০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় গণহত্যা বন্ধের ডাক ইউরোপের ফুটবল গ্যালারিতে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 72

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ক’দিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগের শক্তিশালী ক্লাব লিভারপুলকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাই। সেই ম্যাচ শুরুর আগে গালাতাসারাই সমর্থকেরা স্টেডিয়ামে ব্যানার উন্মোচন করে ফিলিস্তিনের প্রতি ঐক্যের ডাক দেন।

সেই ব্যানারে বড় করে লেখা ছিল, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন’ এবং ‘গাজায় শিশুদের বাঁচতে দিন’। ইউরোপের সদস্য দেশগুলির মধ্যে সবার আগে ইসরাইলকে সব ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছিল তুরস্ক। পরবর্তীতে তুরস্কের দেখানো পথে এগিয়ে এসে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ায় ফ্রান্স, স্পেন, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়ার মতো দেশগুলি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তালিকা ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষরা আওয়াজ তুলছেন গাজার শিশুদের বেঁচে থাকার পক্ষে।

আরও পড়ুন: ইউরো কাপের গ্রুপ বিন্যাসে চমক

তুরস্কের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল খেলিয়ে দেশের ফুটবল ফেডারেশন এরইমধ্যে ফিফা ও উয়েফার কাছে ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা বিশ্বফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের গাজার বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি ও ইসরাইলের অমানবিক, অগ্রহণযোগ্য আচরণকেও তুলে ধরেছে।

এক্ষেত্রে ফিফা ও উয়েফা ইসরাইলের প্রতি নিশ্চুপ থেকে গেলেও, ইউরোপের ফুটবল গ্যালারিতে কিন্তু প্রতিদিনই গাজার গণহত্যা বন্ধের আওয়াজ উঠছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাতে সম্প্রতি লা লিগায় মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাও বিশেষ একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। যেখানে তারা আমন্ত্রণ জানান, ফিলিস্তিনের মহিলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হানি থাজিয়েহকে। এছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাস্ক অঞ্চলে থাকা ১১জন ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে।

সান মামেস স্টেডিয়ামে লা লিগার ওই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি শুরুর আগে মাঠজুড়ে টিম বিলবাও বিশাল একটি ব্যানার তুলে ধরে। যে ব্যানারে বড় করে লেখা ছিল, ‘গনহত্যা বন্ধ কর।’ পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘আমাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো। অ্যাথলেটিক বিলবাও ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে। আমাদের দাবী, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো।’ স্প্যানিশ ক্লাবটির এই পদক্ষেপকে অবশ্য অনেকেই ফুটবলে একটি সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। কারণ, রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেও তারা কিন্তু মানবিকতার পক্ষে বার্তা দিতে ভোলেনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গাজায় গণহত্যা বন্ধের ডাক ইউরোপের ফুটবল গ্যালারিতে

আপডেট : ৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ক’দিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগের শক্তিশালী ক্লাব লিভারপুলকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাই। সেই ম্যাচ শুরুর আগে গালাতাসারাই সমর্থকেরা স্টেডিয়ামে ব্যানার উন্মোচন করে ফিলিস্তিনের প্রতি ঐক্যের ডাক দেন।

সেই ব্যানারে বড় করে লেখা ছিল, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন’ এবং ‘গাজায় শিশুদের বাঁচতে দিন’। ইউরোপের সদস্য দেশগুলির মধ্যে সবার আগে ইসরাইলকে সব ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছিল তুরস্ক। পরবর্তীতে তুরস্কের দেখানো পথে এগিয়ে এসে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ায় ফ্রান্স, স্পেন, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়ার মতো দেশগুলি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তালিকা ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষরা আওয়াজ তুলছেন গাজার শিশুদের বেঁচে থাকার পক্ষে।

আরও পড়ুন: ইউরো কাপের গ্রুপ বিন্যাসে চমক

তুরস্কের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল খেলিয়ে দেশের ফুটবল ফেডারেশন এরইমধ্যে ফিফা ও উয়েফার কাছে ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা বিশ্বফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের গাজার বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি ও ইসরাইলের অমানবিক, অগ্রহণযোগ্য আচরণকেও তুলে ধরেছে।

এক্ষেত্রে ফিফা ও উয়েফা ইসরাইলের প্রতি নিশ্চুপ থেকে গেলেও, ইউরোপের ফুটবল গ্যালারিতে কিন্তু প্রতিদিনই গাজার গণহত্যা বন্ধের আওয়াজ উঠছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাতে সম্প্রতি লা লিগায় মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাও বিশেষ একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। যেখানে তারা আমন্ত্রণ জানান, ফিলিস্তিনের মহিলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হানি থাজিয়েহকে। এছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাস্ক অঞ্চলে থাকা ১১জন ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে।

সান মামেস স্টেডিয়ামে লা লিগার ওই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি শুরুর আগে মাঠজুড়ে টিম বিলবাও বিশাল একটি ব্যানার তুলে ধরে। যে ব্যানারে বড় করে লেখা ছিল, ‘গনহত্যা বন্ধ কর।’ পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘আমাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো। অ্যাথলেটিক বিলবাও ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে। আমাদের দাবী, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো।’ স্প্যানিশ ক্লাবটির এই পদক্ষেপকে অবশ্য অনেকেই ফুটবলে একটি সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। কারণ, রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেও তারা কিন্তু মানবিকতার পক্ষে বার্তা দিতে ভোলেনি।