আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সঠিক পরিকল্পনায় আজ উপকৃত সুন্দরবনের কৃষকরা

- আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 36
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : সুন্দরবনের নোনা মাটিতে চাষ এক সময় ছিল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সঠিক পরিকল্পনায় আজ উপকৃত কৃষকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি বড় অংশ যা সুন্দরবনের মধ্যেই পড়ে।আর এই সুন্দরবনের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজের উপর।আর এই ভরা বর্ষায় ভাল ফসলের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য বৃষ্টি অপরিহার্য।নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান তথা সিনিয়র বিজ্ঞানী ড: চন্দন কুমার মন্ডল বলেন,সম্পূর্ণ জৈবভাবেই সবজি ফসল উৎপাদন সম্ভব। সবজি চাষের ক্ষেত্রে উৎপাদিত ফসল জৈব সারের মাধ্যমে করতে হবে। তারপর নিয়মিত পরিচর্যা এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতেও জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
সারাবছর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বষ্পপরিসরে শাকসবজি উৎপাদন করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে তা বাণিজ্যিক ভাবেও লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।সেচের জন্য জল সরবরাহ করে, মাটির আর্দ্রতা পুনরায় পূরণ করে এবং জলবায়ু ও আবহাওয়ার ধরণকে প্রভাবিত করে। বৃষ্টি কৃষি পণ্যের গুণমান এবং পরিমাণের পাশাপাশি কৃষকদের আয় ও জীবিকা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকায় বিভিন্ন চাষের ক্ষেত্রে বৃষ্টির উপরে নির্ভরশীল।আর এই বর্ষাকাল সবজি চাষের আদর্শ সময়।আর এই সময় বৃষ্টি ফসলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সরবরাহ করে, সেচের প্রয়োজন কমায় এবং খরার ঝুঁকি কমায়। বর্ষা তাপমাত্রাও কমিয়ে দেয়, যা অনেক সবজির জন্য উপকারী যেগুলি প্রচণ্ড গরমে ফলতে পারে না।
বর্ষাকাল ধনে, ধান, বেগুন পটল উচ্ছে ঢেঁড়শ আরও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করার জন্যও একটি ভাল সময়, আর এই সময় এই ধরনের সবজিগুলিতে চাষবাসের জন্য অত্যন্ত উপযোগী আর তাই বর্ষাকালে সবজি চাষের উপযুক্ত সময়। আর যদি এই পদ্ধতিগুলি আপনি ঠিকঠাকভাবে মেনে চলেন তাহলে চাষবাসের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবেন।