খগেন-শঙ্করের ঘটনায় পুলিশের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট

- আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 94
মোল্লা জসিমউদ্দিন: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতিতে নাগরাকাটায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষদের হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করলো। বঙ্গ বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় আদালতে পুলিশকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের। আগামী ২৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। গত ৬ অক্টোবর দুর্যোগে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেখানে পৌঁছলেই তাদের উপর চড়াও হন এলাকাবাসীদের একাংশ। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মুখে গুরুতর আঘাত পান খগেন মুর্মু। হাতে চোট পান শঙ্কর ঘোষ। রক্তাক্ত অবস্থায় খগেন মুর্মুকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। দুজন জন প্রতিনিধির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পাল্টা উত্তরও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগের পরিস্থিতিতে দুই রাজনৈতিক দলের তরজা ওঠে তুঙ্গে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের সামনেই খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষকে মারধর করা হয়। চোখের সামনে সমস্ত কিছু দেখেও দু’জনকে বাঁচাতে কোনোরকম তৎপরতা দেখা যায়নি স্থানীয় পুলিশের। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক আইনজীবী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী আদালতকে জানান,’ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এবং পরিকল্পিত আক্রমণ করা হয় খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষকে। গোটা ঘটনায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হওয়া উচিত। কিন্তু পুলিশ সেই রকম কোনও ধারাই মামলায় যোগ করেনি’। এদিন এই গোটা ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলাকারী আইনজীবী।এনআইএ-এর হাতে মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া নিয়ে মঙ্গলবারের শুনানিতে কোনও মন্তব্য করেননি বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল। তবে গোটা ঘটনায় রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ২৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বলে জানা গেছে।