০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু মহিলা আমলা হিসেবে কাজ শুরু করলেন ডা. সানা রামচন্দ

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 17

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ডা. সানা রামচন্দ গুলওয়ানি, বাড়ি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ছোট্ট শহর শিকারপুরে। নামের শুরুতে ডাক্তার লেখা থাকলেও তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রশাসনিককর্তা বা বলা ভালো আমলা। সরকারি এই পদে নিয়োগ পেয়ে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন ২৭ বছরের সানা। কেননা তাঁর আগে পাকিস্তানের ইতিহাসে আর কোনো হিন্দু মহিলা আমলা হতে পারেননি। তিনিই এ পদে প্রথম।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত কমপক্ষে ১৩ জওয়ান

শিকারপুরে শৈশব কেটেছে সানার। পড়াশোনা সেখানকার সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আগে থেকেই সানা চাইতেন, বড় হয়ে প্রশাসনে চাকরি করবেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছে ছিল, সানা চিকিৎসক হবেন। পরবর্তী সময়ে পরিবারের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেন তিনি। ভর্তি হন সিন্ধু প্রদেশের লারাকানায় অবস্থিত শহীদ মুহতারেমা বেনজির ভুট্টো মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে। ২০১৬ সালে সেখান থেকে এমবিবিএস পাস করেন সানা।

আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নজর ইসরাইলের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কাছে টেনে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে আমেরিকা 

এরপর আরও পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন সানা। ইউরোলজিস্ট হতে উচ্চতর পড়াশোনা শুরু করেন। পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতেন সরকারি চাকরি। লক্ষ্য সেন্ট্রাল সুপেরিয়র সার্ভিসেস (সিএসএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। কারণ, তা না হলে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক চাকরিতে (পিএএস) যোগ দেওয়া স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে।

মেয়ে চিকিৎসক হবে—বাবা ও মায়ের এই ইচ্ছা আগেই পূরণ করেছেন। অবশেষে আমলা হওয়ার নিজের স্বপ্নপূরণ হয় সানার। ২০২০ সালে সিএসএস পরীক্ষায় বসেন তিনি, প্রথমবারেই পাস করেন। আর তাতেই ইতিহাস রচিত হয়। পাকিস্তানে বসবাস করা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম সিএসএস পাস করেন।

এরপর নানা ধাপ পেরিয়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন সানা। সম্প্রতি তাঁকে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের হাসানআবদাল শহরের সহকারী কমিশনার পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কাজ শুরু করেছেন তিনি। সানা ওই শহরের প্রথম মহিলা সহকারী কমিশনার।

সানা রামচন্দ বলেন, পাকিস্তানের হিন্দু নারীদের মধ্যে আমলা হিসেবে আমিই প্রথম কি না, জানি না। তবে আমার আগে কেউ সিএসএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই পদে এসেছেন, এমনটা কখনোই শুনিনি। এটা আনন্দের।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু মহিলা আমলা হিসেবে কাজ শুরু করলেন ডা. সানা রামচন্দ

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ডা. সানা রামচন্দ গুলওয়ানি, বাড়ি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ছোট্ট শহর শিকারপুরে। নামের শুরুতে ডাক্তার লেখা থাকলেও তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রশাসনিককর্তা বা বলা ভালো আমলা। সরকারি এই পদে নিয়োগ পেয়ে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন ২৭ বছরের সানা। কেননা তাঁর আগে পাকিস্তানের ইতিহাসে আর কোনো হিন্দু মহিলা আমলা হতে পারেননি। তিনিই এ পদে প্রথম।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত কমপক্ষে ১৩ জওয়ান

শিকারপুরে শৈশব কেটেছে সানার। পড়াশোনা সেখানকার সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আগে থেকেই সানা চাইতেন, বড় হয়ে প্রশাসনে চাকরি করবেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছে ছিল, সানা চিকিৎসক হবেন। পরবর্তী সময়ে পরিবারের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেন তিনি। ভর্তি হন সিন্ধু প্রদেশের লারাকানায় অবস্থিত শহীদ মুহতারেমা বেনজির ভুট্টো মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে। ২০১৬ সালে সেখান থেকে এমবিবিএস পাস করেন সানা।

আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নজর ইসরাইলের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কাছে টেনে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে আমেরিকা 

এরপর আরও পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন সানা। ইউরোলজিস্ট হতে উচ্চতর পড়াশোনা শুরু করেন। পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতেন সরকারি চাকরি। লক্ষ্য সেন্ট্রাল সুপেরিয়র সার্ভিসেস (সিএসএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। কারণ, তা না হলে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক চাকরিতে (পিএএস) যোগ দেওয়া স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে।

মেয়ে চিকিৎসক হবে—বাবা ও মায়ের এই ইচ্ছা আগেই পূরণ করেছেন। অবশেষে আমলা হওয়ার নিজের স্বপ্নপূরণ হয় সানার। ২০২০ সালে সিএসএস পরীক্ষায় বসেন তিনি, প্রথমবারেই পাস করেন। আর তাতেই ইতিহাস রচিত হয়। পাকিস্তানে বসবাস করা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম সিএসএস পাস করেন।

এরপর নানা ধাপ পেরিয়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন সানা। সম্প্রতি তাঁকে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের হাসানআবদাল শহরের সহকারী কমিশনার পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কাজ শুরু করেছেন তিনি। সানা ওই শহরের প্রথম মহিলা সহকারী কমিশনার।

সানা রামচন্দ বলেন, পাকিস্তানের হিন্দু নারীদের মধ্যে আমলা হিসেবে আমিই প্রথম কি না, জানি না। তবে আমার আগে কেউ সিএসএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই পদে এসেছেন, এমনটা কখনোই শুনিনি। এটা আনন্দের।