২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক কত?  রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের 

পারিজাত মোল্লাঃ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত মামলা। বাংলায় কতজন পরিযায়ী শ্রমিক  রয়েছেন?  রাজ্য সরকারের কাছে এদিন জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত এক মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের থেকে হলফনামা চাইল।

শুধু তাই নয়, সরকারকে সময়ও বেঁধে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সুত্রে প্রকাশ,  বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন।

আরও পড়ুন: বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন, তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর

মামলাকারীর অভিযোগ, গত ১২ বছরে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই রাজ্য সরকারের কাছে। ২০১১ সালে রাজ্যে সরকারে পালাবদল হয়। অভিযোগ, তৃণমূল সরকারে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে কত পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে তার হিসেব চাইলে পাওয়া যায়নি। এমনকী করোনা পরিস্থিতির পরও এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই।

আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপিকে কেউ হারাতে পারবে না, আমরা জিতব: দাবি পদ্মের নয়া সভাপতির

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে । সেই শুনানিতে হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকের হিসেব চাইল। আদালতের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

আরও পড়ুন: SIR-এ বাংলার ১ কোটি ভুয়ো ভোটার বাদ যাবে: শুভেন্দু

প্রসঙ্গত , কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছিল। নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে রুটিরুজির সন্ধানে যাওয়া শ্রমিকদের করুণ দশা সামনে এসেছিল। লকডাউন পর্বে যখন গোটা দেশ গৃহবন্দি ছিল, তখন পায়ে হেঁটে নিজের বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছিল অনেক শ্রমিককে। অনেকের মৃত্যুও হয় সেসময়। অন্যান্য রাজ্যের মতো রাজ্য সরকারও নিজের রাজ্যের শ্রমিকদের অন্য রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছিল।

তারপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর অনেক শ্রমিকই আবার ভিনরাজ্যে কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন, অনেকে বাংলায় এসেছেন। কিন্তু তার সংখ্যাটা ঠিক কত সেটাই সরকারের কাছে নেই বলে অভিযোগ।   চার সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

সর্বধিক পাঠিত

উত্তরপ্রদেশ: কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন ছাত্রকে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক কত?  রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের 

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পারিজাত মোল্লাঃ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত মামলা। বাংলায় কতজন পরিযায়ী শ্রমিক  রয়েছেন?  রাজ্য সরকারের কাছে এদিন জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত এক মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের থেকে হলফনামা চাইল।

শুধু তাই নয়, সরকারকে সময়ও বেঁধে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সুত্রে প্রকাশ,  বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন।

আরও পড়ুন: বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন, তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর

মামলাকারীর অভিযোগ, গত ১২ বছরে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই রাজ্য সরকারের কাছে। ২০১১ সালে রাজ্যে সরকারে পালাবদল হয়। অভিযোগ, তৃণমূল সরকারে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে কত পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে তার হিসেব চাইলে পাওয়া যায়নি। এমনকী করোনা পরিস্থিতির পরও এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই।

আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপিকে কেউ হারাতে পারবে না, আমরা জিতব: দাবি পদ্মের নয়া সভাপতির

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে । সেই শুনানিতে হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকের হিসেব চাইল। আদালতের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

আরও পড়ুন: SIR-এ বাংলার ১ কোটি ভুয়ো ভোটার বাদ যাবে: শুভেন্দু

প্রসঙ্গত , কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছিল। নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে রুটিরুজির সন্ধানে যাওয়া শ্রমিকদের করুণ দশা সামনে এসেছিল। লকডাউন পর্বে যখন গোটা দেশ গৃহবন্দি ছিল, তখন পায়ে হেঁটে নিজের বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছিল অনেক শ্রমিককে। অনেকের মৃত্যুও হয় সেসময়। অন্যান্য রাজ্যের মতো রাজ্য সরকারও নিজের রাজ্যের শ্রমিকদের অন্য রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছিল।

তারপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর অনেক শ্রমিকই আবার ভিনরাজ্যে কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন, অনেকে বাংলায় এসেছেন। কিন্তু তার সংখ্যাটা ঠিক কত সেটাই সরকারের কাছে নেই বলে অভিযোগ।   চার সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।