৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উরিয়াম ঘাটে উচ্ছেদে সাময়িক স্থগিতাদের গৌহাটি হাইকোর্টের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 22

পুবের কলম, গুয়াহাটি : পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী উজান অসমের গোলাঘাটের উরিয়াম ঘাটের রেংমা বনাঞ্চলে মঙ্গলবার অসম সরকারের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। প্রায় ১১,০০০ বিঘা জমি বেদখলমুক্ত করার জন্য হাজার দুয়েক পুলিশ বনকর্মী প্রায় দেড়শ এসকেভেটর ও বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। প্রায় ২৭০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে নামে প্রশাসন।

মঙ্গলবারই ৪৫০টি বসত বাড়ি ধুলিসাৎ করা হয়। এগুলোর সবই বাংলাভাষী মুসলমানদের। কিন্তু এদিনই বিকেলে উচ্ছেদে সাময়িক স্থগিতাদেশ ছিল। গৌহাটি হাইকোর্ট ওই এলাকার কয়েকজন অধিবাসীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত উরিয়াম ঘাটের রেংমা বনাঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল গৌহাটি হাইকোর্ট। এছাড়া অসম সরকারকে নোটিস জারি করে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: অসমেও ৪০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেবে, আশঙ্কা সুস্মিতা দেবের

এতো দিন ধরে নিম্ন অসমের বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের পর উজান অসমের গোলাঘাটের উরিয়ামঘাটে বেদখল মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিনে নোটিশ পেয়ে অনেক পরিবারই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে গেছে। অধিবাসীদের দাবি, যে গ্রামগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, সেগুলি সব রাজস্ব গ্রাম।

আরও পড়ুন: উচ্ছেদ: আদালত অবমাননা নিয়ে অসমকে নোটিশ শীর্ষ কোর্টের

অনেকেরই হাতে জমির কাগজপত্রও রয়েছে। তাসত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষের ঘরবাড়ি, বাজার, দোকান, এমনকি স্কুল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবারও উচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকেলেই গৌহাটি হাইকোর্ট ৭ আগস্ট পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করে।

আরও পড়ুন: অসমে চলমান উচ্ছেদ ও ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, দাবী জামাআতের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মালিক মোতাসিম খানের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উরিয়াম ঘাটে উচ্ছেদে সাময়িক স্থগিতাদের গৌহাটি হাইকোর্টের

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, গুয়াহাটি : পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী উজান অসমের গোলাঘাটের উরিয়াম ঘাটের রেংমা বনাঞ্চলে মঙ্গলবার অসম সরকারের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। প্রায় ১১,০০০ বিঘা জমি বেদখলমুক্ত করার জন্য হাজার দুয়েক পুলিশ বনকর্মী প্রায় দেড়শ এসকেভেটর ও বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। প্রায় ২৭০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে নামে প্রশাসন।

মঙ্গলবারই ৪৫০টি বসত বাড়ি ধুলিসাৎ করা হয়। এগুলোর সবই বাংলাভাষী মুসলমানদের। কিন্তু এদিনই বিকেলে উচ্ছেদে সাময়িক স্থগিতাদেশ ছিল। গৌহাটি হাইকোর্ট ওই এলাকার কয়েকজন অধিবাসীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত উরিয়াম ঘাটের রেংমা বনাঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল গৌহাটি হাইকোর্ট। এছাড়া অসম সরকারকে নোটিস জারি করে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: অসমেও ৪০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেবে, আশঙ্কা সুস্মিতা দেবের

এতো দিন ধরে নিম্ন অসমের বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের পর উজান অসমের গোলাঘাটের উরিয়ামঘাটে বেদখল মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিনে নোটিশ পেয়ে অনেক পরিবারই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে গেছে। অধিবাসীদের দাবি, যে গ্রামগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, সেগুলি সব রাজস্ব গ্রাম।

আরও পড়ুন: উচ্ছেদ: আদালত অবমাননা নিয়ে অসমকে নোটিশ শীর্ষ কোর্টের

অনেকেরই হাতে জমির কাগজপত্রও রয়েছে। তাসত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষের ঘরবাড়ি, বাজার, দোকান, এমনকি স্কুল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবারও উচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকেলেই গৌহাটি হাইকোর্ট ৭ আগস্ট পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করে।

আরও পড়ুন: অসমে চলমান উচ্ছেদ ও ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, দাবী জামাআতের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মালিক মোতাসিম খানের