ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর বালিতে কয়েক ডজন বিমান বাতিল

- আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 117
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা তেঙ্গারায় অবস্থিত মাউন্ট লেওতোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির বিশাল লাভা ও ছাই উদগীরণের ফলে বালির উদ্দেশ্যে ও বালি থেকে যাত্রার বহু বিমান বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই আগ্নেয়গিরি প্রায় ১১ কিলোমিটার (৬.৮৪ মাইল) উচ্চতায় ছাইয়ের স্তম্ভ ছুড়ে দেয়, যা আকাশ ঢেকে ফেলে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা সর্বোচ্চ চতুর্থ স্তরের সতর্কতা জারি করেছে এবং জানিয়েছে, বুধবার সকালে আরও একটি ছোট বিস্ফোরণ ঘটেছে, যেখান থেকে তুলনামূলকভাবে ছোট ছাইয়ের মেঘ নির্গত হয়।
যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে নিরাপত্তার কারণে আগ্নেয়গিরির আশপাশের কয়েকটি গ্রাম খালি করে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (BNPB) জানিয়েছে, বুধবার সকালেও কম্পন ও অগ্নুৎপাতের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে।
ভূতাত্ত্বিক সংস্থা পর্যটক ও বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে অন্তত ৭ কিলোমিটার (৪.৩৫ মাইল) দূরে অবস্থান করতে হবে।
বালির ই গুস্তি নগুরা রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের কারণে অন্তত ৩২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এই বাতিল হওয়া বিমানের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে বালি আসা ও যাওয়া বিমান।
বিমানবন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা অঙ্গকাসা পুরা ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, “পূর্ব নুসা তেঙ্গারার লেওতোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের কারণে ই গুস্তি নগুরা রাই বিমানবন্দরের একাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।”
এছাড়াও, ফ্লোরেস দ্বীপের লাবুয়ান বাজোর উদ্দেশ্যে যাওয়া ডমেস্টিক এয়ারএশিয়ার কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বালি-সিঙ্গাপুর রুটের চারটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার জেটস্টারও বালি থেকে তাদের কিছু সকালের ফ্লাইট বাতিল করেছে। তাদের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, ছাইয়ের মেঘ আজ রাতের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে কারণে বিকেলের ফ্লাইটগুলো বিলম্বিত হয়ে রাতের দিকে চালানো হবে।”
অন্যদিকে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার মাউমেরে শহরের ফ্রান্সিসকুস জেভিয়ারুস সেদা বিমানবন্দর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এয়ারনাভ ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে এই আগ্নেয়গিরি উদগীরণে ৯ জন মারা যান এবং হাজার হাজার মানুষকে সেসময় নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
প্রশান্ত মহাসাগরের “রিং অফ ফায়ার” অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের শিকার হয়।