২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলা বলার অপরাধে হরিয়ানায় আটক রায়দীঘির একই পরিবারের ৮ জন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 16

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়দীঘি : শুধুমাত্র বাংলা বলার অপরাধে হরিয়ানার গুরগ্রামে আটকে সুন্দরবনের রায়দিঘির একই পরিবারের ৮ জন।বাংলা বলা কি অপরাধ, হিন্দিভাষী দেশে বাংলা বললেই কি আটক পড়তে হবে প্রশ্ন বাংলাভাষী এলাকাবাসীদের।

এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দীঘি বিধানসভার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের কৌতলার তেঁতুলতলা এলাকার রমেশ হালদার ও তার ভাই সুকান্ত হালদারের সংসারে অভাব অনটনের জ্বালায় বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, সন্তান এমনকি রায়দিঘি এলাকার বাসিন্দা বোন, জামাই বাবু সহ ৮ জন স্বপরিবারে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যায় হরিয়ানার গুরগ্রাম এলাকায় প্রায় দুমাস আগে।

ইতিমধ্যে তাদের তদন্তের নামে পরিবারের সবাইকে একই ঘরে আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ, রমেশের আত্মীয় পরিজন এবং এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্যের।এলাকাবাসী আত্মীয় পরিজন এবং শাসক দলের নেতাদের দাবি আটকে পড়া ৭ জনের ভোটার কার্ড আধার কার্ড এমনকি ছেলে মেয়েদের জন্ম সার্টিফিকেট সমস্ত কিছু রয়েছে সবকিছু দেখার পর ও গুরগাঁওয়ে তদন্তকারী অফিসাররা তাদের কোথাও বার হবার অনুমতি দেয়নি, যার ফলে সেখানে তাদের আটকে পড়তে হয়েছে, এলাকায় ফেরার ইচ্ছা থাকলেও ফিরতে পারছে না।

ইতিমধ্যে চার দিন অতিবাহিত হলেও আদৌ তাদেরকে বাংলায় ফেরত পাঠানো হবে না সেখানে কাজ করতে দেবে সেই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে রমেশ হালদারের পরিবার।আর এই খবর জানার পর ইতিমধ্যে স্থানীয় মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার ও রায়দীঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা সহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে দাবি রমেশের আত্মীয়দের এবং পঞ্চায়েত সদস্যের।

তাদের দাবি হিন্দিভাষী লোক বাংলায় এসে যদি হিন্দি কথা বলে তারা ঘুরে বেড়াতে পারে বাংলায় কথা বলা মানুষ হিন্দি এলাকায় গিয়ে কেন স্বচ্ছন্দে থাকতে পারছে না।স্থানীয় বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য উদয় হালদার বলেন,কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ইচ্ছে করে বাঙালীদের আটকে রাখছে।বাংলা বলা কি অন্যায়।তারা ভারতীয় নাগরিক, যে কোন ভাষায় কথা বলার নৈতিক অধিকার আছে তাদের। আমি নিজে ওই পরিবারের সাথে কথা বলেছি।

আমাদের সাংসদ ও বিধায়ক ও কথা বলেছে।প্রশাসন চেষ্টা করছে কিভাবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা যায়। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুনির্মল দাস বলেন, শাসক দল ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে ভোট পেতে নতুন নাটক শুরু করেছেন, যে ঘটনাগুলো দেখানো হচ্ছে সেগুলো সব নাটক, সবই শাসক দলের পরিকল্পনা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলা বলার অপরাধে হরিয়ানায় আটক রায়দীঘির একই পরিবারের ৮ জন

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়দীঘি : শুধুমাত্র বাংলা বলার অপরাধে হরিয়ানার গুরগ্রামে আটকে সুন্দরবনের রায়দিঘির একই পরিবারের ৮ জন।বাংলা বলা কি অপরাধ, হিন্দিভাষী দেশে বাংলা বললেই কি আটক পড়তে হবে প্রশ্ন বাংলাভাষী এলাকাবাসীদের।

এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দীঘি বিধানসভার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের কৌতলার তেঁতুলতলা এলাকার রমেশ হালদার ও তার ভাই সুকান্ত হালদারের সংসারে অভাব অনটনের জ্বালায় বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, সন্তান এমনকি রায়দিঘি এলাকার বাসিন্দা বোন, জামাই বাবু সহ ৮ জন স্বপরিবারে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যায় হরিয়ানার গুরগ্রাম এলাকায় প্রায় দুমাস আগে।

ইতিমধ্যে তাদের তদন্তের নামে পরিবারের সবাইকে একই ঘরে আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ, রমেশের আত্মীয় পরিজন এবং এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্যের।এলাকাবাসী আত্মীয় পরিজন এবং শাসক দলের নেতাদের দাবি আটকে পড়া ৭ জনের ভোটার কার্ড আধার কার্ড এমনকি ছেলে মেয়েদের জন্ম সার্টিফিকেট সমস্ত কিছু রয়েছে সবকিছু দেখার পর ও গুরগাঁওয়ে তদন্তকারী অফিসাররা তাদের কোথাও বার হবার অনুমতি দেয়নি, যার ফলে সেখানে তাদের আটকে পড়তে হয়েছে, এলাকায় ফেরার ইচ্ছা থাকলেও ফিরতে পারছে না।

ইতিমধ্যে চার দিন অতিবাহিত হলেও আদৌ তাদেরকে বাংলায় ফেরত পাঠানো হবে না সেখানে কাজ করতে দেবে সেই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে রমেশ হালদারের পরিবার।আর এই খবর জানার পর ইতিমধ্যে স্থানীয় মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার ও রায়দীঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা সহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে দাবি রমেশের আত্মীয়দের এবং পঞ্চায়েত সদস্যের।

তাদের দাবি হিন্দিভাষী লোক বাংলায় এসে যদি হিন্দি কথা বলে তারা ঘুরে বেড়াতে পারে বাংলায় কথা বলা মানুষ হিন্দি এলাকায় গিয়ে কেন স্বচ্ছন্দে থাকতে পারছে না।স্থানীয় বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য উদয় হালদার বলেন,কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ইচ্ছে করে বাঙালীদের আটকে রাখছে।বাংলা বলা কি অন্যায়।তারা ভারতীয় নাগরিক, যে কোন ভাষায় কথা বলার নৈতিক অধিকার আছে তাদের। আমি নিজে ওই পরিবারের সাথে কথা বলেছি।

আমাদের সাংসদ ও বিধায়ক ও কথা বলেছে।প্রশাসন চেষ্টা করছে কিভাবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা যায়। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুনির্মল দাস বলেন, শাসক দল ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে ভোট পেতে নতুন নাটক শুরু করেছেন, যে ঘটনাগুলো দেখানো হচ্ছে সেগুলো সব নাটক, সবই শাসক দলের পরিকল্পনা।