০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 67

রায়হান রাশেদঃ  মুসলমান মাত্রই মানুষের কল্যাণ কামনা করে। শাশ্বত শান্তির পথে মানুষকে আহ্বান করে। মুসলমান মানুষকে ধোঁকা দেয় না, প্রতারণা করে না।মানুষের কল্যাণের ধর্ম ইসলাম প্রতারণাকে চিরতরে নিষিদ্ধ করেছে। হাদিসে আছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি আমাদের প্রতারণা করবে, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়।’  (সহিহ বুখারী, হাদিস : ১৮৪)

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়প্রতারণা করা গুনাহ

প্রতারণা মিথ্যাচারের মতো। প্রতারণায় মিথ্যাচারের পাপ লেখা হয়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘একদিন রাসূল সা. আমাদের ঘরে বসা অবস্থায় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন, এই যে এসো! তোমাকে এটা দেব।’ রাসূল সা. তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘তাকে কী দেওয়ার ইচ্ছা করেছ?’ তিনি বলেন, ‘খেজুর।’ রাসূল সা. তাঁকে বলেন , ‘যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে, তাহলে এই কারণে তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যার পাপ লেখা হতো।’  (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯১)

 

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়

আরও পড়ুন: অমুসলিমদের সঙ্গে সামাজিক সুসম্পর্ক

কিয়ামত দিবসে প্রতারকের অবস্থা

 প্রতারণার জালে বন্দি হয়ে মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রতারক হচ্ছে, জনগণের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করে। হযরত সাইদ রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন , ‘প্রত্যেক  প্রতারকের জন্য কিয়ামতের দিন একটি পতাকা থাকবে, আর তা তার বিশ্বাসঘাতকতার পরিমাণ অনুযায়ী উঁচু করা হবে। সাবধান! জনগণের শাসক হয়ে যে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক আর নেই।’  (মুসলিম, হাদিস : ৪৪৩০)

 

আরও পড়ুন: ‘দোস্ত ট্রাম্পের সঙ্গে মুলাকাত করতে উন্মুখ রয়েছি’ মন্তব্য মোদির

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়

আরও পড়ুন: পাইলটের মহিলা বন্ধু ককপিটে কেন, ডিজিসিএ-র নোটিশ এয়ার ইন্ডিয়াকে

প্রতারণা শয়তানের কাজ

শয়তান মানুষের রক্তের শিরা-উপশিরায় চলে। মানুষকে সব সময় খারাপ কাজে লিপ্ত রাখতে চায় সে। তার কাজই মানুষকে ধোঁকায় ফেলে আল্লাহ্-বিমুখ করে রাখা। আর শয়তানের ধোঁকায় পতিত ব্যক্তি আমলে, সত্য ও সভ্যতায় শক্তিশালী হতে পারে না। হাদিসে আছে, ইবলিশ এমন শয়তানের সঙ্গে আলিঙ্গন করে। হযরত জাবির রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন,  ‘ইবলিশ পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে বাহিনী প্রেরণ করে। তার মধ্যে তার সর্বাধিক নৈকট্য অর্জনকারী সেই, যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। তাদের একজন এসে বলে, আমি অমুক কাজ করেছি। সে বলে, তুমি কিছুই করোনি। অতঃপর অন্যজন এসে বলে, অমুকের সঙ্গে আমি সব ধরনের প্রতারণার আচরণই করেছি। এমনকি তার থেকে তার স্ত্রীকে আলাদা করে দিয়েছি। তারপর শয়তান তাকে তার নিকটবর্তী করে নেয় এবং বলে, হ্যাঁ, তুমি খুব ভাল। ’বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, ‘অতঃপর শয়তান তার সঙ্গে আলিঙ্গন করে।’  (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৯৯৯) 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়

আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

রায়হান রাশেদঃ  মুসলমান মাত্রই মানুষের কল্যাণ কামনা করে। শাশ্বত শান্তির পথে মানুষকে আহ্বান করে। মুসলমান মানুষকে ধোঁকা দেয় না, প্রতারণা করে না।মানুষের কল্যাণের ধর্ম ইসলাম প্রতারণাকে চিরতরে নিষিদ্ধ করেছে। হাদিসে আছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি আমাদের প্রতারণা করবে, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়।’  (সহিহ বুখারী, হাদিস : ১৮৪)

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়প্রতারণা করা গুনাহ

প্রতারণা মিথ্যাচারের মতো। প্রতারণায় মিথ্যাচারের পাপ লেখা হয়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘একদিন রাসূল সা. আমাদের ঘরে বসা অবস্থায় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন, এই যে এসো! তোমাকে এটা দেব।’ রাসূল সা. তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘তাকে কী দেওয়ার ইচ্ছা করেছ?’ তিনি বলেন, ‘খেজুর।’ রাসূল সা. তাঁকে বলেন , ‘যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে, তাহলে এই কারণে তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যার পাপ লেখা হতো।’  (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯১)

 

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়

আরও পড়ুন: অমুসলিমদের সঙ্গে সামাজিক সুসম্পর্ক

কিয়ামত দিবসে প্রতারকের অবস্থা

 প্রতারণার জালে বন্দি হয়ে মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রতারক হচ্ছে, জনগণের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করে। হযরত সাইদ রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন , ‘প্রত্যেক  প্রতারকের জন্য কিয়ামতের দিন একটি পতাকা থাকবে, আর তা তার বিশ্বাসঘাতকতার পরিমাণ অনুযায়ী উঁচু করা হবে। সাবধান! জনগণের শাসক হয়ে যে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক আর নেই।’  (মুসলিম, হাদিস : ৪৪৩০)

 

আরও পড়ুন: ‘দোস্ত ট্রাম্পের সঙ্গে মুলাকাত করতে উন্মুখ রয়েছি’ মন্তব্য মোদির

প্রতারক যেভাবে শয়তানের বন্ধু হয়

আরও পড়ুন: পাইলটের মহিলা বন্ধু ককপিটে কেন, ডিজিসিএ-র নোটিশ এয়ার ইন্ডিয়াকে

প্রতারণা শয়তানের কাজ

শয়তান মানুষের রক্তের শিরা-উপশিরায় চলে। মানুষকে সব সময় খারাপ কাজে লিপ্ত রাখতে চায় সে। তার কাজই মানুষকে ধোঁকায় ফেলে আল্লাহ্-বিমুখ করে রাখা। আর শয়তানের ধোঁকায় পতিত ব্যক্তি আমলে, সত্য ও সভ্যতায় শক্তিশালী হতে পারে না। হাদিসে আছে, ইবলিশ এমন শয়তানের সঙ্গে আলিঙ্গন করে। হযরত জাবির রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন,  ‘ইবলিশ পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে বাহিনী প্রেরণ করে। তার মধ্যে তার সর্বাধিক নৈকট্য অর্জনকারী সেই, যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। তাদের একজন এসে বলে, আমি অমুক কাজ করেছি। সে বলে, তুমি কিছুই করোনি। অতঃপর অন্যজন এসে বলে, অমুকের সঙ্গে আমি সব ধরনের প্রতারণার আচরণই করেছি। এমনকি তার থেকে তার স্ত্রীকে আলাদা করে দিয়েছি। তারপর শয়তান তাকে তার নিকটবর্তী করে নেয় এবং বলে, হ্যাঁ, তুমি খুব ভাল। ’বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, ‘অতঃপর শয়তান তার সঙ্গে আলিঙ্গন করে।’  (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৯৯৯)