১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাঠচক্রের কাছে হার ইস্টবেঙ্গল

ডার্বির আগে হার ইস্টবেঙ্গলের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 17

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ বেজে গিয়েছে ডার্বির দামামা। তার আগে মঙ্গলবার কলকাতা লিগের ম্যাচে  ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে পাঠচক্র ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। শনিবার ডার্বির আগে এটাই ছিল লাল হলুদের শেষ ম্যাচ। যে ম্যাচের পরে একরাশ চিন্তা নিয়ে মাঠ ছাড়ল সমর্থকেরা। গোটা ম্যাচ জুড়েই লাল হলুদ ফুটবলাদের মধ্যে তালমিলের অভাব দেখা গিয়েছে। যা চিন্তায় রাখবে কোচ বিনো জর্জকে। এ দিকে লিগে চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতল পাঠচক্র।

গত রবিবার প্রয়াত হয়েছেন পাঠচক্রের গোলরক্ষক অর্ণব দাসের মা। চার বছর আগে বাবাকে হারিয়েছেন অর্ণব। সোমবার অবশ্য অনুশীলনে নেমে পড়েন তিনি। এবং জানিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে চান। এ দিন সাদা কাছা পরে মাঠে এসেছিলেন অর্ণব। খেলার আগে জার্সি, প্যান্ট পরে নেন। মাঠে নেমে ইস্টবেঙ্গলের একাধিক আক্রমণ রুখে দেন। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। আর সেই পুরস্কার বাবা-মা’কে উৎসর্গ করলেন অর্ণব। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই সতীর্থ থেকে ক্লাব কর্তা, সবাই এসে জড়িয়ে ধরেন অর্ণবকে। বিপক্ষ দলের তরফ থেকেও এসেছে সান্ত্বনা। ম্যাচের পরে চোখের জল বাঁধ মানেনি অর্ণবের।

যখন সবাই ধরে নিয়েছে, ম্যাচ ড্র হতে চলেছে তখন ৮৭ মিনিটে লাল হলুদ ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে চকিতে গোল করেন ডেভিড মতলা। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র এগিয়ে এলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাঠচক্রের কাছে হার ইস্টবেঙ্গল

ডার্বির আগে হার ইস্টবেঙ্গলের

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ বেজে গিয়েছে ডার্বির দামামা। তার আগে মঙ্গলবার কলকাতা লিগের ম্যাচে  ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে পাঠচক্র ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। শনিবার ডার্বির আগে এটাই ছিল লাল হলুদের শেষ ম্যাচ। যে ম্যাচের পরে একরাশ চিন্তা নিয়ে মাঠ ছাড়ল সমর্থকেরা। গোটা ম্যাচ জুড়েই লাল হলুদ ফুটবলাদের মধ্যে তালমিলের অভাব দেখা গিয়েছে। যা চিন্তায় রাখবে কোচ বিনো জর্জকে। এ দিকে লিগে চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতল পাঠচক্র।

গত রবিবার প্রয়াত হয়েছেন পাঠচক্রের গোলরক্ষক অর্ণব দাসের মা। চার বছর আগে বাবাকে হারিয়েছেন অর্ণব। সোমবার অবশ্য অনুশীলনে নেমে পড়েন তিনি। এবং জানিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে চান। এ দিন সাদা কাছা পরে মাঠে এসেছিলেন অর্ণব। খেলার আগে জার্সি, প্যান্ট পরে নেন। মাঠে নেমে ইস্টবেঙ্গলের একাধিক আক্রমণ রুখে দেন। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। আর সেই পুরস্কার বাবা-মা’কে উৎসর্গ করলেন অর্ণব। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই সতীর্থ থেকে ক্লাব কর্তা, সবাই এসে জড়িয়ে ধরেন অর্ণবকে। বিপক্ষ দলের তরফ থেকেও এসেছে সান্ত্বনা। ম্যাচের পরে চোখের জল বাঁধ মানেনি অর্ণবের।

যখন সবাই ধরে নিয়েছে, ম্যাচ ড্র হতে চলেছে তখন ৮৭ মিনিটে লাল হলুদ ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে চকিতে গোল করেন ডেভিড মতলা। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র এগিয়ে এলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি।