০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছিটমহলের পরীর গান শুনে নেমে আসে হুর-পরী!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 29

সাকিল আহমেদ, কোচবিহার: বয়স মাত্র দশ বছর। যে বয়সে গান গাইতে গিয়ে বাচ্চাদের সরগম ঠিক থাকে না, সেই বয়সে নিজেই লিখছে গান। শুধু গান লেখা নয়, নিজেই বাঁধছে সুর। বিস্ময়কর এই প্রতিভার নাম পরী। বাড়ি ভাওয়াইয়া, সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের শহরে। পরী ওরফে নয়নিকা ব্যাপারী বর্তমানে থাকে দিদা কবি নূরজাহানের কাছে, দিনহাটা থেকে কোচবিহার শহর সংলগ্ন একটি গ্রামে। সারদা নগর শিশুতীর্থ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী পরী।

গানের পরিবেশ ছিল বাড়িতে। বড় চাচা গাইতেন গান। সেই সূত্র ধরে গানের শিক্ষিকা অর্পিতা সরকার ম্যাডামের কাছে নিজেই শিখছে গান। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি অনায়াসে গাইতে পারে।

সে নিজে লিখেছে গান। এই প্রতিবেদককে জানায়, সে সুর করেছে গানের কলিতে। বলল, এটা দাদরা তালে তালে গাইতে হবে। গানের কথাগুলো এরকম, “আকাশ তুমি কাঁদছ কেন বকুল তোমার মা/তোমার চোখের জলে ঘরছাড়া হল মানুষ/ কষ্ট করে রান্না করে খেতে পায় না”; ছোট্ট শিশু শিল্পীর সহানুভূতি প্রবণ মন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী সকলকে মুগ্ধ করে।

কোচবিহারের কবি সঞ্জয় সোম বলেন, বিষ্ময়কর প্রতিভা এই শিশু শিল্পী।  মা খাদেজা বেগম চাকরি করেন। বাবা আবু হোসেন ব্যাপারী ব্যবসায়ী। মেয়ে এমন সুন্দর গান গাইছে, আনন্দ আর ধরে না। দিনহাটার ছিটমহলের বড়ো শোলমারির বাসিন্দা পরী কন্ঠে তুলে নিয়েছে গান। যত বড় হবে তার প্রতিভার সৌরভ ছড়িয়ে পড়বে জি বাংলা ধারাবাহিক পটল কুমার গানওয়ালার মত আশায় স্থানীয়রা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ছিটমহলের পরীর গান শুনে নেমে আসে হুর-পরী!

আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

সাকিল আহমেদ, কোচবিহার: বয়স মাত্র দশ বছর। যে বয়সে গান গাইতে গিয়ে বাচ্চাদের সরগম ঠিক থাকে না, সেই বয়সে নিজেই লিখছে গান। শুধু গান লেখা নয়, নিজেই বাঁধছে সুর। বিস্ময়কর এই প্রতিভার নাম পরী। বাড়ি ভাওয়াইয়া, সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের শহরে। পরী ওরফে নয়নিকা ব্যাপারী বর্তমানে থাকে দিদা কবি নূরজাহানের কাছে, দিনহাটা থেকে কোচবিহার শহর সংলগ্ন একটি গ্রামে। সারদা নগর শিশুতীর্থ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী পরী।

গানের পরিবেশ ছিল বাড়িতে। বড় চাচা গাইতেন গান। সেই সূত্র ধরে গানের শিক্ষিকা অর্পিতা সরকার ম্যাডামের কাছে নিজেই শিখছে গান। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি অনায়াসে গাইতে পারে।

সে নিজে লিখেছে গান। এই প্রতিবেদককে জানায়, সে সুর করেছে গানের কলিতে। বলল, এটা দাদরা তালে তালে গাইতে হবে। গানের কথাগুলো এরকম, “আকাশ তুমি কাঁদছ কেন বকুল তোমার মা/তোমার চোখের জলে ঘরছাড়া হল মানুষ/ কষ্ট করে রান্না করে খেতে পায় না”; ছোট্ট শিশু শিল্পীর সহানুভূতি প্রবণ মন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী সকলকে মুগ্ধ করে।

কোচবিহারের কবি সঞ্জয় সোম বলেন, বিষ্ময়কর প্রতিভা এই শিশু শিল্পী।  মা খাদেজা বেগম চাকরি করেন। বাবা আবু হোসেন ব্যাপারী ব্যবসায়ী। মেয়ে এমন সুন্দর গান গাইছে, আনন্দ আর ধরে না। দিনহাটার ছিটমহলের বড়ো শোলমারির বাসিন্দা পরী কন্ঠে তুলে নিয়েছে গান। যত বড় হবে তার প্রতিভার সৌরভ ছড়িয়ে পড়বে জি বাংলা ধারাবাহিক পটল কুমার গানওয়ালার মত আশায় স্থানীয়রা।