০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, সোমবার
  • / 33

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পাহাড় টানত তাঁদের, ডাক পাঠাত হিমালয়, অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বেরিয়ে পড়তেন জানা-অজানার সন্ধানে।ভালোবাসার দেবভূমিতেই উত্তরাখন্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারানো পাঁচ অভিযাত্রীর নিথর দেহ আজ সোমবার আনা হল কলকাতায়।

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

তথ্যপ্রমাণ দাখিল করে কফিনবন্দী দেহগুলি নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরা। দমদম বিমানবন্দরে তখন শোকের আবহ। চোখের জল আটকাতে পারেননি অন্য যাত্রীরাও।

আরও পড়ুন: দুই মুসলিম যুবককে ঘিরে ধরে নির্মম নির্যাতন, প্রাণে মারার চেষ্টা

সোমবার সকাল ৮ বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ নেতাজী সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পোঁছায় ইন্ডিগোর 6C2346 বিমানটি। একে একে বার করে আনা হয় পাঁচ অভিযাত্রীর দেহ।

আরও পড়ুন: অঙ্কিতা ভাণ্ডারি হত্যা মামলায় প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রীর ছেলে-সহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন তনুময়, সৌরভ, সুখেনদের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ কালীঘাটের শুভায়নের। সামনেই বিয়ে বলে শুভায়নের পরিবারের সদস্যরা শুভায়নকে নিষেধ করেছিলেন  এই ট্রেকিংয়ে যেতে। কিন্তু অভিযানের নেশা দমিয়ে রাখতে পারেনি শুভায়নকে।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরি পড়ুয়াদের বেছে বেছে মারধর-হেনস্থা

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

উত্তরাখন্ডের বাগেশ্বর থেকে কানাকাটা পাস হয়ে ছিল তাঁদের অভিযানের রাস্তা। তবে অত্যন্ত  দুর্গম এই পথ। শেষমেস তুষারধসের কবলে পড়ে প্রাণ হারালেন এই পাঁচ অভিযাত্রী। যদিও আরও এক অভিযাত্রী সুখেন মাজির এখনও কোন খোঁজ মেলেনি।

এইদিন বিমানবন্দরে মামা তনুময়ের দেহ নিতে এসেছিলেন সুখেন মাজির ভাই শুভেন্দু। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি জানান মামার দেহ নিতে এসেছেন কিন্ত এখনও দাদার সুখেন মাজির কোন খোঁজ। শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। শুভেন্দুর  নিজেরও যাওয়ারও কথা ছিল কিন্তু শেষ মুহুর্তে ছুটি না মেলায় তিনি অভিযানে না যাওয়ার  সিধান্ত নেন। এখন নিজেকে নিজেই স্বান্তনা দিচ্ছেন তবু তো বেঁচে আছেন।

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

দুর্গম এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গেই উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। উলুবেড়িয়ার দুই অভিযাত্রী সাগর দে এবং সরিৎশেখর দাসের আত্মীয়ড়া পৌঁছেছেন উত্তরাখন্ডে। দেহ শনাক্ত করে ফিরবেন তাঁরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পাহাড় টানত তাঁদের, ডাক পাঠাত হিমালয়, অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বেরিয়ে পড়তেন জানা-অজানার সন্ধানে।ভালোবাসার দেবভূমিতেই উত্তরাখন্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারানো পাঁচ অভিযাত্রীর নিথর দেহ আজ সোমবার আনা হল কলকাতায়।

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

তথ্যপ্রমাণ দাখিল করে কফিনবন্দী দেহগুলি নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরা। দমদম বিমানবন্দরে তখন শোকের আবহ। চোখের জল আটকাতে পারেননি অন্য যাত্রীরাও।

আরও পড়ুন: দুই মুসলিম যুবককে ঘিরে ধরে নির্মম নির্যাতন, প্রাণে মারার চেষ্টা

সোমবার সকাল ৮ বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ নেতাজী সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পোঁছায় ইন্ডিগোর 6C2346 বিমানটি। একে একে বার করে আনা হয় পাঁচ অভিযাত্রীর দেহ।

আরও পড়ুন: অঙ্কিতা ভাণ্ডারি হত্যা মামলায় প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রীর ছেলে-সহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন তনুময়, সৌরভ, সুখেনদের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ কালীঘাটের শুভায়নের। সামনেই বিয়ে বলে শুভায়নের পরিবারের সদস্যরা শুভায়নকে নিষেধ করেছিলেন  এই ট্রেকিংয়ে যেতে। কিন্তু অভিযানের নেশা দমিয়ে রাখতে পারেনি শুভায়নকে।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরি পড়ুয়াদের বেছে বেছে মারধর-হেনস্থা

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

উত্তরাখন্ডের বাগেশ্বর থেকে কানাকাটা পাস হয়ে ছিল তাঁদের অভিযানের রাস্তা। তবে অত্যন্ত  দুর্গম এই পথ। শেষমেস তুষারধসের কবলে পড়ে প্রাণ হারালেন এই পাঁচ অভিযাত্রী। যদিও আরও এক অভিযাত্রী সুখেন মাজির এখনও কোন খোঁজ মেলেনি।

এইদিন বিমানবন্দরে মামা তনুময়ের দেহ নিতে এসেছিলেন সুখেন মাজির ভাই শুভেন্দু। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি জানান মামার দেহ নিতে এসেছেন কিন্ত এখনও দাদার সুখেন মাজির কোন খোঁজ। শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। শুভেন্দুর  নিজেরও যাওয়ারও কথা ছিল কিন্তু শেষ মুহুর্তে ছুটি না মেলায় তিনি অভিযানে না যাওয়ার  সিধান্ত নেন। এখন নিজেকে নিজেই স্বান্তনা দিচ্ছেন তবু তো বেঁচে আছেন।

চোখের জলে শেষ বিদায় দেবভূমিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীকে

দুর্গম এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গেই উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। উলুবেড়িয়ার দুই অভিযাত্রী সাগর দে এবং সরিৎশেখর দাসের আত্মীয়ড়া পৌঁছেছেন উত্তরাখন্ডে। দেহ শনাক্ত করে ফিরবেন তাঁরা।