ফি’

আপডেট : ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : কলকাতা পৌরসভা শহরের কাঁচা রাস্তা ও ‘কমন প্যাসেজ’-এর পাশে বাড়ি তৈরির জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে। এখন থেকে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সময়, বাড়তি উন্নয়ন ফি বা ‘ডেভেলপমেন্ট ফি’ দিতে হবে। এই ফি নেওয়ার কারণ হলো, পৌরসভা নথিতে উল্লেখ নেই এমন বহু কাঁচা রাস্তা বা প্যাসেজে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটাতে।

নতুন নিয়ম ও খরচ : 

আরও পড়ুন: কলকাতা ও মিজোরাম রেলপথ দ্বারা খুব শীঘ্রই সংযোগ হতে চলেছে

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জমির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এই ফি ধার্য করা হয়েছে:

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সঙ্গে থাকছেন অজিত ডোভাল ও রাজনাথ সিং

এক কাঠা পর্যন্ত জমি: প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা।

আরও পড়ুন: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনও দুর্যোগের আশঙ্কা

এক থেকে তিন কাঠা জমি: প্রতি বর্গফুটে ৮ টাকা।

তিন কাঠার বেশি জমি: প্রতি বর্গফুটে ১০ টাকা।

এই ফি এককালীন জমা দিতে হবে। পুরো কলকাতা পৌরসভা এলাকা জুড়ে এই নিয়ম কার্যকর হলেও, এটি মূলত যাদবপুর, কসবা, গরফা, মুকুন্দপুর, বেহালা এবং জোকার মতো সংযুক্ত এলাকাগুলোতে বেশি প্রভাব ফেলবে। কারণ, এই অঞ্চলগুলোতে পৌরসভার নথিতে নেই এমন কাঁচা রাস্তা বা প্যাসেজ বেশি।

কেন এই উদ্যোগ ?

পৌরসভা দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতায় ভুগছিল। অনেক সময় বড় জমি ভাগ করে বা জলাশয় ভরাট করে রাস্তা তৈরি হলেও, সেগুলোর কোনো আইনি স্বীকৃতি ছিল না। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা এই রাস্তাগুলো পাকা করা, নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানাতেন। এতদিন পৌরসভা নাগরিক স্বার্থে এই কাজগুলো করলেও, প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানে সমস্যা হতো।

নতুন এই উদ্যোগের ফলে, পৌরসভা একদিকে যেমন রাজস্ব বৃদ্ধি করতে পারবে, তেমনি অন্যদিকে অবহেলিত এলাকাগুলোতে সহজে নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারবে। এই উন্নয়ন ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাঁচা রাস্তা পাকা করা, নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহার করা হবে। পৌর কর্তৃপক্ষের মতে, এই নিয়ম নাগরিকদের জন্য পাকা রাস্তা, আলো, জল এবং নিকাশির মতো মৌলিক পরিষেবা নিশ্চিত করবে।