০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগে ১৭ বছর বয়সের আগেই মেয়েদের গর্ভধারণ স্বাভাবিক ছিল, মনুস্মৃতি পড়ুন, ধর্ষিতা নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদনে মন্তব্য গুজরাত হাইকোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 27

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী এক নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদনে, তাঁর আইনজীবীকে মনুস্মৃতি পড়ার নিদান দিল গুজরাত হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি চলার সময় আদালত বলে, ‘আগে একটা সময় মেয়েদের ১৪-১৫ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যেত। ১৭ বছরের আগেই মা হয়ে যেত তারা, মনুস্মৃতি পড়ুন’।

৮ জুন বৃহস্পতিবার এক নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদনে শুনানি চলার সময় মৌখিক পর্যবেক্ষণ করল গুজরাত হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র মিললে তেরো বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে আবেদনকারী ওই নাবালিকা। আবেদনকারীর বর্তমান বয়স ১৬ বছর ১১ মাস। গর্ভধারণের সাত মাস পার হওয়ার পর, মেয়ের এই অবস্থার কথা জানতে পারেন তার বাবা। এর পরেই তিনি তার মেয়ের বয়সের কথা বিবেচনা করে আদালতের দ্বারস্থ হন।

আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া কিশোরী ইউটিউব দেখে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে শ্বাসরোধ করে খুন করল

এদিন আদালতে আবেদনকারী অর্থাৎ নাবালিকা মেয়েটির বাবার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী সিকান্দার সৈয়দ। তিনি আদালতের সামনে মেয়েটির বয়স বিবেচনা করে গর্ভপাতের প্রস্তাব রাখেন।  এদিন তিনি আদালতে জানান, মেয়েটির প্রসবের নির্দিষ্ট তারিখ আগামী ১৮ আগস্ট। তাই এই মামলার দ্রুত শুনানি করা হোক।

আরও পড়ুন: অবসরের বয়স বাড়ছে, বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

তবে তাঁর আবেদন শোনার পর আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ভ্রূণ এবং মেয়েটি দুজনেই ভালো অবস্থায় থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে না। এর পরেই বিচারপতি সমীর জে দেব মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, একটা সময় মেয়েদের ১৪-১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করা এবং ১৭ বছর বয়স হওয়ার আগেই গর্ভধারণ করা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় ছিল। আমি জানি, আপনি পড়বেন না। তাও বলছি একবার অন্তত মনুস্মৃতি পড়ুন।”

ভ্রূণ এবং আবেদনকারী নাবালিকার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য, আদালত তার ডাক্তারি পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছে।  এই প্রসঙ্গে রাজকোটের সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিন্টেনডেন্টকে জরুরি ভিত্তিতে সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি প্যানেল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের ওই প্যানেল তাদের রিপোর্ট পেশ করার পরই এই আবেদনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুনানি আগামী ১৫ জুন। তার আগেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।

 


 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগে ১৭ বছর বয়সের আগেই মেয়েদের গর্ভধারণ স্বাভাবিক ছিল, মনুস্মৃতি পড়ুন, ধর্ষিতা নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদনে মন্তব্য গুজরাত হাইকোর্টের

আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী এক নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদনে, তাঁর আইনজীবীকে মনুস্মৃতি পড়ার নিদান দিল গুজরাত হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি চলার সময় আদালত বলে, ‘আগে একটা সময় মেয়েদের ১৪-১৫ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যেত। ১৭ বছরের আগেই মা হয়ে যেত তারা, মনুস্মৃতি পড়ুন’।

৮ জুন বৃহস্পতিবার এক নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদনে শুনানি চলার সময় মৌখিক পর্যবেক্ষণ করল গুজরাত হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র মিললে তেরো বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে আবেদনকারী ওই নাবালিকা। আবেদনকারীর বর্তমান বয়স ১৬ বছর ১১ মাস। গর্ভধারণের সাত মাস পার হওয়ার পর, মেয়ের এই অবস্থার কথা জানতে পারেন তার বাবা। এর পরেই তিনি তার মেয়ের বয়সের কথা বিবেচনা করে আদালতের দ্বারস্থ হন।

আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া কিশোরী ইউটিউব দেখে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে শ্বাসরোধ করে খুন করল

এদিন আদালতে আবেদনকারী অর্থাৎ নাবালিকা মেয়েটির বাবার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী সিকান্দার সৈয়দ। তিনি আদালতের সামনে মেয়েটির বয়স বিবেচনা করে গর্ভপাতের প্রস্তাব রাখেন।  এদিন তিনি আদালতে জানান, মেয়েটির প্রসবের নির্দিষ্ট তারিখ আগামী ১৮ আগস্ট। তাই এই মামলার দ্রুত শুনানি করা হোক।

আরও পড়ুন: অবসরের বয়স বাড়ছে, বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

তবে তাঁর আবেদন শোনার পর আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ভ্রূণ এবং মেয়েটি দুজনেই ভালো অবস্থায় থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে না। এর পরেই বিচারপতি সমীর জে দেব মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, একটা সময় মেয়েদের ১৪-১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করা এবং ১৭ বছর বয়স হওয়ার আগেই গর্ভধারণ করা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় ছিল। আমি জানি, আপনি পড়বেন না। তাও বলছি একবার অন্তত মনুস্মৃতি পড়ুন।”

ভ্রূণ এবং আবেদনকারী নাবালিকার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য, আদালত তার ডাক্তারি পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছে।  এই প্রসঙ্গে রাজকোটের সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিন্টেনডেন্টকে জরুরি ভিত্তিতে সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি প্যানেল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের ওই প্যানেল তাদের রিপোর্ট পেশ করার পরই এই আবেদনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুনানি আগামী ১৫ জুন। তার আগেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।