০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ক্ষুব্ধ ইসরাইল, আমেরিকা

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা ফ্রান্সের!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 254

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ফিলিস্তিনকে  রাষ্ট্রের মর্যাদা ফ্রান্সের। বেজায় ক্ষুব্ধ ইসরাইল – আমেরিকা। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোদ ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

এদিকে ফ্রান্সের এহেন সিদ্ধান্তে কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি ম্যাক্রোঁর এ ঘোষণাকে ‘বেপরোয়া সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। বলা বাহুল্য, জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনকে প্রথম স্বীকৃতি দিচ্ছে ফ্রান্স।

আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুক: খামেনি

অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কথায়, এহেন পদক্ষেপ আসলে ইরানি ছায়াযুদ্ধের অস্ত্র। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে দাবি করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমেরিকার আয় কত? ট্রাম্পের দাবি ভুয়ো, জানাচ্ছে রিপোর্ট

এদিন সোস্যাল সাইটে এক বার্তায় ম্যাক্রোঁ লেখেন, গাজা যুদ্ধ এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। মানুষজনকে বাঁচাতে হবে। শান্তি সম্ভব। আমাদের দরকার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সকল জিম্মি মুক্তি এবং গাজাবাসীর জন্য বিশাল মানবিক সহায়তা।

আরও পড়ুন: Gaza Genocide: গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে আমেরিকার বিরুদ্ধে ভারত-চিন-রাশিয়াকে এক হতে হবে: সেলিম

তিনি  আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই শান্তির প্রতি ফ্রান্সের ঐতিহাসিক অঙ্গীকার রক্ষা করে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উল্লেখ্য,  যদিও ২০২৩ অক্টোবরের হামলার পর তেল আভিভের পাশে দাঁড়িয়েছিল ফ্রান্স। সেই সময় হামাসের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। আর আজকের এহেন সিদ্ধান্তে পিছনে কৌশলগত রাজনীতি যে রয়েছে সেই তথ্যও খণ্ডন করছে না বিশেষজ্ঞ মহল। মূলত ম্যাক্রোঁর এহেন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে নির্বাচনী রাজনীতি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ফ্রান্সে। ফলে গাজা-সহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক ইস্যুতে সেদেশেপ্রায়শই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচিওর দেখা মেলে। সম্ভবত সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ফিলিস্তিনকে  স্বীকৃতি দিতে চাইছে ফ্রান্স।  এছাড়া গাজায় চালানো ইসরাইলের পৈশাচিক অত্যাচার তো রয়েছেই।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্ষুব্ধ ইসরাইল, আমেরিকা

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা ফ্রান্সের!

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ফিলিস্তিনকে  রাষ্ট্রের মর্যাদা ফ্রান্সের। বেজায় ক্ষুব্ধ ইসরাইল – আমেরিকা। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোদ ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

এদিকে ফ্রান্সের এহেন সিদ্ধান্তে কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি ম্যাক্রোঁর এ ঘোষণাকে ‘বেপরোয়া সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। বলা বাহুল্য, জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনকে প্রথম স্বীকৃতি দিচ্ছে ফ্রান্স।

আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুক: খামেনি

অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কথায়, এহেন পদক্ষেপ আসলে ইরানি ছায়াযুদ্ধের অস্ত্র। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে দাবি করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমেরিকার আয় কত? ট্রাম্পের দাবি ভুয়ো, জানাচ্ছে রিপোর্ট

এদিন সোস্যাল সাইটে এক বার্তায় ম্যাক্রোঁ লেখেন, গাজা যুদ্ধ এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। মানুষজনকে বাঁচাতে হবে। শান্তি সম্ভব। আমাদের দরকার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সকল জিম্মি মুক্তি এবং গাজাবাসীর জন্য বিশাল মানবিক সহায়তা।

আরও পড়ুন: Gaza Genocide: গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে আমেরিকার বিরুদ্ধে ভারত-চিন-রাশিয়াকে এক হতে হবে: সেলিম

তিনি  আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই শান্তির প্রতি ফ্রান্সের ঐতিহাসিক অঙ্গীকার রক্ষা করে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উল্লেখ্য,  যদিও ২০২৩ অক্টোবরের হামলার পর তেল আভিভের পাশে দাঁড়িয়েছিল ফ্রান্স। সেই সময় হামাসের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। আর আজকের এহেন সিদ্ধান্তে পিছনে কৌশলগত রাজনীতি যে রয়েছে সেই তথ্যও খণ্ডন করছে না বিশেষজ্ঞ মহল। মূলত ম্যাক্রোঁর এহেন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে নির্বাচনী রাজনীতি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ফ্রান্সে। ফলে গাজা-সহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক ইস্যুতে সেদেশেপ্রায়শই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচিওর দেখা মেলে। সম্ভবত সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ফিলিস্তিনকে  স্বীকৃতি দিতে চাইছে ফ্রান্স।  এছাড়া গাজায় চালানো ইসরাইলের পৈশাচিক অত্যাচার তো রয়েছেই।