উৎসবের মরসুমে আতসবাজি ফাটানোর সময় বেঁধে দিল রাজ্য সরকার

- আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 38
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সবুজ আতসবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতসবাজি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গে। এবার বাজি ফাটানোর সময়ও বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। শুধু বাজি ফাটানোই নয়, পরীক্ষার সময়ে মাইক বাজানো নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন আতসবাজি ফাটানো কিংবা মাইর বাজানো– নিয়ম ভঙ্গ করলে অভিযোগ দায়ের করার জন্য ১৮০০৩৪৫৩৩৯০ হেল্প লাইন নম্বরেরও উল্লেখ করলেন মন্ত্রী। রাজ্য জুড়ে ১১ টি আঞ্চলিক অফিস রয়েছে অভিযোগ জানানোর জন্য। পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে গ্রিভান্স সেল। মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম পর্বে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, উৎসব মরসুমে কোন কোন সময় কতক্ষণ আতসবাজি পোড়ানো যাবে।
মন্ত্রী জানান, দীপাবলি উৎসবে রাত ৮ টা থেকে ১০ পর্যন্ত এবং ছট পুজোয় সন্ধে ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দু’ ঘন্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে। আর বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের সময়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২ টা ৩৫ পর্যন্ত আতসবাজি ফাটানোর সময বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ লঙ্ঘন করাকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে। শধবাজি ফাটানো নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা ওই হেল্পলাইন নম্বরে জানানো যাবে বলেও বিধানসভায় জানিয়ে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
পরীক্ষা চলাকালীন স্কুল বা পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে মাইক বাজানো নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়ে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে পরীক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্পিকার বলেন, এই বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।মঙ্গলবার পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সংবিধানে পরিবেশ বিষয়টিকে আলাদা করে কোনও তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এটি না রাজ্য, না কেন্দ্র, না যুগ্ম তালিকাভুক্ত। তবুও এই দফতরটিকে নিয়ে রাজ্য সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
মঙ্গলবার বিধানসভায় মধুসূদন বাগ প্রশ্ন করেন, শধ দূষণ ও জলদূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করকে রাজ্য সরকার কী করেছে? উত্তরে পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য সরকার জল-বায়ু-শধ দূষণ রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দূষণ নিযন্ত্রণ পর্ষদের ৫৭৩২ টি স্কুল এবং ১০০ টি কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা হয়।
এছাড়াও পর্ষদ পরিবেশ রক্ষার ও সংরক্ষণের জন্য ‘মিশন লাইফ’ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বলে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান। প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করা, জল-বায়ু দূষণ প্রতিরোধ, লাউড স্পিকারের ব্যবহার ইত্যাদির ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এছাড়া উৎসবের সময়ে জিঙ্গল তৈরি, পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেমিনার পরিচালনার কাজও করে থাকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ করে থাকে বলে জানান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।