১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাত: মৃত্যু ১৮, তৎপর রাজ্য প্রশাসন

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 29

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গুজরাতে টানা ভারী বর্ষণের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বৃষ্টিপাতজনিত বিভিন্ন কারণে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে বহু নদী ও খাল, ডুবে গেছে বহু রাস্তা ও গ্রাম। বোটাদ ও ভাবনগর জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজ্যের ২০টি জেলায় ইতোমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলার বিশেষ বাহিনী (এসডিআরএফ) মোতায়েন করা হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে ১২টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) দলও কাজ করছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জেলার কালেক্টর, আইএমডি, এনডিআরএফ এবং অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

আরও পড়ুন: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জের, ড্রিমলাইনারের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তা কেন্দ্রের

রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পান্ডে জানান, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং মধ্য গুজরাতে আগামী দুই দিন অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আরব সাগরে নিম্নচাপের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভেঙে পড়া বিমানে মৃত্যু গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: আহমেদাবাদে ভাঙল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, নিহত কমপক্ষে ২০০

সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বোটাদ জেলার বারওয়ালা তালুকে, এরপরেই রয়েছে সুরেন্দ্রনগরের সায়লা তালুক। ভাবনগর জেলায় দমকল, পুরসভার কর্মী এবং দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী টহল চালাচ্ছে এবং জলবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সেহোরের পালদি দাম্বালিয়া রোডে রাতে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯ জনের মধ্যে ৪০ জন নিজেরাই নিরাপদ স্থানে চলে যান, বাকি ৯ জনকে উদ্ধার করেছে পুর প্রশাসন ও এনডিআরএফ দল।

বজ্রপাত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বহু কাঁচা ও পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে জরুরি অনুদান বরাদ্দ করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাত: মৃত্যু ১৮, তৎপর রাজ্য প্রশাসন

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গুজরাতে টানা ভারী বর্ষণের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বৃষ্টিপাতজনিত বিভিন্ন কারণে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে বহু নদী ও খাল, ডুবে গেছে বহু রাস্তা ও গ্রাম। বোটাদ ও ভাবনগর জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজ্যের ২০টি জেলায় ইতোমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলার বিশেষ বাহিনী (এসডিআরএফ) মোতায়েন করা হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে ১২টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) দলও কাজ করছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জেলার কালেক্টর, আইএমডি, এনডিআরএফ এবং অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

আরও পড়ুন: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জের, ড্রিমলাইনারের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তা কেন্দ্রের

রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পান্ডে জানান, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং মধ্য গুজরাতে আগামী দুই দিন অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আরব সাগরে নিম্নচাপের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভেঙে পড়া বিমানে মৃত্যু গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: আহমেদাবাদে ভাঙল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, নিহত কমপক্ষে ২০০

সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বোটাদ জেলার বারওয়ালা তালুকে, এরপরেই রয়েছে সুরেন্দ্রনগরের সায়লা তালুক। ভাবনগর জেলায় দমকল, পুরসভার কর্মী এবং দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী টহল চালাচ্ছে এবং জলবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সেহোরের পালদি দাম্বালিয়া রোডে রাতে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯ জনের মধ্যে ৪০ জন নিজেরাই নিরাপদ স্থানে চলে যান, বাকি ৯ জনকে উদ্ধার করেছে পুর প্রশাসন ও এনডিআরএফ দল।

বজ্রপাত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বহু কাঁচা ও পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে জরুরি অনুদান বরাদ্দ করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।