০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতে লেখা মহাগ্রন্থ কোরআন শরিফ ৫০০ টি মসজিদে বিতরণ করতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া জারিন তাসনিম দিয়া

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 60

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তিনি হাতে লিখে ফেলেছেন মহাগ্রন্থ কোরআন শরিফ। মহাগ্রন্থ আল কোরআনকে ভালোবেসে এ অসাধ্য সাধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম দিয়া। পাণ্ডুলিপি থেকে এরইমধ্যে তিনি পূর্ণাঙ্গ কোরআন বাঁধাইও করেছেন।বাংলাদেশের ৫০০টি মসজিদ ও মাদ্রাসায় হাতে লেখা এ পবিত্র গ্রন্থ উপহার হিসেবে দিতে চান দিয়া।

আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম এমব্রয়ডারি কুরআন শরিফ তৈরি  

সেদেশে করোনার প্রাদুর্ভাবে দুবছর আগে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে একরকম ঘরবন্দী দিন কাটাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম দিয়া। লম্বা অবসর কাজে লাগাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন হাতে লিখতে শুরু করেন তিনি। দেড় বছর লেখার পর ৩০ পারার ১১৪টি সুরাই লিখে শেষ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঈদ শুভেচ্ছায় মসজিদ কমিটি পক্ষে পুলিশকে কুরআন শরীফ প্রদান

দিয়া বলেন, আমি যেখানেই যেতাম আমার কোরআন, কাগজ ও কলম সঙ্গে করে নিয়ে যেতাম। এক পর্যায়ে ভাল লাগা তৈরি হলো।

আরও পড়ুন: হাতে লেখা পবিত্র কুরআন মাসহাফ উন্মোচিত তুরস্কে

প্রথম দেখায় বোঝার উপায়ই নেই এটি ছাপা অক্ষর না, হাতের লেখা। দিয়া জানান, এই কাজে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন তার বাবা-মা। এ প্রসঙ্গে দিয়া বলেন, আমি কোরআন পড়তে জানি একদিন কোরআন পড়ছি তখন আমার আব্বু আমাকে বললেন যেন তাকে আয়াতুল কুরছি লিখে দিই তিনি সেটি ঘরের সামনে টাঙিয়ে রাখবো। আমি যখন দেখে দেখে লিখলাম তখন বাবা বললেন যে, তোমার হাতের লেখা তো সুন্দর আছে, তুমি পুরো কোরআনই লিখতে পারো।

হাতে লেখা শেষ হলে ৩০ জন হাফেজের সহযোগিতায় সম্পাদনার কাজ করা হয়। পরে তা বাঁধাই করে রূপ দেয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরিফে। এ প্রসঙ্গে দিয়া বলেন, প্রতিজন এক পারা করে দেখেছেন। তারা যে ভুলগুলো দেখালেন সেগুলো পরে ঘরে ফিরে এসে মার্ক করে ঠিক করে নিয়েছি।

প্রায় সাড়ে ১৪’শ বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর কোরআন নাজিল হলে এভাবেই হাতে লিখে রাখতেন সাহাবারা। দিয়া চান, তার হাতে লেখা পবিত্র এই গ্রন্থ বিতরণ করবেন দেশের বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায়। দিয়া বলেন, বাংলাদেশের যতো মডেল মসজিদ ও মাদ্রাসা আছে সেগুলোতে বিনা মূল্যে আমার এই কোরআন আমি উপহার হিসেবে পাঠাবো।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাতে লেখা মহাগ্রন্থ কোরআন শরিফ ৫০০ টি মসজিদে বিতরণ করতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া জারিন তাসনিম দিয়া

আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তিনি হাতে লিখে ফেলেছেন মহাগ্রন্থ কোরআন শরিফ। মহাগ্রন্থ আল কোরআনকে ভালোবেসে এ অসাধ্য সাধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম দিয়া। পাণ্ডুলিপি থেকে এরইমধ্যে তিনি পূর্ণাঙ্গ কোরআন বাঁধাইও করেছেন।বাংলাদেশের ৫০০টি মসজিদ ও মাদ্রাসায় হাতে লেখা এ পবিত্র গ্রন্থ উপহার হিসেবে দিতে চান দিয়া।

আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম এমব্রয়ডারি কুরআন শরিফ তৈরি  

সেদেশে করোনার প্রাদুর্ভাবে দুবছর আগে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে একরকম ঘরবন্দী দিন কাটাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম দিয়া। লম্বা অবসর কাজে লাগাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন হাতে লিখতে শুরু করেন তিনি। দেড় বছর লেখার পর ৩০ পারার ১১৪টি সুরাই লিখে শেষ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঈদ শুভেচ্ছায় মসজিদ কমিটি পক্ষে পুলিশকে কুরআন শরীফ প্রদান

দিয়া বলেন, আমি যেখানেই যেতাম আমার কোরআন, কাগজ ও কলম সঙ্গে করে নিয়ে যেতাম। এক পর্যায়ে ভাল লাগা তৈরি হলো।

আরও পড়ুন: হাতে লেখা পবিত্র কুরআন মাসহাফ উন্মোচিত তুরস্কে

প্রথম দেখায় বোঝার উপায়ই নেই এটি ছাপা অক্ষর না, হাতের লেখা। দিয়া জানান, এই কাজে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন তার বাবা-মা। এ প্রসঙ্গে দিয়া বলেন, আমি কোরআন পড়তে জানি একদিন কোরআন পড়ছি তখন আমার আব্বু আমাকে বললেন যেন তাকে আয়াতুল কুরছি লিখে দিই তিনি সেটি ঘরের সামনে টাঙিয়ে রাখবো। আমি যখন দেখে দেখে লিখলাম তখন বাবা বললেন যে, তোমার হাতের লেখা তো সুন্দর আছে, তুমি পুরো কোরআনই লিখতে পারো।

হাতে লেখা শেষ হলে ৩০ জন হাফেজের সহযোগিতায় সম্পাদনার কাজ করা হয়। পরে তা বাঁধাই করে রূপ দেয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরিফে। এ প্রসঙ্গে দিয়া বলেন, প্রতিজন এক পারা করে দেখেছেন। তারা যে ভুলগুলো দেখালেন সেগুলো পরে ঘরে ফিরে এসে মার্ক করে ঠিক করে নিয়েছি।

প্রায় সাড়ে ১৪’শ বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর কোরআন নাজিল হলে এভাবেই হাতে লিখে রাখতেন সাহাবারা। দিয়া চান, তার হাতে লেখা পবিত্র এই গ্রন্থ বিতরণ করবেন দেশের বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায়। দিয়া বলেন, বাংলাদেশের যতো মডেল মসজিদ ও মাদ্রাসা আছে সেগুলোতে বিনা মূল্যে আমার এই কোরআন আমি উপহার হিসেবে পাঠাবো।