৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমরানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 31

বিশেষ প্রতিবেদন: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে আধা সামরিক বাহিনী। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইকে থেকে পিটিআই চেয়ারম্যানকে হেফাজতে নেয় পাক রেঞ্জার্স। শুধু  আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা নয়, ইমরান খানের বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক মামলা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, আদালত অবমাননা, দাঙ্গা এমনকি ধর্ম অবমাননারও মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য,  ইমরান খান, ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জুলফিকার বুখারি এবং বাবর আওয়ান আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। এই ট্রাস্ট পাঞ্জাবের ঝিলম জেলার তহসিল সোহাওয়াতে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতীয় কোষাগার থেকে এই ট্রাস্টের নামে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইমরানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ইমরানের বিরুদ্ধে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সোহাওয়া মৌজার বিশাল জমি ‘দখলে’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ পুলিশের আইজি জানান, আল কাদির ট্রাস্টের যৌথ মালিক ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। মূলত আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য জমি সংক্রান্ত বিষয়েই এ মামলা। অভিযোগ, ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছিল। তাতে পাকিস্তান থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপি ব্রিটেনে পাচার হয়ে যায়, যা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতিকে আরও ভেঙে দেয়। আরও অভিযোগ, ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি থেকে পাক সরকারকে ফেরত পাঠানো ওই ৫ হাজার কোটি রুপি অপব্যবহার করেছিলেন ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

আরও পড়ুন: মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি চাই মূল্যবোধের শিক্ষাও: ইমরান

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইমরানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা

আপডেট : ১০ মে ২০২৩, বুধবার

বিশেষ প্রতিবেদন: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে আধা সামরিক বাহিনী। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইকে থেকে পিটিআই চেয়ারম্যানকে হেফাজতে নেয় পাক রেঞ্জার্স। শুধু  আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা নয়, ইমরান খানের বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক মামলা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, আদালত অবমাননা, দাঙ্গা এমনকি ধর্ম অবমাননারও মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য,  ইমরান খান, ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জুলফিকার বুখারি এবং বাবর আওয়ান আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। এই ট্রাস্ট পাঞ্জাবের ঝিলম জেলার তহসিল সোহাওয়াতে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতীয় কোষাগার থেকে এই ট্রাস্টের নামে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইমরানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ইমরানের বিরুদ্ধে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সোহাওয়া মৌজার বিশাল জমি ‘দখলে’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ পুলিশের আইজি জানান, আল কাদির ট্রাস্টের যৌথ মালিক ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। মূলত আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য জমি সংক্রান্ত বিষয়েই এ মামলা। অভিযোগ, ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছিল। তাতে পাকিস্তান থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপি ব্রিটেনে পাচার হয়ে যায়, যা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতিকে আরও ভেঙে দেয়। আরও অভিযোগ, ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি থেকে পাক সরকারকে ফেরত পাঠানো ওই ৫ হাজার কোটি রুপি অপব্যবহার করেছিলেন ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

আরও পড়ুন: মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি চাই মূল্যবোধের শিক্ষাও: ইমরান