০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষা চলাকালীন হিজাব বিতর্ক বিহারে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
  • / 92

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মাথা ঢাকা ছিল হিজাবে। তা দেখেই চোটে যান শিক্ষক। ছাত্রীকে বলেন, মাথার আবরণ খুলতে। শিক্ষকের এই নির্দেশ মেনে নিতে অস্বীকার করে ছাত্রী। তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন। রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর বিহারের মিঠানপুরা এলাকার মহন্ত দর্শন দাস মহিলা কলেজে। স্থানীয়রা এই কলেজকে এমডিডিএম বলে চেনেন। এদিন ছিল ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা। শিক্ষকের এমন নির্দেশ শুনে বহু ছাত্রীই ক্ষুব্ধ হয়। কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ড. কানু প্রিয়া বলেন,‘ওই পড়ুয়াকে হিজাব পড়তে নিষেধ করা হয়নি। তাকে কেবল বলা হয়েছিল, কান বের করে রাখতে। অনেক সময় পড়ুয়ারা ব্লু টুথ কানে দিয়ে পরীক্ষা দেয়। মনে হয়েছিল ওই পড়ুয়ার কাছেও বুঝি ব্লু টুথ আছে। মিঠানপুর থানার পুলিশ কর্তা বলেন, দুই পক্ষকেই বুঝিয়ে সুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে। পরে পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে নেওয়া হয়। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। এক শিক্ষক বলেছেন হিজাবের আড়ালে যাতে কেউ ব্লু টুথ ব্যবহার না করে সে কারণেই ওই পড়ুয়াকে বলা হয়। কেউ হিজাবের বিরোধিতা করেনি। তবে পড়ুয়ারা দাবি করেছে, ওই শিক্ষক তাকে দেশ বিরোধী বলেছেন। প্রিন্সিপাল বলেন, ওকথা সঠিক নয়।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পরীক্ষা চলাকালীন হিজাব বিতর্ক বিহারে

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মাথা ঢাকা ছিল হিজাবে। তা দেখেই চোটে যান শিক্ষক। ছাত্রীকে বলেন, মাথার আবরণ খুলতে। শিক্ষকের এই নির্দেশ মেনে নিতে অস্বীকার করে ছাত্রী। তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন। রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর বিহারের মিঠানপুরা এলাকার মহন্ত দর্শন দাস মহিলা কলেজে। স্থানীয়রা এই কলেজকে এমডিডিএম বলে চেনেন। এদিন ছিল ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা। শিক্ষকের এমন নির্দেশ শুনে বহু ছাত্রীই ক্ষুব্ধ হয়। কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ড. কানু প্রিয়া বলেন,‘ওই পড়ুয়াকে হিজাব পড়তে নিষেধ করা হয়নি। তাকে কেবল বলা হয়েছিল, কান বের করে রাখতে। অনেক সময় পড়ুয়ারা ব্লু টুথ কানে দিয়ে পরীক্ষা দেয়। মনে হয়েছিল ওই পড়ুয়ার কাছেও বুঝি ব্লু টুথ আছে। মিঠানপুর থানার পুলিশ কর্তা বলেন, দুই পক্ষকেই বুঝিয়ে সুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে। পরে পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে নেওয়া হয়। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। এক শিক্ষক বলেছেন হিজাবের আড়ালে যাতে কেউ ব্লু টুথ ব্যবহার না করে সে কারণেই ওই পড়ুয়াকে বলা হয়। কেউ হিজাবের বিরোধিতা করেনি। তবে পড়ুয়ারা দাবি করেছে, ওই শিক্ষক তাকে দেশ বিরোধী বলেছেন। প্রিন্সিপাল বলেন, ওকথা সঠিক নয়।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির