২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০ ঘণ্টা পর যমজ সন্তানসহ যেভাবে উদ্ধার হল দম্পতি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 75

সংগৃহীত ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চারদিকে হাহাকার আর মৃত্যু মিছিলে বিধ্বস্ত তুরস্ক। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিথর দেহ। আঁটকে পড়া বহু মানুষকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রবল তুষারপাত উপেক্ষা করে জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। কিন্তু যতই সময় এগোচ্ছে জীবিত অবস্থার উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হচ্ছে। ছোট্ট মারিয়ম ও ইলাফকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল  হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টা ধরে   দুই ভাই বোন  এই ভাবেই  ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে ছিল। এবার দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা  পর দেড় বছরের দুই যমজ ভাই-বোন ও  তাঁদের বাবা-মাকে উদ্ধার করল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মঙ্গলবার দেশটির গাজিয়াতেপ প্রদেশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।  এই ঘটনাকে অলৌকিক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

জানা গেছে, যমজ ছেলে আহমেত এরবেকে প্রথমে উদ্ধার করে পুলিশের বিশেষ অভিযানিক দল। পরে এরবের যমজ বোন আমিন এলসিনকেও উদ্ধার করে তারা।  তারপরে যমজদের মা পিনার এবং বাবা ইব্রাহিম কারাপিরলিকে উদ্ধার করেন ওই দলটি। উদ্ধারের সময় তাঁরা চিৎকার করে বলছিল- এটি সত্যি একটি অলৌকিক ঘটনা।

আরও পড়ুন: মেয়ের মৃত্যুশোকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা হাওড়ার দম্পতির, লঞ্চ কর্মীদের চেষ্টায় উদ্ধার

উল্লেখ্য, তুরস্ক-সিরিয়া এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ক্রমশই বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা ২০ ছুঁই ছুঁই। বলা বাহুল্য মৃতের ধ্বংসস্তুপের ওপর বসে রয়েছে এই দুই দেশ। এখন ধবংসস্তূপ থেকে উঠে চলেছে একের পর এক নিথর দেহ। আহত ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে বেসরকারি সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। প্রায় গোটা বিশ্ব থেকেই সাহায্যের হাত তুরস্কের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড থেকে পাচার হওয়া ২৬ জন নাবালক উদ্ধার হায়দরাবাদে, ধৃত ৮

দুই দেশের কবলিত এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধসে পড়া কয়েক হাজার ভবনের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ। আটকে পড়া অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্যই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। খারাপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই দুই দেশেই উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: জয়নগর থানার পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার নাবালক, খুশি পরিবার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০ ঘণ্টা পর যমজ সন্তানসহ যেভাবে উদ্ধার হল দম্পতি

আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চারদিকে হাহাকার আর মৃত্যু মিছিলে বিধ্বস্ত তুরস্ক। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিথর দেহ। আঁটকে পড়া বহু মানুষকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রবল তুষারপাত উপেক্ষা করে জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। কিন্তু যতই সময় এগোচ্ছে জীবিত অবস্থার উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হচ্ছে। ছোট্ট মারিয়ম ও ইলাফকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল  হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টা ধরে   দুই ভাই বোন  এই ভাবেই  ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে ছিল। এবার দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা  পর দেড় বছরের দুই যমজ ভাই-বোন ও  তাঁদের বাবা-মাকে উদ্ধার করল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মঙ্গলবার দেশটির গাজিয়াতেপ প্রদেশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।  এই ঘটনাকে অলৌকিক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

জানা গেছে, যমজ ছেলে আহমেত এরবেকে প্রথমে উদ্ধার করে পুলিশের বিশেষ অভিযানিক দল। পরে এরবের যমজ বোন আমিন এলসিনকেও উদ্ধার করে তারা।  তারপরে যমজদের মা পিনার এবং বাবা ইব্রাহিম কারাপিরলিকে উদ্ধার করেন ওই দলটি। উদ্ধারের সময় তাঁরা চিৎকার করে বলছিল- এটি সত্যি একটি অলৌকিক ঘটনা।

আরও পড়ুন: মেয়ের মৃত্যুশোকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা হাওড়ার দম্পতির, লঞ্চ কর্মীদের চেষ্টায় উদ্ধার

উল্লেখ্য, তুরস্ক-সিরিয়া এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ক্রমশই বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা ২০ ছুঁই ছুঁই। বলা বাহুল্য মৃতের ধ্বংসস্তুপের ওপর বসে রয়েছে এই দুই দেশ। এখন ধবংসস্তূপ থেকে উঠে চলেছে একের পর এক নিথর দেহ। আহত ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে বেসরকারি সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। প্রায় গোটা বিশ্ব থেকেই সাহায্যের হাত তুরস্কের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড থেকে পাচার হওয়া ২৬ জন নাবালক উদ্ধার হায়দরাবাদে, ধৃত ৮

দুই দেশের কবলিত এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধসে পড়া কয়েক হাজার ভবনের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ। আটকে পড়া অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্যই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। খারাপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই দুই দেশেই উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: জয়নগর থানার পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার নাবালক, খুশি পরিবার