০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেষ্টপুরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২১, শুক্রবার
  • / 54

পুবের কলম প্রতিবেদক: কেষ্টপুর অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় মৃত বিপ্লব সেনগুপ্তের পরিবার পেল রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য। শুক্রবার দুপুরে শতরূপা পল্লী সংলগ্ন বাড়িতে পৌঁছে মৃতের স্ত্রী শিপ্রা সেনগুপ্তের হাতে সেনগুপ্ত সরকারি ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করলেন বিধাননগর পুরনিগমের প্রশাসন বোর্ডের প্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তী, স্থানীয় রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি, প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান মনীষ মুখার্জিরা। কৃষ্ণা জানান, আগুনের বাকি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে।
এদিন রাজ্য সরকারি চেক হাতে পেয়েও স্বামী হারানোর যন্ত্রণায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিপ্রাদেবী। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন, ‘বিপদকালে সরকারের এই সহযোগিতা কখন ভোলার নয়’। এদিকে মৃত বিপ্লববাবুর এক মেয়ে কেষ্টপুরের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। অসহায় ওই ছাত্রীর পড়াশুনা-সহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকতে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর মনীষ মুখার্জিকে বলে যান কৃষ্ণা। সেই মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস জুগিয়েছেন প্রাক্তন বরো এই চেয়ারম্যান। এরই আগে, দুর্ঘটনার পর থেকে একটি ত্রাণ ক্যাম্প চালিয়ে যাচ্ছেন মনীষ। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তরা দু’বেলা পাচ্ছেন খাবার। প্রসঙ্গত, গত রবিবার গভীর রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয় কেষ্টপুর শতরূপা পল্লীর অস্থায়ী প্রায় ৩০ টি দোকান। পল্লীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেখে মুহূর্তের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিপ্লববাবু। উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মুখে পড়ে গুরুত্বর জখম হন তিনি। চিকিৎসা চলছিল কলকাতা নীলরতন সরকার হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মৃত্যু হয় বিপ্লববাবুর। এরপরে তড়িঘড়ি ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায় প্রশাসন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেষ্টপুরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কেষ্টপুর অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় মৃত বিপ্লব সেনগুপ্তের পরিবার পেল রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য। শুক্রবার দুপুরে শতরূপা পল্লী সংলগ্ন বাড়িতে পৌঁছে মৃতের স্ত্রী শিপ্রা সেনগুপ্তের হাতে সেনগুপ্ত সরকারি ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করলেন বিধাননগর পুরনিগমের প্রশাসন বোর্ডের প্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তী, স্থানীয় রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি, প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান মনীষ মুখার্জিরা। কৃষ্ণা জানান, আগুনের বাকি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে।
এদিন রাজ্য সরকারি চেক হাতে পেয়েও স্বামী হারানোর যন্ত্রণায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিপ্রাদেবী। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন, ‘বিপদকালে সরকারের এই সহযোগিতা কখন ভোলার নয়’। এদিকে মৃত বিপ্লববাবুর এক মেয়ে কেষ্টপুরের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। অসহায় ওই ছাত্রীর পড়াশুনা-সহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকতে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর মনীষ মুখার্জিকে বলে যান কৃষ্ণা। সেই মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস জুগিয়েছেন প্রাক্তন বরো এই চেয়ারম্যান। এরই আগে, দুর্ঘটনার পর থেকে একটি ত্রাণ ক্যাম্প চালিয়ে যাচ্ছেন মনীষ। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তরা দু’বেলা পাচ্ছেন খাবার। প্রসঙ্গত, গত রবিবার গভীর রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয় কেষ্টপুর শতরূপা পল্লীর অস্থায়ী প্রায় ৩০ টি দোকান। পল্লীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেখে মুহূর্তের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিপ্লববাবু। উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মুখে পড়ে গুরুত্বর জখম হন তিনি। চিকিৎসা চলছিল কলকাতা নীলরতন সরকার হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মৃত্যু হয় বিপ্লববাবুর। এরপরে তড়িঘড়ি ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায় প্রশাসন।