২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলার ৩ হাজার গ্রামে ‘দুয়ারে ব্যাংক’, উদ্যোগী রাজ্য সরকার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 61

পুবের কলম প্রতিবেদক:  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছিলেন রাজ্যের প্রত্যেক মানুষ যুক্ত হন ব্যাংকিং পরিষেবার সঙ্গে। সেই কারণেই তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে। সেই মতন এবার রাজ্যের ৩ হাজার প্রান্তিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে ব্যাংক’ পরিষেবা চালু করতে চলেছে পঞ্চায়েত দফতর।

এর ফলে রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার মানুষজনের বাড়ির কাছে ব্যাংকিং পরিষেবা পৌঁছে যাবে। একই সঙ্গে এই পরিষেবা প্রদানের জন্য নিযুক্ত করা হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। তাঁরা ব্যবসায়িক চিঠিপত্র সখী বা ও (Digi Pay Sakhi হিসেবে কাজ করবেন)। ইতিমধ্যে তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী মাস থেকেই যাতে এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই চলছে এখন, অন্তত নবান্ন সূত্রে তেমনই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

ব্যবসায়িক চিঠিপত্র সখী ও ডিজি পে উইটনেস কাজ কী?  জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক চিঠিপত্র সখী -রা কোনও একটি ব্যাংকের এজেন্ট হবেন। তাঁরা গ্রামে কাউন্টার খুলে গ্রাহকদের টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার কাজ করতে সাহায্য করবেন। এদের বেতন হবে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

অন্যদিকে, (akhié একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে আর্থিক লেনদেনের কাজ করবেন। এই কাজের মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতেই হবে। কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন ওই মহিলারা। প্রতিদিন কত গ্রাহক টাকা তুলছেন বা জমা করছেন, তার তথ্য পোর্টালে উঠে যাবে। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে দফতরও সেটা নজরে রাখতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশন’র তরফে এই কাজের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হচ্ছে। কম্পিউটার চালানো এবং স্মার্ট ফোনে অভ্যস্ত মহিলাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একজন মহিলা একাধিক গ্রামে পরিষেবা দিতে পারবেন। যেসব এলাকায় ব্যাঙ্ক অনেক দূরে কিংবা নেই,  সেখানকার মানুষজন এর ফলে অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির অশনি সংকেত বাংলায়, ভাসতে পারে সাত জেলা

রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন এই পরিষেবা ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছিল। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ যে ঠিক মতো ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাচ্ছেন না, সে খবরও দফতরের আধিকারিকদের কানে এসেছিল। তাই এবার রাজ্যের সব গ্রাম পঞ্চায়েতেই এমন উদ্যোগ চালুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ‘দুয়ারে ব্যাংকিং পরিষেবায় সর্বোচ্চ আর্থিক লেনদেনে সাহায্য করায় দুই মহিলাকে পুরßৃñত করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। আগামী দিনে এই পরিষেবা আরও প্রান্তিক ও দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর দুটি পদে ১৪০০ করে মোট ২৮০০ জন মহিলাকে নিযুক্ত করা হবে। তাঁদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণও দেবেন বিশেষজ্ঞরা। যতটা সম্ভব বেশি সংখ্যক গ্রামকে এই সুবিধার আওতায় আনাটাই এখন সরকারের লক্ষ্য।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলার ৩ হাজার গ্রামে ‘দুয়ারে ব্যাংক’, উদ্যোগী রাজ্য সরকার

আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছিলেন রাজ্যের প্রত্যেক মানুষ যুক্ত হন ব্যাংকিং পরিষেবার সঙ্গে। সেই কারণেই তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে। সেই মতন এবার রাজ্যের ৩ হাজার প্রান্তিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে ব্যাংক’ পরিষেবা চালু করতে চলেছে পঞ্চায়েত দফতর।

এর ফলে রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার মানুষজনের বাড়ির কাছে ব্যাংকিং পরিষেবা পৌঁছে যাবে। একই সঙ্গে এই পরিষেবা প্রদানের জন্য নিযুক্ত করা হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। তাঁরা ব্যবসায়িক চিঠিপত্র সখী বা ও (Digi Pay Sakhi হিসেবে কাজ করবেন)। ইতিমধ্যে তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী মাস থেকেই যাতে এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই চলছে এখন, অন্তত নবান্ন সূত্রে তেমনই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

ব্যবসায়িক চিঠিপত্র সখী ও ডিজি পে উইটনেস কাজ কী?  জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক চিঠিপত্র সখী -রা কোনও একটি ব্যাংকের এজেন্ট হবেন। তাঁরা গ্রামে কাউন্টার খুলে গ্রাহকদের টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার কাজ করতে সাহায্য করবেন। এদের বেতন হবে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

অন্যদিকে, (akhié একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে আর্থিক লেনদেনের কাজ করবেন। এই কাজের মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতেই হবে। কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন ওই মহিলারা। প্রতিদিন কত গ্রাহক টাকা তুলছেন বা জমা করছেন, তার তথ্য পোর্টালে উঠে যাবে। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে দফতরও সেটা নজরে রাখতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশন’র তরফে এই কাজের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হচ্ছে। কম্পিউটার চালানো এবং স্মার্ট ফোনে অভ্যস্ত মহিলাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একজন মহিলা একাধিক গ্রামে পরিষেবা দিতে পারবেন। যেসব এলাকায় ব্যাঙ্ক অনেক দূরে কিংবা নেই,  সেখানকার মানুষজন এর ফলে অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির অশনি সংকেত বাংলায়, ভাসতে পারে সাত জেলা

রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন এই পরিষেবা ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছিল। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ যে ঠিক মতো ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাচ্ছেন না, সে খবরও দফতরের আধিকারিকদের কানে এসেছিল। তাই এবার রাজ্যের সব গ্রাম পঞ্চায়েতেই এমন উদ্যোগ চালুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ‘দুয়ারে ব্যাংকিং পরিষেবায় সর্বোচ্চ আর্থিক লেনদেনে সাহায্য করায় দুই মহিলাকে পুরßৃñত করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। আগামী দিনে এই পরিষেবা আরও প্রান্তিক ও দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর দুটি পদে ১৪০০ করে মোট ২৮০০ জন মহিলাকে নিযুক্ত করা হবে। তাঁদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণও দেবেন বিশেষজ্ঞরা। যতটা সম্ভব বেশি সংখ্যক গ্রামকে এই সুবিধার আওতায় আনাটাই এখন সরকারের লক্ষ্য।