২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলা আবদেল ফাত্তাহর নাম সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা থেকে বাদ দিল মিশরের আদালত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 32

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মিশরের কারাবন্দি মানবাধিকার কর্মী ও লেখক আলা আবদেল ফাত্তাহর নাম দেশের সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে সরানোর নির্দেশ দিল কায়রোর ফৌজদারি আদালত। সোমবার এই রায় ঘোষণা করা হয়, ঠিক তার কদিন পরই তাঁর মা লায়লা সুইফ দীর্ঘ ১০ মাসের অনশন ভেঙেছেন ছেলের মুক্তির দাবিতে।

৪৩ বছর বয়সি আলা, যিনি মিশর ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক, ২০১১-র আরব বসন্তে কায়রোতে মুবারকের পতনের অন্যতম মুখ ছিলেন। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরে প্রায় পুরো এক দশক ধরে তাঁকে বিভিন্ন সরকারের আমলে বারবার জেলে ঢোকানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Breaking: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে বন্দি ১০০ যাত্রী

আদালতের রায় অনুযায়ী, দেশের গোয়েন্দা বিভাগ আর আলার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি। এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁর উপর আরোপিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সহ একাধিক বিধিনিষেধ উঠে যাবে।

আরও পড়ুন: মিসরে চিরনিদ্রায় শায়িত প্রিন্স করিম আগা খান

তবে এখনও নিশ্চিত নয়, এই রায়ের ফলে আদৌ তাঁর মুক্তি মিলবে কি না। কারণ মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে দেওয়া ৫ বছরের সাজা ২০২৩ সালে শেষ হলেও আলা এখনও নতুন কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক রয়েছেন। তাঁর আইনজীবী ও বর্ষীয়ান মানবাধিকারকর্মী খালেদ আলি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত আইনি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, শেষ কথা নয়; এখনও তাঁকে মুক্ত করতে প্রশাসনের সদিচ্ছা দরকার।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আলার মা, কায়রোর খ্যাতনামা অধ্যাপিকা লায়লা সুইফ অনশন শুরু করেন ছেলের মুক্তির দাবিতে। এরপর মার্চে নিজেও আংশিক অনশনে যান আলা, কেবল ব্ল্যাক কফি, হারবাল চা ও লবণের পানি খেয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যান। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই বন্দিত্বকে অবৈধ ও খেয়ালখুশিমতো আটক হিসেবে অভিহিত করেছে এবং অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকেও একাধিকবার মিশর সরকারের কাছে আলার বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সর্বশেষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে সরাসরি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এত কিছুর পরেও আলা এখনও গিজা কারাগারের অন্ধকারে বন্দি, মুক্তির অপেক্ষায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আলা আবদেল ফাত্তাহর নাম সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা থেকে বাদ দিল মিশরের আদালত

আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মিশরের কারাবন্দি মানবাধিকার কর্মী ও লেখক আলা আবদেল ফাত্তাহর নাম দেশের সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে সরানোর নির্দেশ দিল কায়রোর ফৌজদারি আদালত। সোমবার এই রায় ঘোষণা করা হয়, ঠিক তার কদিন পরই তাঁর মা লায়লা সুইফ দীর্ঘ ১০ মাসের অনশন ভেঙেছেন ছেলের মুক্তির দাবিতে।

৪৩ বছর বয়সি আলা, যিনি মিশর ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক, ২০১১-র আরব বসন্তে কায়রোতে মুবারকের পতনের অন্যতম মুখ ছিলেন। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরে প্রায় পুরো এক দশক ধরে তাঁকে বিভিন্ন সরকারের আমলে বারবার জেলে ঢোকানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Breaking: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে বন্দি ১০০ যাত্রী

আদালতের রায় অনুযায়ী, দেশের গোয়েন্দা বিভাগ আর আলার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি। এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁর উপর আরোপিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সহ একাধিক বিধিনিষেধ উঠে যাবে।

আরও পড়ুন: মিসরে চিরনিদ্রায় শায়িত প্রিন্স করিম আগা খান

তবে এখনও নিশ্চিত নয়, এই রায়ের ফলে আদৌ তাঁর মুক্তি মিলবে কি না। কারণ মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে দেওয়া ৫ বছরের সাজা ২০২৩ সালে শেষ হলেও আলা এখনও নতুন কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক রয়েছেন। তাঁর আইনজীবী ও বর্ষীয়ান মানবাধিকারকর্মী খালেদ আলি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত আইনি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, শেষ কথা নয়; এখনও তাঁকে মুক্ত করতে প্রশাসনের সদিচ্ছা দরকার।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আলার মা, কায়রোর খ্যাতনামা অধ্যাপিকা লায়লা সুইফ অনশন শুরু করেন ছেলের মুক্তির দাবিতে। এরপর মার্চে নিজেও আংশিক অনশনে যান আলা, কেবল ব্ল্যাক কফি, হারবাল চা ও লবণের পানি খেয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যান। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই বন্দিত্বকে অবৈধ ও খেয়ালখুশিমতো আটক হিসেবে অভিহিত করেছে এবং অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকেও একাধিকবার মিশর সরকারের কাছে আলার বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সর্বশেষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে সরাসরি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এত কিছুর পরেও আলা এখনও গিজা কারাগারের অন্ধকারে বন্দি, মুক্তির অপেক্ষায়।