০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হচ্ছে না পুরসভার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে   

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 46

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদক: দেশের প্রতি শিশুর স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে সরকারি ও পুরসভার স্কুলগুলিতে দেওয়া হয় মিড ডে মিল। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে স্কুলে।

সেক্ষেত্রে সপ্তাহে ৬ দিনের মধ্যে প্রায় ৪ দিনই ডিম দেওয়া হয়ে থাকে। মাঝের দুদিন নিরামিষ খাবারে থাকে পুষ্টিকর খাবার সোয়াবিন। গোটা দেশে এক নিয়ম চালু থাকলেও কলকাতায় পুরসভার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে না ডিম বা প্রাণীজ প্রোটিন জাতীয় খাবার।

আরও পড়ুন: একাধিক দাবিতে মিড ডে মিল কর্মীদের বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচি জয়নগরে

কলকাতার পুর প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ডিম বা প্রাণীজ প্রোটিন জাতীয় খাবার দেওয়ার জন্য সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্রস্তাব তুলেছিলেন কাউন্সিলর রূপক গাঙ্গুলি।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা কর্মসূচির পরেই কেন্দ্রের টাকা রাজ্যকে,  মিড-ডে মিলের টাকা পেল বাংলা

তাঁর বক্তব্য, কলকাতা পুরসভার মাধ্যমে যে এনজিও স্কুলে  মিড ডে মিল দেয় তারা শুধুই নিরামিষ খাবার সরবরাহ করছে। সেক্ষত্রে পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাহুলের বাড়িতে পুলিশ, ‘ভারত জোড়ো’-য় মহিলাদের ‘যৌন নিগ্রহের’ মন্তব্যের জেরে নোটিশ গিয়েছিল আগেই  

এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা জানান, কলকাতার প্রায় ১৩০ টির বেশি স্কুলে কমিউনিটি কিচেন মারফত একটি ধর্মীয় সংগঠন এই মিড ডে মিলের খাবার দিয়ে থাকে। তারা তাই সবটাই নিরামিষ দেন। সেক্ষেত্রে মিড ডে মিলে খাবারের তালিকায় থাকে পনির, দেওয়া হয় ফল। যা যথেষ্ট পুষ্টির।

যদিও এ বিষয়ে ভিন্ন মোট ব্যক্ত করেছেন শহরের খাদ্য গুণ বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে খাদ্য গুণ বিশেষজ্ঞ লয়লা খালিদ জানান,ক্ষ্মকখনোই প্রাণীর প্রোটিনের সঙ্গে ভেষজ প্রোটিনের মিল হয় না। আমিষ খাবারে অনেক বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে। যা কখনোই শাক সবজি বা নিরামিষ খাবারে মেলেনা। তবে নিরামিষ খাবারের ক্ষেত্রে দুধে অনেক খালি প্রোটিন মেলে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হচ্ছে না পুরসভার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে   

আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: দেশের প্রতি শিশুর স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে সরকারি ও পুরসভার স্কুলগুলিতে দেওয়া হয় মিড ডে মিল। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে স্কুলে।

সেক্ষেত্রে সপ্তাহে ৬ দিনের মধ্যে প্রায় ৪ দিনই ডিম দেওয়া হয়ে থাকে। মাঝের দুদিন নিরামিষ খাবারে থাকে পুষ্টিকর খাবার সোয়াবিন। গোটা দেশে এক নিয়ম চালু থাকলেও কলকাতায় পুরসভার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে না ডিম বা প্রাণীজ প্রোটিন জাতীয় খাবার।

আরও পড়ুন: একাধিক দাবিতে মিড ডে মিল কর্মীদের বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচি জয়নগরে

কলকাতার পুর প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ডিম বা প্রাণীজ প্রোটিন জাতীয় খাবার দেওয়ার জন্য সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্রস্তাব তুলেছিলেন কাউন্সিলর রূপক গাঙ্গুলি।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা কর্মসূচির পরেই কেন্দ্রের টাকা রাজ্যকে,  মিড-ডে মিলের টাকা পেল বাংলা

তাঁর বক্তব্য, কলকাতা পুরসভার মাধ্যমে যে এনজিও স্কুলে  মিড ডে মিল দেয় তারা শুধুই নিরামিষ খাবার সরবরাহ করছে। সেক্ষত্রে পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাহুলের বাড়িতে পুলিশ, ‘ভারত জোড়ো’-য় মহিলাদের ‘যৌন নিগ্রহের’ মন্তব্যের জেরে নোটিশ গিয়েছিল আগেই  

এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা জানান, কলকাতার প্রায় ১৩০ টির বেশি স্কুলে কমিউনিটি কিচেন মারফত একটি ধর্মীয় সংগঠন এই মিড ডে মিলের খাবার দিয়ে থাকে। তারা তাই সবটাই নিরামিষ দেন। সেক্ষেত্রে মিড ডে মিলে খাবারের তালিকায় থাকে পনির, দেওয়া হয় ফল। যা যথেষ্ট পুষ্টির।

যদিও এ বিষয়ে ভিন্ন মোট ব্যক্ত করেছেন শহরের খাদ্য গুণ বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে খাদ্য গুণ বিশেষজ্ঞ লয়লা খালিদ জানান,ক্ষ্মকখনোই প্রাণীর প্রোটিনের সঙ্গে ভেষজ প্রোটিনের মিল হয় না। আমিষ খাবারে অনেক বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে। যা কখনোই শাক সবজি বা নিরামিষ খাবারে মেলেনা। তবে নিরামিষ খাবারের ক্ষেত্রে দুধে অনেক খালি প্রোটিন মেলে।