২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার গোয়ায় হালাল পণ্য নিষিদ্ধ করার চেষ্টা

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার
  • / 36

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বজরং দল, আরএসএস, হিন্দু জাগৃতি মঞ্চের প্রতিনিধিরা গোয়ার এক থানায় গিয়ে মেমোরান্ডাম জমা দিয়ে হালাল পণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানাল। তাদের এক নেতা জানান, গোয়ার সর্বত্রই দেখছি হালাল পণ্যের রমরমা। শপিং মল থেকে ছোট ছোট দোকান সব জায়গাতেই পণ্যের উপর হালাল লেখা।

শুধু খাবারে নয় কসমেটিকস, ওষুধ, নমকিন, শুকনো ফল, মিষ্টি, ঘি, সাবান, মাজন নেলপলিশ, লিপস্টিক এই সব পণ্যের গায়েও হালাল লেখা রয়েছে। তার মানে অন্য পণ্যের মান গুণগতভাবে খারাপ। এই বৈষম্য চলবে না। উত্তরপ্রদেশের মতো গোয়াতেও হালাল পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিক।

আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর: বিশ্বে হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি

তারা যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করে বলেন, হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার এই বেআইনি কাজ বন্ধের জন্য তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন সব রাজ্যেই এটা নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। হালাল সার্টিফিকেটের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: লন্ডনে হালাল পণ্যের বৃহত্তম প্রদর্শনী

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ সরকার হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া পণ্য নিষিদ্ধ করায় উত্তরপ্রদেশে বিতর্ক শুরু হয়। জমিয়তে উলামা হালাল ট্রাস্ট যারা সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন ও বিজ্ঞপ্তি মেনেই তারা সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। বিদেশে পণ্য পাঠাতে এবং বিদেশি পর্যটকদের প্রয়োজনেই এই নিয়ম অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পণ্য তৈরি কিনা কিংবা নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক কোনও উপাদান এতে আছে কিনা সেটা খোঁজ নিয়েই এই সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। উৎপাদক ও বিক্রেতাদের প্রয়োজনেই এই সার্টিফিকেট।

আরও পড়ুন: বিশ্বে হালাল পণ্যের চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার গোয়ায় হালাল পণ্য নিষিদ্ধ করার চেষ্টা

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বজরং দল, আরএসএস, হিন্দু জাগৃতি মঞ্চের প্রতিনিধিরা গোয়ার এক থানায় গিয়ে মেমোরান্ডাম জমা দিয়ে হালাল পণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানাল। তাদের এক নেতা জানান, গোয়ার সর্বত্রই দেখছি হালাল পণ্যের রমরমা। শপিং মল থেকে ছোট ছোট দোকান সব জায়গাতেই পণ্যের উপর হালাল লেখা।

শুধু খাবারে নয় কসমেটিকস, ওষুধ, নমকিন, শুকনো ফল, মিষ্টি, ঘি, সাবান, মাজন নেলপলিশ, লিপস্টিক এই সব পণ্যের গায়েও হালাল লেখা রয়েছে। তার মানে অন্য পণ্যের মান গুণগতভাবে খারাপ। এই বৈষম্য চলবে না। উত্তরপ্রদেশের মতো গোয়াতেও হালাল পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিক।

আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর: বিশ্বে হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি

তারা যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করে বলেন, হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার এই বেআইনি কাজ বন্ধের জন্য তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন সব রাজ্যেই এটা নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। হালাল সার্টিফিকেটের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: লন্ডনে হালাল পণ্যের বৃহত্তম প্রদর্শনী

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ সরকার হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া পণ্য নিষিদ্ধ করায় উত্তরপ্রদেশে বিতর্ক শুরু হয়। জমিয়তে উলামা হালাল ট্রাস্ট যারা সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন ও বিজ্ঞপ্তি মেনেই তারা সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। বিদেশে পণ্য পাঠাতে এবং বিদেশি পর্যটকদের প্রয়োজনেই এই নিয়ম অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পণ্য তৈরি কিনা কিংবা নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক কোনও উপাদান এতে আছে কিনা সেটা খোঁজ নিয়েই এই সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। উৎপাদক ও বিক্রেতাদের প্রয়োজনেই এই সার্টিফিকেট।

আরও পড়ুন: বিশ্বে হালাল পণ্যের চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে