০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে প্রবেশ নয় নির্দেশিকা এজেসি কলেজে !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, রবিবার
  • / 83

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ স্টাইলের ফাটা জিন্স পরে কলেজে আসার ফলে পড়ুয়ারা শালীন-অশালীন-এর সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। তা আটকাতে এবার তৎপর হল কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র (এজেসি) কলেজ কর্তৃপক্ষ। এজেসি কলেজ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ জানিয়েছে, কৃত্রিমভাবে ছেঁড়া পোশাক, বিশেষ করে ছেঁড়া প্যান্ট পরে কলেজে আসা যাবে না। এই ধরণের পোষাক পরে কলেজে এলে পড়ুয়ায়াদের ‘টিসি’ (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়া হবে। এই নির্দেশ শুধু কলেজ পড়ুয়ায়াদের ক্ষেত্রে নয়, কলেজের কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ মার্চ কলেজে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের পোশাক ভদ্র নয়।

 

আরও পড়ুন: হিজাব পরা ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে নাঃ কর্নাটক শিক্ষামন্ত্রী

এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ওই কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতি জানিয়েছেন, কলেজের পক্ষে ওই ধরনের পোশাক শোভনীয় নয় বলেই মনে করেন তিনি। তাই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অধ্যক্ষ উল্লেখ করেছেন, দিনের পর দিন ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে আসতে দেখেন পড়ুয়ায়াদের। এমনকি তাঁর ঘরেও প্রবেশ করেছিলেন কেউ কেউ। শালীন পোশাক বলে মনে হয়নি বলেই ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন সেই পড়ুয়ায়াদের। তাঁর নিজের ছেলে এবং মেয়েও এই কলেজেই পড়াশোনা করেন।

আরও পড়ুন: ফের মোদির জনসভায় ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঢোকার চেষ্টা

 

আরও পড়ুন: বৈষম্য নয় সমতা চাই: পূর্ণ  সাম্মানিক (বেতন) ও সম্মান (পুরস্কার) থেকে বঞ্চিত, শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে ক্ষেদ  কলেজ এর আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের  

অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন অনেকেই। কেউ বিরোধিতা করেননি। পোশাক প্রত্যেকের পছন্দ হলেও অধ্যক্ষের মতে, ‘ফ্যাশন’ বাইরেই থাকা উচিত, কলেজের মধ্যে কোনও প্রয়োজন নেই। নির্দেশিকা না মানা হলে অভিভাবককে ডেকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

এর বেশ কয়েক বছর আগে স্কটিশ চার্চ কলেজে এরকম পোশাক নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়ায়াদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাম জমানায় আশুতোষ কলেজে ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে শালীনতার প্রশ্ন তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী।

 

উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোষাক একটা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কর্ণাটকে ছাত্রীরা শালীন হিজাব পরার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু কর্ণাটক সরকার তার অনুমোদন করেনি। কর্ণাটক হাইকোর্ট সরকারের নিষেধাজ্ঞাকেই একপ্রকার বহাল রাখল। কর্ণাটক হাইকোর্ট বলেছে, হিজাব ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েব শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শালীন পোষাক শোভনীয়। তবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পোষাক বিধি জোর করে পড়ুয়ায়াদের উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না বলে জানান তিনি।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে প্রবেশ নয় নির্দেশিকা এজেসি কলেজে !

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ স্টাইলের ফাটা জিন্স পরে কলেজে আসার ফলে পড়ুয়ারা শালীন-অশালীন-এর সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। তা আটকাতে এবার তৎপর হল কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র (এজেসি) কলেজ কর্তৃপক্ষ। এজেসি কলেজ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ জানিয়েছে, কৃত্রিমভাবে ছেঁড়া পোশাক, বিশেষ করে ছেঁড়া প্যান্ট পরে কলেজে আসা যাবে না। এই ধরণের পোষাক পরে কলেজে এলে পড়ুয়ায়াদের ‘টিসি’ (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়া হবে। এই নির্দেশ শুধু কলেজ পড়ুয়ায়াদের ক্ষেত্রে নয়, কলেজের কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ মার্চ কলেজে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের পোশাক ভদ্র নয়।

 

আরও পড়ুন: হিজাব পরা ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে নাঃ কর্নাটক শিক্ষামন্ত্রী

এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ওই কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতি জানিয়েছেন, কলেজের পক্ষে ওই ধরনের পোশাক শোভনীয় নয় বলেই মনে করেন তিনি। তাই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অধ্যক্ষ উল্লেখ করেছেন, দিনের পর দিন ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে আসতে দেখেন পড়ুয়ায়াদের। এমনকি তাঁর ঘরেও প্রবেশ করেছিলেন কেউ কেউ। শালীন পোশাক বলে মনে হয়নি বলেই ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন সেই পড়ুয়ায়াদের। তাঁর নিজের ছেলে এবং মেয়েও এই কলেজেই পড়াশোনা করেন।

আরও পড়ুন: ফের মোদির জনসভায় ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঢোকার চেষ্টা

 

আরও পড়ুন: বৈষম্য নয় সমতা চাই: পূর্ণ  সাম্মানিক (বেতন) ও সম্মান (পুরস্কার) থেকে বঞ্চিত, শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে ক্ষেদ  কলেজ এর আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের  

অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন অনেকেই। কেউ বিরোধিতা করেননি। পোশাক প্রত্যেকের পছন্দ হলেও অধ্যক্ষের মতে, ‘ফ্যাশন’ বাইরেই থাকা উচিত, কলেজের মধ্যে কোনও প্রয়োজন নেই। নির্দেশিকা না মানা হলে অভিভাবককে ডেকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

এর বেশ কয়েক বছর আগে স্কটিশ চার্চ কলেজে এরকম পোশাক নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়ায়াদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাম জমানায় আশুতোষ কলেজে ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে শালীনতার প্রশ্ন তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী।

 

উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোষাক একটা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কর্ণাটকে ছাত্রীরা শালীন হিজাব পরার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু কর্ণাটক সরকার তার অনুমোদন করেনি। কর্ণাটক হাইকোর্ট সরকারের নিষেধাজ্ঞাকেই একপ্রকার বহাল রাখল। কর্ণাটক হাইকোর্ট বলেছে, হিজাব ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েব শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শালীন পোষাক শোভনীয়। তবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পোষাক বিধি জোর করে পড়ুয়ায়াদের উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না বলে জানান তিনি।