১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬ সালেও বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে স্বর্ণের দাম

 

টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। চলতি বছরে ইতিহাস গড়ে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ডলার ছুঁয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে—২০২৬ সালেও এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে।

সর্বশেষ পূর্বাভাসে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক Goldman Sachs জানিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ দিকে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি প্রায় ৪ হাজার ৯০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। অন্যান্য সংস্থার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, আগামী বছর স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৯০০ ডলারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে পারে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, প্রত্যাশিত হারে স্বর্ণে বিনিয়োগ এখনও হয়নি। ফলে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, Federal Reserve ধারাবাহিকভাবে নীতি সুদহার কমাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালে আরও ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমতে পারে, যা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

এছাড়া বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট -এর আগ্রাসী বাণিজ্যনীতির প্রভাবেও বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক বন্ডের তুলনায় স্বর্ণকেই বেশি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখছেন। সব মিলিয়ে ২০২৬ সালেও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের ঝলকানি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আইসিসের হামলার জবাব দেওয়া হবে: ট্রাম্প

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২০২৬ সালেও বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে স্বর্ণের দাম

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার

 

টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। চলতি বছরে ইতিহাস গড়ে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ডলার ছুঁয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে—২০২৬ সালেও এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে।

সর্বশেষ পূর্বাভাসে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক Goldman Sachs জানিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ দিকে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি প্রায় ৪ হাজার ৯০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। অন্যান্য সংস্থার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, আগামী বছর স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৯০০ ডলারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে পারে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, প্রত্যাশিত হারে স্বর্ণে বিনিয়োগ এখনও হয়নি। ফলে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, Federal Reserve ধারাবাহিকভাবে নীতি সুদহার কমাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালে আরও ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমতে পারে, যা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

এছাড়া বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট -এর আগ্রাসী বাণিজ্যনীতির প্রভাবেও বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক বন্ডের তুলনায় স্বর্ণকেই বেশি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখছেন। সব মিলিয়ে ২০২৬ সালেও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের ঝলকানি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।