০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকে আলোকিত করতে আজ এসেছিলেন হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা)

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 61

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিবস হিসেবেই পালন করা হয়। এখন সব দেশে ও সব জাতির মধ্যেই মহান ব্যক্তিদের জন্ম ও মৃত্যুদিবস পালন করার রীতি চালু আছে।সেই হিসাবে বহু দেশে আজ ১২ রবিউল আওয়াল নবী দিবস হিসাবে পালিত হয়।

যিনি হায়াত ও মওতের একমাত্র মালিক তিনি কি কোনও হিকমত ছাড়াই তাঁর সর্বশেষ রাসুলের জন্ম ও মৃত্যু একই দিনে নির্দিষ্ট করেছেন, এমনটা হতে পারে না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই খাতামুন নাবিয়্যিন অর্থাৎ শেষ রাসুল। তাঁর পরে আর কোনও রাসুল আসবেন না। তাঁর নবুয়াত ও রিসালাত সেকারণেই চিরস্থায়ী।

হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমিই সব আদম সন্তানের সর্দার হবো। আমি এ কথা গর্ব প্রকাশের জন্য বলছি না। সেদিন আদম ও সব নবী-রাসুল আমার পতাকাতলে থাকবেন। ’

মুহাম্মদ (সা) জীবনভর মানুষকে শালীনতার পাঠ দিয়েছেন। অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোতে নিয়ে আসার চেষ্টা করে গিয়েছেন।তিনি সবর করতে বলেছেন। কিন্তু সেই সবর যেন কোনোভাবেই কাপুরুষতার সমান্তরাল হয়ে না ওঠে সে পাঠও দিয়েছেন। বৈধ-অবৈধ যেমন মেনে চলতে শিখেয়েছেন। তেমনই পরমধর্ম সম্পর্কে সহিষ্ণুতার শিক্ষাও দিয়ে গিয়েছেন প্রিয় নবী। বিশ্বজোড়া অশান্তি ও বিদ্বেষের বাতাবরণে আজ অত্যন্ত জরুরি হজরত মুহাম্মদ (সা )-র  ন্যায়, নীতি, মানবতা, শালীনতা ও ধৈর্যের পাঠ গ্রহণ করা। কেবল মুসলিমের জন্য তিনি এসেছিলেন বিশ্বের আদর্শ রূপে। সেকারণেই তো তিনি রহমাতুল্লিল আলামিন। সে কারণেই তিনি কেবল মুসলমানের নবী নন, তিনি বিশ্ব নবী। বিশ্ব অভিভাবক।   

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্বকে আলোকিত করতে আজ এসেছিলেন হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা)

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিবস হিসেবেই পালন করা হয়। এখন সব দেশে ও সব জাতির মধ্যেই মহান ব্যক্তিদের জন্ম ও মৃত্যুদিবস পালন করার রীতি চালু আছে।সেই হিসাবে বহু দেশে আজ ১২ রবিউল আওয়াল নবী দিবস হিসাবে পালিত হয়।

যিনি হায়াত ও মওতের একমাত্র মালিক তিনি কি কোনও হিকমত ছাড়াই তাঁর সর্বশেষ রাসুলের জন্ম ও মৃত্যু একই দিনে নির্দিষ্ট করেছেন, এমনটা হতে পারে না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই খাতামুন নাবিয়্যিন অর্থাৎ শেষ রাসুল। তাঁর পরে আর কোনও রাসুল আসবেন না। তাঁর নবুয়াত ও রিসালাত সেকারণেই চিরস্থায়ী।

হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমিই সব আদম সন্তানের সর্দার হবো। আমি এ কথা গর্ব প্রকাশের জন্য বলছি না। সেদিন আদম ও সব নবী-রাসুল আমার পতাকাতলে থাকবেন। ’

মুহাম্মদ (সা) জীবনভর মানুষকে শালীনতার পাঠ দিয়েছেন। অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোতে নিয়ে আসার চেষ্টা করে গিয়েছেন।তিনি সবর করতে বলেছেন। কিন্তু সেই সবর যেন কোনোভাবেই কাপুরুষতার সমান্তরাল হয়ে না ওঠে সে পাঠও দিয়েছেন। বৈধ-অবৈধ যেমন মেনে চলতে শিখেয়েছেন। তেমনই পরমধর্ম সম্পর্কে সহিষ্ণুতার শিক্ষাও দিয়ে গিয়েছেন প্রিয় নবী। বিশ্বজোড়া অশান্তি ও বিদ্বেষের বাতাবরণে আজ অত্যন্ত জরুরি হজরত মুহাম্মদ (সা )-র  ন্যায়, নীতি, মানবতা, শালীনতা ও ধৈর্যের পাঠ গ্রহণ করা। কেবল মুসলিমের জন্য তিনি এসেছিলেন বিশ্বের আদর্শ রূপে। সেকারণেই তো তিনি রহমাতুল্লিল আলামিন। সে কারণেই তিনি কেবল মুসলমানের নবী নন, তিনি বিশ্ব নবী। বিশ্ব অভিভাবক।