০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিটিএ নির্বাচন মে-জুন মাসে!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার
  • / 96

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রবিবার শিলিগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ বলছে আমি ছ’দিন থাকব। কেউ বলছে সাতদিন। কেউ বলছে ১৫ দিন। আমি তিনদিন পাহাড়ে থাকব। পাহাড়ে থেকে জিটিএ নিয়ে আলোচনা করব। আমি চাই জিটিএ নির্বাচন হোক। নির্বাচনটা মে-জুনে করতে চাই।’মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কালিম্পয়ের এক নির্দল বিধায়ক চিঠি লিখে জিটিএ থেকে কালিম্পংকে আলাদা করার দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, জেলার মর্যাদা পেলেও কালিম্পয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নেই, জেলা পরিষদ নেই। এই কাজগুলি আমাদের করতে হবে।

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তারেকের ফাউল, বিপাকে বিএনপি

মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিও চান পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। যদিও এ জন্য আইন সংশোধন করতে হবে। সেই ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই রয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে অবশ্য দিল্লির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। কিন্তু পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্রকে বলব আইনটা সংশোধন করুন।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্বাস্তুদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। মুখ্যমূত্রী বলেন, তিনি উচ্ছেদের নীতিতে বিশ্বাসী নন। সেজন্য তাঁর সরকার উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে পাট্টা দিচ্ছে। কিন্তু জমি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে পাট্টা বিলি করা যায়নি। কিন্তু এবার তাঁরাও জমির পাট্টা পাবেন। ২৯ মার্চ দার্জিলিয়ের ম্যালে একটি অনুষ্ঠান থেকে উদ্বাস্তুদের পাট্টা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাংলা যা পারে তা অন্য কেউ পারে না। দার্জিলিয়ের উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে, কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

 

আরও পড়ুন:  দিল্লিতে জোরদার রাজনৈতিক নাটক, কেজরির বাসভবনে দুর্নীতি প্রতিরোধ শাখার গোয়েন্দা 

পাহাড়ে রাজনৈতিক মহলের খবর, জিটিএ নির্বাচনের আগেই সম্ভবত হাত মেলাতে চলেছেন বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অনিতা থাপারা। এমনিতেই বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অনিতা থাপারা গত দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে এককভাবে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারেননি। দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন এককভাবে লড়াই সম্ভব নয়, জোট বাঁধতে হবে। পাহাড়ের রাজিনীতিতে বিমল গুরুংয়ের ভাল প্রভাব থাকলেও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ও দার্জিলিংয়ে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়।

 

 

২০২০ সালে বিমল গুরুং তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান। যদিও সেই সময় অনিতা থাপা হাত মেলাতে রাজি হননি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। তবে বিমল গুরুং অনিত থাপা এবং বিনয় তামাং জিটিএ নির্বাচনের আগে যে একসঙ্গে নির্বাচনগুলোতে লড়তে চায় তার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে, পাহাড়ের নবগঠিত অজয় এডওয়ার্ডের ‘হামরো পার্টি’ ক্রমশঃ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এইসব উপলব্ধি করেই পাহাড়ে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতেবিমল-বিনয়-অনিতা একজোট হতে চাইছেন। তাঁরা ভালই বুঝতে পেরেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একজোট হতে না পারলে উপায় নেই। রবিবার শিলিগুড়ির কাছে গোসাইপুরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পাহাড়ে অনেকগুলো কাজ নিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম জিটিএর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা। এছাড়াও পঞ্চায়েত ও বাকি তিনটে পুরসভার নির্বাচনের দিকেও নজর থাকবে।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জিটিএ নির্বাচন মে-জুন মাসে!

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রবিবার শিলিগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ বলছে আমি ছ’দিন থাকব। কেউ বলছে সাতদিন। কেউ বলছে ১৫ দিন। আমি তিনদিন পাহাড়ে থাকব। পাহাড়ে থেকে জিটিএ নিয়ে আলোচনা করব। আমি চাই জিটিএ নির্বাচন হোক। নির্বাচনটা মে-জুনে করতে চাই।’মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কালিম্পয়ের এক নির্দল বিধায়ক চিঠি লিখে জিটিএ থেকে কালিম্পংকে আলাদা করার দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, জেলার মর্যাদা পেলেও কালিম্পয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নেই, জেলা পরিষদ নেই। এই কাজগুলি আমাদের করতে হবে।

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তারেকের ফাউল, বিপাকে বিএনপি

মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিও চান পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। যদিও এ জন্য আইন সংশোধন করতে হবে। সেই ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই রয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে অবশ্য দিল্লির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। কিন্তু পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্রকে বলব আইনটা সংশোধন করুন।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্বাস্তুদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। মুখ্যমূত্রী বলেন, তিনি উচ্ছেদের নীতিতে বিশ্বাসী নন। সেজন্য তাঁর সরকার উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে পাট্টা দিচ্ছে। কিন্তু জমি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে পাট্টা বিলি করা যায়নি। কিন্তু এবার তাঁরাও জমির পাট্টা পাবেন। ২৯ মার্চ দার্জিলিয়ের ম্যালে একটি অনুষ্ঠান থেকে উদ্বাস্তুদের পাট্টা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাংলা যা পারে তা অন্য কেউ পারে না। দার্জিলিয়ের উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে, কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

 

আরও পড়ুন:  দিল্লিতে জোরদার রাজনৈতিক নাটক, কেজরির বাসভবনে দুর্নীতি প্রতিরোধ শাখার গোয়েন্দা 

পাহাড়ে রাজনৈতিক মহলের খবর, জিটিএ নির্বাচনের আগেই সম্ভবত হাত মেলাতে চলেছেন বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অনিতা থাপারা। এমনিতেই বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অনিতা থাপারা গত দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে এককভাবে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারেননি। দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন এককভাবে লড়াই সম্ভব নয়, জোট বাঁধতে হবে। পাহাড়ের রাজিনীতিতে বিমল গুরুংয়ের ভাল প্রভাব থাকলেও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ও দার্জিলিংয়ে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়।

 

 

২০২০ সালে বিমল গুরুং তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান। যদিও সেই সময় অনিতা থাপা হাত মেলাতে রাজি হননি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। তবে বিমল গুরুং অনিত থাপা এবং বিনয় তামাং জিটিএ নির্বাচনের আগে যে একসঙ্গে নির্বাচনগুলোতে লড়তে চায় তার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে, পাহাড়ের নবগঠিত অজয় এডওয়ার্ডের ‘হামরো পার্টি’ ক্রমশঃ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এইসব উপলব্ধি করেই পাহাড়ে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতেবিমল-বিনয়-অনিতা একজোট হতে চাইছেন। তাঁরা ভালই বুঝতে পেরেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একজোট হতে না পারলে উপায় নেই। রবিবার শিলিগুড়ির কাছে গোসাইপুরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পাহাড়ে অনেকগুলো কাজ নিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম জিটিএর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা। এছাড়াও পঞ্চায়েত ও বাকি তিনটে পুরসভার নির্বাচনের দিকেও নজর থাকবে।