উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ: ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৩টি স্কল, সংস্কারে তৎপর প্রশাসন

- আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 56
পুবের কলম প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ: উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণ, ধস ও বন্যায় শিক্ষাক্ষেত্র বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুর্যোগে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ১৭৩টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে ৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭৯টি হাইস্কুল। কোথাও শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে পড়েছে, কোথাও সীমানা প্রাচীর ও সিঁড়িতে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এমনকি একাধিক স্কুলে বাথরুম ও পাইপলাইন ব্যবস্থাও নষ্ট হয়ে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি অঞ্চল। জেলার বিভিন্ন ব্লক যেমন— দুধিয়া, লোয়ার ব্লুমফিল্ড, পেডিখোলা, ঘুম ও টুংসুং অঞ্চলের ৩০টিরও বেশি স্কুলে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উঠে এসেছে। এর মধ্যে ২০টির মতো হাইস্কুলে এবং ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিছু এলাকায় পাহাড় ধসে বড় বোল্ডার পড়ে দেওয়াল ও পিলারে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দশটিরও বেশি স্কুলে দেওয়াল ভেঙেছে, তিন-চারটি স্কুলের ছাদ ধসে পড়েছে, কয়েকটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ফাটল ও জল ঢোকার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিক্ষা দফতর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। পুজোর ছুটির মধ্যেই ব্লক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির তালিকা রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে সংস্কারের জন্য প্রাথমিক বরাদ্দ চেয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। দার্জিলিং জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপস বিশ্বাস জানিয়েছেন, ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় তালিকা প্রস্তুত হয়েছে এবং শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে। অভিভাবকদের একাংশের আশঙ্কা, দ্রুত সংস্কার না হলে ছুটির পর স্কুল খোলার সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যাবে। সেই কারণেই শিক্ষা দফতর দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।