২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সিল করা জ্ঞানভাপি মসজিদের ওজুখানায় প্রচুর মাছ মারা গেছে’: মসজিদ কমিটি

শফিকুল ইসলাম
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 19

 

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে জ্ঞানভাপি মসজিদ পরিচালনাকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি একটি চিঠির মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছে যে ওজুখানার পানির ট্যাঙ্কে (হাউজ) বেশিরভাগ মাছ মারা গেছে। যে অংশটি সিল করা হয়েছিল সেখানেই মাছ মারা গেছে।

আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্ম সচিব ইয়াসিন বলেন, “আদালতের নির্দেশে যখন অংশটি সিল করা হয়েছিল তখন জ্ঞানভাপি মসজিদের ওজুখানার হাউজে অনেক মাছ ছিল। বেশির ভাগ মাছ মরে গেছে, যার কারণে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন,“পানির ট্যাঙ্কটি সিল করা অংশে থাকায় এটি পরিষ্কার করা হয়নি বা জল নিষ্কাশন করা হয়নি। ফলে বেশির ভাগ মাছ মারা গেছে এবং চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যা রোগ ছড়াতে পারে। যদি রোগ ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি সেখানে মোতায়েন সিআরপিএফ জওয়ান, বিশ্বনাথ মন্দিরের উপাসক এবং দর্শনার্থীদেরও প্রভাবিত করতে পারে।”

 ”মুফতি-ই-বানারাস এবং আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদের সেক্রেটারি আবদুল বাতিন নোমানির জেলা শাসককে লেখা চিঠিটিতে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে।

ইয়াসিন বলেন, “আদালতের নির্দেশে ওজুখানাটি সিল করার সময় ট্যাংকের ভেতরে মাছের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়।অংশটি সিল করার আগে, আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি জানায় যে হাউজের পানি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করা হয় এবং মাছকে প্রতিদিন খাবার দেওয়া হয়।

আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দ্রুত ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার এবং জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. রাজালিঙ্গম বলেছেন, “আদালতের নির্দেশে সিল করা অংশে প্রশাসন কিছুই করতে পারে না।”

 

 

হিন্দু পক্ষ দাবি করেছিল যে জ্ঞানভাপির ওজুখানায় একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। মুসলিম পক্ষ কাঠামোটিকে একটি ঝর্ণা বলে অভিহিত করে।

স্থানীয় আদালতের নির্দেশে ১৬ মে২০২২এ ওজুখানা সিল করা হয়।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘সিল করা জ্ঞানভাপি মসজিদের ওজুখানায় প্রচুর মাছ মারা গেছে’: মসজিদ কমিটি

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার

 

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে জ্ঞানভাপি মসজিদ পরিচালনাকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি একটি চিঠির মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছে যে ওজুখানার পানির ট্যাঙ্কে (হাউজ) বেশিরভাগ মাছ মারা গেছে। যে অংশটি সিল করা হয়েছিল সেখানেই মাছ মারা গেছে।

আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্ম সচিব ইয়াসিন বলেন, “আদালতের নির্দেশে যখন অংশটি সিল করা হয়েছিল তখন জ্ঞানভাপি মসজিদের ওজুখানার হাউজে অনেক মাছ ছিল। বেশির ভাগ মাছ মরে গেছে, যার কারণে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন,“পানির ট্যাঙ্কটি সিল করা অংশে থাকায় এটি পরিষ্কার করা হয়নি বা জল নিষ্কাশন করা হয়নি। ফলে বেশির ভাগ মাছ মারা গেছে এবং চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যা রোগ ছড়াতে পারে। যদি রোগ ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি সেখানে মোতায়েন সিআরপিএফ জওয়ান, বিশ্বনাথ মন্দিরের উপাসক এবং দর্শনার্থীদেরও প্রভাবিত করতে পারে।”

 ”মুফতি-ই-বানারাস এবং আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদের সেক্রেটারি আবদুল বাতিন নোমানির জেলা শাসককে লেখা চিঠিটিতে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে।

ইয়াসিন বলেন, “আদালতের নির্দেশে ওজুখানাটি সিল করার সময় ট্যাংকের ভেতরে মাছের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়।অংশটি সিল করার আগে, আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি জানায় যে হাউজের পানি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করা হয় এবং মাছকে প্রতিদিন খাবার দেওয়া হয়।

আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দ্রুত ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার এবং জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. রাজালিঙ্গম বলেছেন, “আদালতের নির্দেশে সিল করা অংশে প্রশাসন কিছুই করতে পারে না।”

 

 

হিন্দু পক্ষ দাবি করেছিল যে জ্ঞানভাপির ওজুখানায় একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। মুসলিম পক্ষ কাঠামোটিকে একটি ঝর্ণা বলে অভিহিত করে।

স্থানীয় আদালতের নির্দেশে ১৬ মে২০২২এ ওজুখানা সিল করা হয়।