২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে শুরু হচ্ছে বীরভূমের পাথরচাপুরির উরস উৎসব

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 29

কৌশিক সালুই, বীরভূম:  অবশেষে শুরু হচ্ছে বীরভূমের পাথরচাপুরির দাতা বাবা হজরত মেহেবুব শাহের পবিত্র মাজার শরীফে ১৩০ তম উরস উৎসব ও মেলা। বুধবার বিকেলে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। জেলার মন্ত্রী বিধায়ক থেকে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। ব্যবসায়ী থেকে উদ্যোক্তা সকলেই আশাবাদী এ বছর এই বিশেষ তিথিতে রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীরা উপস্থিত হবেন।

অবশেষে শুরু হচ্ছে বীরভূমের পাথরচাপুরির উরস উৎসব

আরও পড়ুন: বন দফতরের আপত্তিতে বসন্ত উৎসব নিষিদ্ধ বোলপুরের সোনাঝুরিতে

বীরভূম জেলা  প্রশাসন এবং মজার কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪  মার্চ অর্থাৎ বুধবার থেকে থেকে ৭ দিনের পাথরচাপুরি মেলা এবং দাতা বাবার উরস উৎসব হচ্ছে। বিগত দুবছর ধরে চলছে করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই উদ্যোক্তা থেকে ব্যবসায়ী সকলেই আশাবাদী এ বছরের এই উৎসবে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীরা উপস্থিত হবেন। দু’বছর পর পুণ্যার্থীরা যেমন বিগত বছরগুলোর মতো স্বাভাবিক একটা উৎসব দেখতে পাবেন অন্যদিকে গত দুই বছরে লোকসান কাটিয়ে মোটা টাকা লাভের আশায় হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছর মাত্র ৬০০ অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছিল। সেখানে এবার প্রায় দেড় হাজারের বেশি মেলাতে স্টল থাকছে।

আরও পড়ুন: চাকরির খবরঃ ২১ হাজার গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ করবে ডাকবিভাগ

২০২০  সালে মেলা একদমই বন্ধ ছিল। গত  বছর মেলার বহর অর্ধেক করে দেওয়া হয়। তবে এবার সেটা স্বাভাবিক হবে। ফি বছর ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের জমায়েত  হয় মেলাতে। প্রশাসন ও মজার কমিটির অনুমান হয়তো এবার সেই ভিড় অনেকটাই  ফিরে পাবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাজার চত্বর থেকে আরম্ভ করে পুরো এলাকা আলোকসজ্জায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূণ্যার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল শৌচাগার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও একদিন আলোক বাজি প্রদর্শনী রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বীরভূমের হজ যাত্রীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হল সিউড়িতে

নদিয়ার শান্তিপুর থেকে উজ্জল কাদেরী নামে এক পুণ্যার্থী এসেছেন মা-বাবা স্ত্রীকে নিয়ে। তিনি বলেন ‘মা-বাবা প্রায় দুই দশক ধরে এই মাজার শরীফে নিয়মিত আসছেন। আমি এবং আমার স্ত্রী এবার প্রথম এলাম এখানের ব্যবস্থাপনা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী কাদের শেখ বলেন,”বহু বছর পর এবার এক বিশেষ তিথি পড়েছে। তাই এবছর বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থীরা আসবেন সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। গতবছর আংশিক মেলা হলেও তার আগের বছর একেবারেই বন্ধ ছিল। তাই আমরা বিগত দুবছর ধরে ব্যাপক লোকসানে চলছি। তবে এ বছর সে ক্ষতি আমাদের পুষিয়ে দেবে”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অবশেষে শুরু হচ্ছে বীরভূমের পাথরচাপুরির উরস উৎসব

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, বুধবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম:  অবশেষে শুরু হচ্ছে বীরভূমের পাথরচাপুরির দাতা বাবা হজরত মেহেবুব শাহের পবিত্র মাজার শরীফে ১৩০ তম উরস উৎসব ও মেলা। বুধবার বিকেলে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। জেলার মন্ত্রী বিধায়ক থেকে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। ব্যবসায়ী থেকে উদ্যোক্তা সকলেই আশাবাদী এ বছর এই বিশেষ তিথিতে রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীরা উপস্থিত হবেন।

অবশেষে শুরু হচ্ছে বীরভূমের পাথরচাপুরির উরস উৎসব

আরও পড়ুন: বন দফতরের আপত্তিতে বসন্ত উৎসব নিষিদ্ধ বোলপুরের সোনাঝুরিতে

বীরভূম জেলা  প্রশাসন এবং মজার কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪  মার্চ অর্থাৎ বুধবার থেকে থেকে ৭ দিনের পাথরচাপুরি মেলা এবং দাতা বাবার উরস উৎসব হচ্ছে। বিগত দুবছর ধরে চলছে করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই উদ্যোক্তা থেকে ব্যবসায়ী সকলেই আশাবাদী এ বছরের এই উৎসবে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীরা উপস্থিত হবেন। দু’বছর পর পুণ্যার্থীরা যেমন বিগত বছরগুলোর মতো স্বাভাবিক একটা উৎসব দেখতে পাবেন অন্যদিকে গত দুই বছরে লোকসান কাটিয়ে মোটা টাকা লাভের আশায় হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছর মাত্র ৬০০ অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছিল। সেখানে এবার প্রায় দেড় হাজারের বেশি মেলাতে স্টল থাকছে।

আরও পড়ুন: চাকরির খবরঃ ২১ হাজার গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ করবে ডাকবিভাগ

২০২০  সালে মেলা একদমই বন্ধ ছিল। গত  বছর মেলার বহর অর্ধেক করে দেওয়া হয়। তবে এবার সেটা স্বাভাবিক হবে। ফি বছর ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের জমায়েত  হয় মেলাতে। প্রশাসন ও মজার কমিটির অনুমান হয়তো এবার সেই ভিড় অনেকটাই  ফিরে পাবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাজার চত্বর থেকে আরম্ভ করে পুরো এলাকা আলোকসজ্জায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূণ্যার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল শৌচাগার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও একদিন আলোক বাজি প্রদর্শনী রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বীরভূমের হজ যাত্রীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হল সিউড়িতে

নদিয়ার শান্তিপুর থেকে উজ্জল কাদেরী নামে এক পুণ্যার্থী এসেছেন মা-বাবা স্ত্রীকে নিয়ে। তিনি বলেন ‘মা-বাবা প্রায় দুই দশক ধরে এই মাজার শরীফে নিয়মিত আসছেন। আমি এবং আমার স্ত্রী এবার প্রথম এলাম এখানের ব্যবস্থাপনা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী কাদের শেখ বলেন,”বহু বছর পর এবার এক বিশেষ তিথি পড়েছে। তাই এবছর বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থীরা আসবেন সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। গতবছর আংশিক মেলা হলেও তার আগের বছর একেবারেই বন্ধ ছিল। তাই আমরা বিগত দুবছর ধরে ব্যাপক লোকসানে চলছি। তবে এ বছর সে ক্ষতি আমাদের পুষিয়ে দেবে”