২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউপির স্কুলে তালাবন্দি গরুর দল, গ্রেফতার ১০ কৃষক

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 27

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : গো-বলয়ে গরুকে সামনে রেখে বিদ্বেষ রাজনীতি চলে। গরুর নাম করে একদল স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক গুণ্ডা’ তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ে। এর ফল যে কী হয়েছে তা দেখেছে ভূ-ভারত। বেচারি গরুরা নিজেরাই জানে না তাদের নিয়ে এমন বিদ্বেষ রাজনীতি চলছে। গরুকে নিয়ে রাজনীতি চললেও আওয়ারা গরুদের একেবারেই পছন্দ করে না উত্তরপ্রদেশের মানুষ। মাঝে মধ্যেই তাদের আটকে রাখার জায়গা হিসেবে সবথেকে আদর্শ বিবেচনা করা হয় স্কুলকে। এমন ঘটনাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জালালাবাদ থানার লেহরাওয়ার গ্রামে।

রাস্তার গরু দিনরাত ফসল নষ্ট করছিল। অতীষ্ট হয়ে পড়েছিল এলাকার কৃষকরা। এতগুলো গরুকে আটকে রাখা যাবে কোথায়? তাই পরিকল্পনা করে তারা ঠিক করে গরু আটকে রাখার আদর্শ জায়গা হল স্কুল। সেখানে অনেক রুম। ফলে গরুদের বন্দি করে রাখতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না। কিন্তু ইউপি-র ভোটমুখী পরিস্থিতিতে এই কর্মকাণ্ড এলাকার কৃষকদের চাপে ফেলে। পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় কিছু লোক। পুলিশ এসে ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন: গাজার সাহায্যে অর্থ সংগ্রহ, যোগী রাজ্যে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের

জালালাবাদ থানার স্টেশন হাউস অফিসার জানান– ৩০টি গরুকে স্কুলবন্দি করা হয়েছিল। আর ৫টা দিনের মতোই স্কুল শুরু হওয়ার কথা ছিল যথাসময়ে। পডYয়া এবং শিক্ষক উভয়েই হাজির। কিন্তু স্কুলে ঢোকার উপায় নেই। তালাবন্দি রাখা হয়েছে গরুবাহিনীকে। এমন অবস্থায় পুলিশের সাহায্যে বন্দি গরুরা উদ্ধার পায়। নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক পর চালু হয় স্কুল। গ্রেফতারির পরে অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ১০ জন কৃষককে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্থিনিদের সমর্থন, ভারতীয় ছাত্রকে গ্রেফতার করল মার্কিন প্রশাসন

তবে– রাস্তার এই খোলা গরু যে তাদের জীবন অতীষ্ট করে ছাড়ছে তা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন অনেকেই। এক মহিলা বলেন– ‘এই খোলা গরুদের জন্য আমাদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সুযোগ পেলেই এরা ফসল নষ্ট করছে। এলাকার লোকজনরাও গরুর গুঁতোয় অস্থির। আমাদের সাধ্যি নেই ওদের খাবারের বন্দোবস্ত করা। সরকারের উচিত গো-শালা গুলিতে এদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতির উন্নতি হোক।’

আরও পড়ুন: বিজেপির বিরুদ্ধে পোস্ট করায় গ্রেফতার কংগ্রেস মুখপাত্র, ‘বাক স্বাধীনতায় আঘাত’ সরব হাত শিবির

পুলিশ আধিকারিক কমল সিং বলেন– ‘আমি স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত আধিকারিকদের বলেছি– যত দ্রুত সম্ভব এই গরুগুলিকে নিকটবর্তী গোশালাতে স্থানান্তরিত করতে। অনেকে বলছেন– এটাই হওয়ার ছিল। বলপূর্বক গো-আইন নিয়ে এসে এই বিপত্তি বাধানো হয়েছে। গরু নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে আসলে ভারসাম্য নষ্ট করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউপির স্কুলে তালাবন্দি গরুর দল, গ্রেফতার ১০ কৃষক

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : গো-বলয়ে গরুকে সামনে রেখে বিদ্বেষ রাজনীতি চলে। গরুর নাম করে একদল স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক গুণ্ডা’ তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ে। এর ফল যে কী হয়েছে তা দেখেছে ভূ-ভারত। বেচারি গরুরা নিজেরাই জানে না তাদের নিয়ে এমন বিদ্বেষ রাজনীতি চলছে। গরুকে নিয়ে রাজনীতি চললেও আওয়ারা গরুদের একেবারেই পছন্দ করে না উত্তরপ্রদেশের মানুষ। মাঝে মধ্যেই তাদের আটকে রাখার জায়গা হিসেবে সবথেকে আদর্শ বিবেচনা করা হয় স্কুলকে। এমন ঘটনাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জালালাবাদ থানার লেহরাওয়ার গ্রামে।

রাস্তার গরু দিনরাত ফসল নষ্ট করছিল। অতীষ্ট হয়ে পড়েছিল এলাকার কৃষকরা। এতগুলো গরুকে আটকে রাখা যাবে কোথায়? তাই পরিকল্পনা করে তারা ঠিক করে গরু আটকে রাখার আদর্শ জায়গা হল স্কুল। সেখানে অনেক রুম। ফলে গরুদের বন্দি করে রাখতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না। কিন্তু ইউপি-র ভোটমুখী পরিস্থিতিতে এই কর্মকাণ্ড এলাকার কৃষকদের চাপে ফেলে। পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় কিছু লোক। পুলিশ এসে ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন: গাজার সাহায্যে অর্থ সংগ্রহ, যোগী রাজ্যে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের

জালালাবাদ থানার স্টেশন হাউস অফিসার জানান– ৩০টি গরুকে স্কুলবন্দি করা হয়েছিল। আর ৫টা দিনের মতোই স্কুল শুরু হওয়ার কথা ছিল যথাসময়ে। পডYয়া এবং শিক্ষক উভয়েই হাজির। কিন্তু স্কুলে ঢোকার উপায় নেই। তালাবন্দি রাখা হয়েছে গরুবাহিনীকে। এমন অবস্থায় পুলিশের সাহায্যে বন্দি গরুরা উদ্ধার পায়। নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক পর চালু হয় স্কুল। গ্রেফতারির পরে অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ১০ জন কৃষককে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্থিনিদের সমর্থন, ভারতীয় ছাত্রকে গ্রেফতার করল মার্কিন প্রশাসন

তবে– রাস্তার এই খোলা গরু যে তাদের জীবন অতীষ্ট করে ছাড়ছে তা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন অনেকেই। এক মহিলা বলেন– ‘এই খোলা গরুদের জন্য আমাদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সুযোগ পেলেই এরা ফসল নষ্ট করছে। এলাকার লোকজনরাও গরুর গুঁতোয় অস্থির। আমাদের সাধ্যি নেই ওদের খাবারের বন্দোবস্ত করা। সরকারের উচিত গো-শালা গুলিতে এদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতির উন্নতি হোক।’

আরও পড়ুন: বিজেপির বিরুদ্ধে পোস্ট করায় গ্রেফতার কংগ্রেস মুখপাত্র, ‘বাক স্বাধীনতায় আঘাত’ সরব হাত শিবির

পুলিশ আধিকারিক কমল সিং বলেন– ‘আমি স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত আধিকারিকদের বলেছি– যত দ্রুত সম্ভব এই গরুগুলিকে নিকটবর্তী গোশালাতে স্থানান্তরিত করতে। অনেকে বলছেন– এটাই হওয়ার ছিল। বলপূর্বক গো-আইন নিয়ে এসে এই বিপত্তি বাধানো হয়েছে। গরু নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে আসলে ভারসাম্য নষ্ট করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।